রাজধানীতে গ্রামীণফোন প্রধান কার্যালয়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিক হোটেল, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, পিনাকল পাওয়ার, প্রগতী সিএনজিসহ কুড়িল বিশ্বরোড হতে শাহজাদপুর সুবাস্তু টাওয়ার পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মোট ১৩ ঘণ্টা সকল শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এছাড়া আশেপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

ওই সময়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এমআরটি লাইন -১ এর ভূগর্ভস্থ স্টেশন (নর্দা) সংযোগ হতে তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজ করা হবে।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বৃদ্ধ স্বামী ফরিদুল ইসলাম (৭৪) আত্মহত্যা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ফারাকপুর গ্রামের চরদামুকদিয়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের দিকে ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুর গ্রামের একটি বেসরকারি কারখানা শ্রমিক ফরিদুল ইসলাম (৭৪) নিজ কক্ষে মঙ্গলবার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৫৫) কে নিয়ে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলেও বুধবার দুপুর হয়ে গেলেও ঘুম থেকে উঠেনি তারা।

ফরিদুলের ছেলে শরীফুলের বিষয়টি সন্দেহ হলে ঘরের ফাঁকা দিয়ে দেখতে পান তার বাবা ফরিদুল ঘরের আড়ার সঙ্গে রশিতে ঝুলছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানালে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।

এ সময় পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পান ফরিদুল রশিতে ঝুলছেন আর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যসহ স্থানীয়রা টের পেলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য তৈরি হয়।

ফরিদুলের ছেলে শরীফুল ইসলাম জানান, তাদের মধ্যে কলহ ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এ কারণে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, ফরিদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লেপ দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরে ফরিদুল নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের মানবিক জীবন নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেল রোডস্থ কারাগারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কয়েদিদের মাঝে পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন, সঞ্চালনায় ছিলেন ডেপুটি জেলার ইব্রাহীম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, কারাগারে বন্দিদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ও মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গায়েবি মামলায় গ্রেফতারদের কারণে কারাগারের চাপ আরও বেড়েছে। এখানে বন্দিদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা কম, যা চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, কাসিমপুর কারাগারে খেলার মাঠ ও ফলজ বাগান থাকলেও চট্টগ্রামের কারাগারে এমন সুযোগ নেই। আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড বা মিরসরাইয়ে নতুন কারাগার গড়ে তোলা প্রয়োজন, যেখানে খেলার মাঠ, বাগান ও মুক্ত পরিবেশ থাকবে।

স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কারাগারে একজন ডাক্তারের পাশাপাশি একজন সাইকোলজিস্টও থাকা উচিত, যাতে হতাশাগ্রস্ত কয়েদিরা মানসিক সহায়তা পান। নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহের কারণে বন্দিরা নানা রোগে ভুগছে, তাই মানসম্মত ওষুধ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানবিক সেবা নিশ্চিত করা, যাতে তারা সমাজে ফিরে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাসুদ হাসান জুয়েল, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলাউদ্দিন আলী, আবুল বশরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ বলেছেন, বাহিনীর পক্ষ থেকে গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষিত তরুণদের প্রশিক্ষণ বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৮৫ হাজার তরুণদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ শেষে তারা যেন উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার আস্থা অর্জন করতে পারে । পাশাপাশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য তাদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ অলরেডি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক নিতে চাহিদা দেখাচ্ছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রংপুর জেলার আয়োজনে আনসার ভিডিপি'র জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্য কোন সংস্থার পক্ষে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তড়িঘড়ি করে পৌঁছানো বা কাজ করা সম্ভব নয় আনসার বাহিনী ব্যতীত। তাই আমরা বাহিনীর বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আরও ভালো কিছু করবো।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফিদা বলেন, আমাদের বাহিনীকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের অনেক দুর্বলতা রয়েছে, তা নিয়ে আমাদের মহাপরিচালক কাজ করে যাচ্ছেন। একটু সময় লাগবে সকল সমস্যা সমাধান হবে। চাকরির সুযোগ প্রসঙ্গে বলতে আমাদের অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছে। তাদের নিয়ে কাজ করছি, ভালো কিছু হবে। আমাদের স্বাস্থ্য সেবা খুবই দুর্বল, আমরা সে ব্যাপারে কাজ করছি, যাতে অল্প খরচে এমবিবিএস চিকিৎসক দ্বারা ভালো চিকিৎসা এবং ঔষধ সেবা ব্যবস্থা করা হয় সার্বক্ষণিকের জন্য।

এই অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফরের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রংপুর রেঞ্জের পরিচালক আব্দুস সামাদ (বিভিএম, পিভিএমএস)।

এ সময় তারাগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নাহিদা রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আবু সায়েম, ঠাকুরগাঁও ৩৯ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল হাদী, রংপুর সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামাল চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুল ইসলাম (বিএএমএস)।

এই অনুষ্ঠানে ভালো কাজে স্বীকৃতি স্বরুপ ৪ টি বাইসাইকেল, ৪০টি ছাতাসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাগণ ও রংপুর জেলার ৮ উপজেলার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।