টাঙ্গাইলে লকডাউন আমলে নিচ্ছে না লোকজন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসকরোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে লকডাউন কার্যকর হয়।
তবে জেলা প্রশাসনের এ ঘোষণাকে আমলে নিচ্ছেন না মানুষজন। বুধবার (৮ এপ্রিল) জেলার ভূঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল সদরের বিভিন্ন প্রবেশ পথ ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
কোথায়ও জেলার প্রবেশ পথ বন্ধে স্থায়ী চেকপোস্ট দেখা যায়নি। বিভিন্ন পরিবহনে অবাধে যাতায়াত করছেন মানুষজন। মহাসড়কেও দেখা গেছে পণ্যবাহী ট্রাকে ঢাকা ফেরত মানুষের চাপ।
সড়কে চলাচল করা অনেকেই জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডডাউন ঘোষণার পর সেখান থেকে বিভিন্নভাবে একরকম পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন অনেকেই।
অন্যদিকে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে পৌর শহর এলাকায়। পৌর শহরে প্রবেশ করতে পড়তে হচ্ছে পুলিশি জেরার মুখে। যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখাতে পারলে কাউকে শহরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এছাড়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নারায়ণগঞ্জ ফেরত ক্লিনিকে চাকরি করা এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার বৈরাগী ভাওড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায় ৩০টি বাড়ি লকডডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
পরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত চার থেকে পাঁচদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে এলাকায় আসেন। এসেই তিনি অবাধে পরিবারের সাথে মেলামেশা ও বাজারঘাটে ঘুরে বেড়ান। এ সময় তাকে ও তার পরিবারকে বাধা দিলেও তারা কর্ণপাত করেননি। উল্টো স্থানীয়দের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন তারা।
পরে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালে ওই ব্যক্তি প্রথমে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের চাপে রক্তের নমুনা দিতে পরিবার তাকে রাজি করায়।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, সোমবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে মঙ্গলবার রাতে ফোন করে জানানো হয় ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক জানান, ওই গ্রামের একটি পাড়া লকডাউন করা হয়েছে, সেখানে প্রায় ৩০ টি পরিবার রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স করে করোনাভাইরাসের রোগীকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।