সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া ঝুঁকিতে হিলির স্বাস্থ্যকর্মীরা
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসবৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বরাদ্দ হলেও এখনো বিতরণ করা হয়নি।
ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয় ও টেকনিশিয়ানরা। এ অবস্থায় তাদের অনেকেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ৮-১০ জন নার্স বিভিন্ন রঙের মাস্ক মুখে লাগিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের গায়ে পিপিই নেই। নার্সের স্বাভাবিক পোশাকেই দায়িত্ব পালন করছেন তারা। ২-৩ জনের হাতে গ্লাভস দেখা গেছে। আয়া, ওয়ার্ডবয় এবং মেডিকেল টেকনিশিয়ানদেরও একই অবস্থা। তারাও পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনিশিয়ান প্রদীপ কুমার শীল বার্তা২৪.কমকে জানান, আমি মাস্ক ও গ্লাভস পেয়েছি। ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগীদের শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে। পিপিই ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে।
জুনিয়র নার্সদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর কি আমরা পিপিই পাবো? তাহলে আমাদের পিপিই নিয়ে কি লাভ। আক্রান্তের আগেই আমাদের পিপিই দেওয়া হোক। আমাদের একটা গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। একটা গ্লাভস তো আর প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে না। সার্জিক্যাল মাস্কও দেওয়া হয়নি। আমরা অনেকেই নিজের টাকা দিয়ে বাজার থেকে মাস্ক কিনে ব্যবহার করছি।
নার্সিং সুপারভাইজার নির্মলা কিসপট্টা বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি নার্সদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্যারের কাছে গিয়ে বলেছি আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস দেওয়ার জন্য। তিনি আমাদের মাস্ক, গ্লাভস দিয়েছেন। পিপিই সল্পতার জন্য দিতে পারেননি। আমাদের দায়িত্ব রোগীদের সেবা করা। আমাদের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও করোনাভাইরাসের রোগীসহ যেকোনো রোগীদের সেবা দিতে আমরা নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল হাসান বার্তা২৪ফোর.কমকে জানান, সরকারিভাবে ৫০টির মতো পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভস পেয়েছি। আমাদের কাছে নির্দেশনা আছে কেউ যদি করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে থাকেন এবং সেই রোগীর সংস্পর্শে কোনো চিকিৎসক, নার্স বা কেউ চিকিৎসা দিতে যান, তাহলে শুধু তারাই পিপিই ব্যবহার করবেন। কিন্তু সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভসই যথেষ্ট। জনবলের চেয়ে পরিমাণে কম বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তাই এই নির্দেশনা মতো কাজ করা হচ্ছে।