ফ্লাইট চলাচলের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল ৭ দিন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসযুক্তরাজ্য ব্যতিত ইউরোপের সব দেশ ও অন্যান্য ১০ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরো সাতদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে কোনো ফ্লাইট আসতে পারবে না।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক নির্দেশনায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহনের (শিডিউল পেসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে প্লেন চলাচল নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চের স্থলে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। একই সাথে অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্লেন চলাচল নিষেধাজ্ঞা আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। স্পেশাল কার্গো ফ্লাইট ও কার্গো ফ্লাইট যথারীতি চলবে।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্য ব্যতিত ইউরোপের সব দেশে এবং কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত দেশ থেকে আসা কোনো প্লেন বাংলাদেশে নামতে দেয়া হবে না। তবে যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকং রুটের বিষয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বার্তা২৪.কমকে জানান, এটি আগের আদেশের এক্সটেনশন। যুক্তরাজ্য ব্যতীত সকল ইউরোপীয় দেশ ও কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত এই দশটি দেশের ক্ষেত্রে যে আদেশ ছিল তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
তিনি আরো জানান, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সেখানে ৩১ তারিখ থেকে আগামী সাত দিনের জন্য তাদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। চায়না রুটে আগেও কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না এখনও নেই। এক্ষেত্রে প্লেন চলাচল সংস্থাগুলো তাদের মতো করেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। হংকং ও থাইল্যান্ড রুটে যাত্রী স্বল্পতার কারণে এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এই দুইটি রুটে ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কোনো নিষেধাজ্ঞা আদেশ ছিল না।