নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে জুমার নামাজ আদায়
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসবিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আতঙ্কিত, গৃহবন্দী হয়ে জীবনযাপন করছেন সারা দুনিয়ার বিপুলসংখ্যক মানুষ।
প্রায় সব দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনেকগুলো দেশ সম্পূর্ণ লকডাউন হয়ে আছে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইন্দোনেশিয়ার মতো বেশকিছু মুসলমান প্রধান দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশে মসজিদে জামাত আদায় নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে চলছে নানা বিতর্ক।
এমন অবস্থায় শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর একটি মসজিদে নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রেখে জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসুল্লিরা।
গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে গণজমায়েত নিষিদ্ধ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও শুক্রবার মসজিদে বিপুলসংখ্যক মানুষের একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন অনেকেই।
রাজধানীর দুই-একটি মসজিদ বাদে বায়তুল মোকাররমসহ প্রায় সব মসজিদেই বিপুলসংখ্যক মুসুল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেছেন।
সেই দিক থেকে ব্যতিক্রম রাজধানীর রাজারবাগ শহীদবাগ জামে মসজিদ। এখানে নামাজ আদায়ের দৃশ্য ছিলো একেবারেই ভিন্ন। এই মসজিদে নামাজ আদায়কারীরা সবাই নিজেদের মধ্যে তিন ফুট দূরুত্ব বজায় রাখেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ চলাচল করলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম।
আতাউর রহমান কাবুল জানান, তিন ফিট দূরুত্ব বজায় রেখে মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ের একটি ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন।
এই ছবি দেখে এবং সেই জামাতে উপস্থিত থাকা অনেকে বলছেন, এমনভাবে নামাজ আদায় করা আমাদের দেশে একটা মডেল হতে পারে। এতে করে ধর্মীয় বিধানও সম্পন্ন হবে এবং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না। এটা সারা দেশের মসজিদ কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করলে খুবই দারুণ হবে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। ইতোমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন।