কাঙ্গালিনী সুফিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকে
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড় থেকে ডান দিকে একটি রাস্তা চলে গেছে চৌড়হাস ফুলতলায়। তার আগেই এরশাদনগর নামক বস্তি এলাকা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্পে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ তে একটা ঘর বরাদ্দ পেয়েছিলেন ‘বুড়ি হইলাম তোর কারণে’ গানের গায়িকা কাঙ্গালিনী সুফিয়া।
সেখানেই এক মেয়ে ও নাতনি নিয়ে তার বসবাস। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। তাছাড়া আগের মতো আর গান গাইতে পারেন না।
আর এখন করোনার প্রাদুর্ভাবে সব কিছু বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
'ঘরে খাবার নেই কাঙ্গালিনী সুফিয়ার, গণমাধ্যমে বাঁচার আর্তনাদ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বার্তা২৪.কম।
সংবাদে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে লেখা হয়, তার ঘরে খাবার নেই, নেই ওষুধ কেনার টাকা। করোনা পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়ায় আটকা পড়ে গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে সাহায্য চেয়ে বাঁচার আর্তনাদ জানান এ শিল্পী। এরপর অনেকেই তাকে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে বার্তা২৪.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এসএম জামাল খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন কাঙালিনী সুফিয়ার হাতে।
এছাড়া কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন এবং
রাইজিং বিডির পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কাঞ্চন হালদার খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ তুলে দেন তার হাতে। এসময় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও কামনা করে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার বলেন, বেশ কিছুদিন আগে কুষ্টিয়ার ডিসি অফিস থেকে ১০ কেজি চাল ও এক কেজি আলু পেয়েছিলাম। সেটা ফুরিয়ে গেছে। মাঝে লালন একাডেমি থেকেও কিছু খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিলাম সেগুলোও নেই। এক মাস ধরে ওষুধ কেনার টাকাও নেই। কেউ খোঁজও নেয় না। এখানে আমি যে ঘরে থাকি, একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। থাকার মতো পরিবেশ নেই। প্রতি মাসে অনেক টাকার ওষুধ লাগে।
প্রসঙ্গত, কাঙ্গালিনী সুফিয়া প্রায় ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। গান রচনা করেছেন প্রায় ৫০০টি। তার বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই ও পরাণের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে।