খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কারখানায় প্রবেশ করছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

কারখানায় প্রবেশ করছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস রোধে ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফা বাড়ানোর পর ৫ মে পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এ সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান।

বন্ধ ছিল পোশাক খাতও। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোববার (২৬ এপ্রিল) থেকে রফতানিমুখি পোশাক কারখানাগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ। সে অনুযায়ী রোববার সকালে সাভারের বেশিরভাগ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
কারখানায় যাচ্ছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে ছুটি পেয়ে যারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন, তারা যে যেভাবে পেরেছেন, সাভারে ফিরে যোগ দিয়েছেন কর্মস্থলে।

রোববার সকালে সাভারের বাড়ইপাড়া, জিরানীবাজার, বাইপাইল, নবীনগর, কাঠগড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ কারখানাই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড দিয়ে হেঁটে হেঁটে কারখানায় যাচ্ছিলেন পোশাক শ্রমিক শিউলি। তার সাথে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতকাল সুপারভাইজার ফোন করে বলেছে, আজ থেকে তাদের কারখানা খুলে দেবে। বাস বন্ধ, তাই কখনও ট্রাকে, কখনও পিকআপ ভ্যানে, অটোরিকশায় করে আবার কখনো পায়ে হেঁটে প্রায় ১৬ ঘণ্টায় সাভারে এসেছি। 

কারখানায় যাচ্ছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ডিইপিজেড বাসস্ট্যান্ড দিয়ে কারখানায় যাচ্ছেন মরিয়ম নামের এক পোশাক শ্রমিক। তিনি বলেন, কারখানা কতৃপক্ষ বলেছে, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তারা নিয়েছে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে মাস্ক পড়ে কারখানায় যাচ্ছি। হায়াত থাকলে কিচ্ছু হবে না ইন শা আল্লাহ।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বলেন, আজ এ শিল্পাঞ্চলের অর্ধেকের বেশি কারখানা খুলে দিয়েছে। শ্রমিকরাও কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা কে কোন এরিয়া থেকে এসেছেন, করোনা আক্রান্ত এলাকা কি না, তা আমরা জানি না। বিভিন্ন জেলার শ্রমিকরা এসেছেন। তারা কাজও করবেন একই ছাদের নিচে। ফলে করোনা ঝুঁকি বাড়ল শ্রমিকদের। দেশের স্বার্থে কারখানা খোলা রাখতে হবে। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে ফেরা শ্রমিকরা ১৪ দিন ঘরে সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইনে) থাকার পর কাজে যোগ দিলে ভালো হতো।