সামাজিক দূরত্ব মানতে বলায় সংঘর্ষ, আহত ৩

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলাকে কেন্দ্র করে রংপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় তিনজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরের নূরপুর মহাদেবপুর ও রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বরার্টসনগঞ্জ এলাকার স’মিলের সামনের একটি দোকানের সামনে নূরপুর মহাদেবপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন যুবক আড্ডা দিতে সমবেত হন। তাদের মধ্যে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব না থাকায় দোকানদার ও অন্যান্যরা তাদের সেখান থেকে দূরে সরে যেতে বলেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই যুবকরা। এক পর্যায়ে বিপ্লব, রুমন, শরিফুল, মহিদুল ও সুমন স্থানীয়দের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জাড়িয়ে পড়েন এবং হাতাহাতিতে লিপ্ত হন।

এ খবর জানাজানি হলে দুই গ্রামের অধিবাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বরার্টসনগঞ্জ এলাকার এরশাদুল হক (৪৫), হিরা লাল (৬০) ও শামছুল হক (৬৫) আহত হন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ-র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উভয় গ্রামের লোকজনদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ।

তিনি জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই-তিনজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তবে কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। উভয় পক্ষ বসে ঘটনার মীমাংসা করবেন বলেও জানান ওসি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে বিশেষ ট্রেন চলবে আগামী সপ্তাহে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে বিশেষ ট্রেন চলবে আগামী সপ্তাহে

মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে বিশেষ ট্রেন চলবে আগামী সপ্তাহে

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী সপ্তাহে পদ্মা সেতুর মাওয়া-ভাঙ্গা সংযোগ রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পরিকল্পনা করছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে।

তিনি বলেন, এর আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথে একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল।

আফজাল বলেন, প্রকল্পটি জুন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। আমরা ইতিমধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। রেল সংযোগ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

তিনি আরও বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চায়না জিটুজি সিস্টেমের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলার নতুন এলাকাজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা-যশোর-খুলনার মধ্যে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট এবং উন্নত পরিচালন সুবিধার বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি সাব-রুট স্থাপন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মালবাহী এবং বিজি কন্টেননার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। এই রুটটি কন্টেইনার পরিবহনের ক্ষেত্রে গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।

সরকার ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের অনুমোদন দেয় এবং এটি একটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

স্বার্থহানির আশঙ্কায় নতুন কারিকুলামের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের স্বার্থহানির আশঙ্কায় কেউ কেউ নতুন কারিকুলামের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে। এর মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দল, কিছু ধর্মীয় দল, কোচিং ব্যবসায় জড়িতসহ নোট ও গাইড বই ব্যবসায় জড়িতরা নিজেদের স্বার্থহানির আশঙ্কায় এই কারিকুলামের বিরোধিতা করছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) আশুলিয়ার ব্রাক সিডিএম সেন্টারে নতুন শিক্ষাক্রমের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে লেখকদের নিয়ে ৫ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুই'শ বছর ধরে আমরা প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়েছিলাম, যার ফলে মুখস্ত বিদ্যার প্রচলন হয়েছে। মুখস্ত বিদ্যা মনে থাকে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষাকে অনন্দময় করা এবং শিক্ষার্থীদের ভাবতে শিখানো ,বিশ্লেষণ করতে শিখানো, সবাই মিলে করা এই সমস্ত কিছু নতুন শিক্ষা ক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখানো হবে। শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থায় খুশি। শিক্ষকদের একটা বড় অংশ খুশি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফাহাদুল ইসলাম, ডক্টর জাফর ইকবাল, আবুল মোমেন,ডক্টর স্বরোচিষ সরকার, ডক্টর নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট লেখক বৃন্দ।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সেই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
সেই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

সেই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কোমরে পিস্তল গুঁজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি আপলোড দেওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সেই নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা হয়েছে।

জনমনে আক্রমণাত্মক, ভীতি প্রদর্শন, সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনসহ জনমনে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক)/২৭(১)(ঘ)/৩১ ধারায় মামলাটি সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বোয়ালমারী থানায় নথিভুক্ত হয়।

থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ বাবুল হোসেন বাদি হয়ে শুভ্রদেব ওরফে সুদেব বিশ্বাসকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। সোমবার বিকেলেই আসামিকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার বিকেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্রদেব সিং ওরফে সুদেব সিং কোমরের পিছনে পিস্তল গুঁজে একটি ছবি গত শনিবার (২৫ মার্চ) নিজের ফেসবুক ওয়ালে ‘দিবেন যা, পাবেন তা, ভাবনা চিন্তা কল্পনাহীন ক্যাপশন লিখে পোস্ট করেন। ফেসবুকে ছবি ছাড়ার পরপরই এলাকায় হৈচৈ শুরু পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই ভুল বুঝতে পেরে নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে পোস্টসহ ছবিটি তুলে নেন তিনি।

শুভ্রদেব সিং বোয়ালমারী পৌরসভার দক্ষিণ কামারগ্রামের সুধীর বিশ্বাসের ছেলে এবং ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র।

এ বিষয়ে শুভ্রদেবের মা মাধবী বিশ্বাস জানান, স্থানীয় কাটাগড় মেলা থেকে ভাজতির নাতির জন্য শুভ্রদেব শখের বসে খেলনা পিস্তল কিনেছে। সেই খেলনা পিস্তলটি কোমরে গুঁজে হইতো ফেসবুকে দিয়েছে। সে ছেলে মানুষ না বুঝে এটি করেছে। ভুলতো মানুষই করে।’ শুদেবের শার্ট পরা ছবিটাও তার না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এতো দামি জিনিসপত্র আমরা পাবো কই?

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী জানান, সে মেলা থেকে খেলনা পিস্তল কিনে শখের বসে ছবি আপলোড করেছিল। একটি বিরোধী চক্র ওই ছবি নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে সে না বুঝে এটি করেছে।

বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। শুনেছি সে মেলা থেকে একটি খেলনা পিস্তল কিনে কোমরে গুঁজে ছবি দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম ছবি ছাড়া ঠিক হয়নি। যদি সংগঠন পরিপন্থী কোন কাজ হয় তাহলে অবশ্যই তার (শুভ্রদেব) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, শুভ্রদেব ওরফে সুদেব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী স্টাইলে নিজের দেহের ডান পাশে কোমরে অস্ত্র গুঁজে মোবাইলে ছবি তুলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে জনমনে আক্রমানাত্বক ও ভীতি প্রদর্শন, সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনসহ জনমনে অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপরাধে মামলা করা হয়েছে। মামলা রেকর্ড হওয়ার পরই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অস্ত্রের বিষয়ে তিনি জানান, সুদেবকে আটকের পর অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি আসল কি খেলনা তা আদালত প্রমাণ করবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করা সুরতহাল প্রতিবেদন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ডাক্তারের করা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তলব করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে কারা ওই নারীকে আটক করেছিলেন এবং কাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে, তাদের নাম পদবিসহ তথ্য চেয়েছেন আদালত।এছাড়াও তার মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না সেটি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্টদের মঙ্গলবারের মধ্যে এসব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। তারা (ভুক্তভোগীর পরিবার) কোনো মামলা করেনি।

তখন হাইকোর্ট বলেন, কেন তারা মামলা করবেন? রাষ্ট্রের কী দায়িত্ব নেই? দেশজুড়ে এ ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

একপর্যায়ে হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে বলেন, আমরা ভুক্তভোগী নারীর পোস্টমর্টেম, ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট দেখবো, সেটা আগামীকাল নিয়ে আসবেন। আর ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন কর্মকর্তা ছিলেন তাদের সবার নাম-পরিচয় আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন।

আমরা দেখতে চাচ্ছি এ ঘটনার সঙ্গে আইনের কোনো গাফিলতি আছে কি না।

এসময় হাইকোর্ট আরও বলেন, জনগণ তাকিয়ে আছে ন্যায়বিচার দেখতে। আর আমরা আছি ন্যায়বিচার করতে। এরপর আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিন ধার্য করেন। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।

র‌্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত সুলতানার মামা এবং নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক বলেন, তার ভাগনি বুধবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তির মোড় থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাবের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। তবে তাকে র‌্যাবের কোন ক্যাম্পে নেয়া হয়, সে ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না। দুপুর ১২টার পর জানতে পারেন যে সুলতানা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে তিনি র‌্যাবের লোকজন দেখেন। কিন্তু ভাগনি কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ পর তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। যদিও লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে শনিবার দুপুরের পর।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব বলেন, সুলতানার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ পায় র‌্যাব। তার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে র‌্যাব অভিযোগের সত্যতা পায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তির মোড় এলাকা থেকে র‌্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়। কিন্তু আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহীতে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজশাহীতে নেয়ার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। শুক্রবার রামেক হাসপাতালে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;