পটুয়াখালীতে আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ম্যাপ

ম্যাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী জেলায় আরও ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক জানান, পটুয়াখালীতে এ পর্যন্ত মোট ২৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এর মধ্যে ১৫৬ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এতে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় একজন, রাঙ্গাবালী উপজেলায় চারজন, দশমিনা উপজেলায় তিনজন এবং দুমকি উপজেলায় দুই জনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দুমকি উপজেলার একজন মারা গেছেন।

গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে পটুয়াখালী জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের জনসমাগম কম থাকলেও বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে: হানিফ

বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে: হানিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, এই দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই যারা আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারে। বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে, এটা আসলে তাদের ভাঁওতাবাজি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে এই সরকার ও কমিশনের অধীনেই হবে। যেসব দলের সক্ষমতা আছে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। যারা নির্বাচনে অংশ নেবে না, ভবিষ্যতে তারাই রাজনৈতিক সংকটে পড়বে। শুরু থেকেই বিএনপির চরিত্র হলো নাশকতা করা। তবে এর ফল যে ভালো হয় না বিএনপি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। বিএনপি অতীতের মত ভবিষ্যতে আর নাশকতা করার সাহস পাবে না। তাই বিএনপির ১০ দফা নিয়ে কেউ ভাবছে না। বিএনপির দশ দফা বিএনপির কাছেই থাক।

বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ.ক.ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

নোয়াখালীতে লাখ টাকাসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নোয়াখালীতে লাখ টাকাসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার

নোয়াখালীতে লাখ টাকাসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির নগদ টাকা ও ছিনতাইকৃত ট্রাকসহ ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল সোমবার সকালের দিকে চট্রগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বড়খেড়ী গ্রামের ফরিদ বেপারীর ছেলে ওয়াহিন উদ্দিন রানা ওরফে কালা মিয়া (৩১) একই উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে মো.রুবেল (৩০)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত শনিবার ১৮ মার্চ লক্ষীপুর জেলার সবজি ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন (৪৫) স্থানীয় চাষিদের থেকে ১০ টন ঢেঁড়শ ক্রয় করে। এরপর ট্রাক বোঝাই করে ঢাকা শহরে কারওয়ান বাজারের পাইকারী সবজি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লক্ষীপুর জেলার বয়ারচর রুহুল আমিন মার্কেটের সামনে থেকে রওয়ানা দেয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢেঁড়শ বোঝাই ট্রাকটি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাইমুড়ী হাইওয়ে রোডের বগাদিয়া গ্রামের চেরাং বাড়ির সামনে পৌঁছালে ডাকাত চক্র তাদের ট্রাকের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে ট্রাক চালক ও হেলপারের কাছ থেকে নগদ টাকাও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ট্রাক বোঝাই ১০ টন ঢেঁড়শ ট্রাকসহ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এসপি আরো জানায়, গতকাল সোমবার সকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গুপ্তচরের মাধ্যমে আসামিদের সনাক্ত করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তাদের হেফাজত ও স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢেঁড়শ বিক্রির ১ লাখ ৪৬ টাকা এবং ছিনতাইকৃত ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

একনেকে ৪৬০১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
একনেকে ৪৬০১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে ৪৬০১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। এরমধ্যে নতুন প্রকল্প চারটি। বাকি পাঁচটি প্রকল্পই সংশোধিত। এই ৯ প্রকল্পে নতুন করে ১ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে ৯ প্রকল্পে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। এরমধ্যে ছয়টি প্রকল্পে ৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে দিচ্ছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), জাইকা, ইএনডিপি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাংক।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) দশম সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের একটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের একটি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রকল্প রয়েছে একটি।

জননিরাপত্তা বিভাগের ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে ২২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এটি মূল ব্যয়ের চেয়ে ২৮৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটিতে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিচ্ছে জাপান।

জানা গেছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৯ সালে একটি প্রকল্প নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের জন্য ৩৫টি বিশেষ যানবাহন কেনা। এজন্য ব্যয় ধরা হয় ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তাতেও শেষ না হওয়া বাস্তবায়ন মেয়াদ আরও এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে ১৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৯২৮ কোটি টাকা। জাইকার ৮০৭ কোটি টাকা ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)।

এছাড়া দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় ৩৭ কোটি ৪৭ টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১১১ কোটি টাকা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পে মূল অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটির প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৯৮ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়। এখন তৃতীয় সংশোধন প্রস্তাবে দুই কোটি টাকা কমিয়ে ৯৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পটিতে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিচ্ছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প আজ একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১৮৬৮ কোটি টাকা। এখন সংশোধনী প্রস্তাবে ৫৮৮ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৪৫৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পটিতে ২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

নতুন চারটি প্রকল্পের মধ্যে- দেশে ২৫০টি সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা, দ্বিতীয় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা।

সংসদ সচিবালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘প্রজেক্ট ফর দি ইম্প্রুভমেন্ট অব ইক্যুইপমেন্ট ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৭৪ কোটি টাকা দেবে জাইকা। আর বাকি ২৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ৪২৬ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকার দেবে ১৫৭ কোটি টাকা। বাকি ২৬৮ কোটি টাকা ইইউ এবং ইউএনডিপি দেবে ঋণ হিসেবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ঠাকুরগাঁওয়ে আম উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা



রবিউল এহ্সান রিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে আম উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা

ঠাকুরগাঁওয়ে আম উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাস্তার ধারে, বাড়ির আঙিনায়, মাঠ ঘাটে ও আনাচে কানাচে গাছের ডালে থোকায় থোকায় সাদা হলুদ ও সোনালী বর্ণে শোভা পেয়েছে আমের মুকুল। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা চারপাশ। এসব মুকুলে মধু সংগ্রহে আকুল মৌ-মাছিরা। গাছে গাছে মুকুলের মনমাতানো এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আকৃষ্ট করছে যে কাউকে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ঠাকুরগাঁও জেলার আম গাছ গুলোতে ব্যাপক মুকুল আসায় গত বারের তুলনায় এবার বেশি আম হতে পারে। গত বছর আমের মৌসুমে তিন করে শীলাবৃষ্টির কবলে পড়ে আমের ক্ষতি হলেও এবার আবহাওয়া ভালো থাকলে ব্যাপক আম উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিকরা।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়সহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপার্লমারসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছের মুকুল ও ফল ধরে রাখতে এবং গাছের পরিচর্যা ও পোকা দমনে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক স্প্রে করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষি ও বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা।

পাচঁ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৮৪৪টি আম বাগানেই ধরেছে মুকুল। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমি। এছাড়াও বসত বাড়িরসহ মোট ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমির আম গাছে মুকুল হয়েছে। এসব গাছ থেকে এবার জেলায় মোট ৪৯ হাজার ১৮৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি আম উৎপাদন হতে পারে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক।

গতবার আবহাওয়ার কারণে আম চাষে কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার গাছে ব্যাপক মুকুল আসায় খুশি বাগান মালিকরা। ঝড়বৃষ্টি না হলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা তাদের। এছাড়াও সরকারিভাবে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরও বেশি লাভবান হবেন বলে জানান আম চাষিরা।

পীরগঞ্জ উপজেলার আম চাষি মো. আহসান হাবিব ২০ একর জমিতে আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়িসহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপালমারসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছের বাগান করেছেন। তার বাগানে প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ জন শ্রমিক কাজ করে আয় করছেন।


বাগানের প্রতিটি গাছেই মুকুল এসেছে। তিনি বলেন, ‘গত বছর তিন দফায় শীলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার আম বাগানে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আল্লাহর রহমতে গত বছরের থেকেও এবার গাছ গুলোতে ভালো ও বেশি মুকুল এসেছে। আশা করি তেমন ঝড়বৃষ্টি না হলে ভালো আম হবে ও আগের বার যা ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে পারবো।,

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এদিকে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা আম উৎপাদন করে তেমন লাভবান হতে পারিনা। সরকার যদি আমাদের এসব উৎপাদিত আম বিদেশে রফতানি ও এলাকায় আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমরা আরও লাভবান হতে পারতাম এবং আম চাষে কৃষকরা আরও বেশি আগ্রহী হতো। কারণ আগের তুলনায় এখন এইদিকে ব্যাপক আম চাষ হচ্ছে কিন্তু সবার বাগান বা গাছের আম প্রায় একই সময় পরিপক্ক হয়। ফলে সকল গাছের আম একসাথে বাজারে উঠে। যার কারণে একসাথে এতো আমের ক্রেতা পাওয়া যায় না। তাই যদি সরকার আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারতাম ও ভালো মূল্যে বিক্রিও করতে পারতাম।’

এবার যে হারে আমের মুকুল এসেছে সেগুলো ধরে রাখতে পারলে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে গাছে সেচ, আমের মুকুল ও গুটি ঝড়া রোধে কীটনাশক স্প্রেসহ আমের ফলন সম্প্রসারণে সকল প্রকার পরামর্শ আমরা আম চাষিদের দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও রফতানি যোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতার মাধ্যমে জেলায় আম সংরক্ষণের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা বিভিন্ন মিটিং ও সেমিনারে আমাদের ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। আশা করি ঠাকুরগাঁওয়েও একসময় আম সংরক্ষণে আমভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;