শ্রমিকদের কল্যাণের নামে চাঁদার টাকা কোথায়: সেলিম ওসমানের প্রশ্ন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জে পরিবহন শ্রমিক সমিতির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা পরিবহনের সাথে জড়িত আছেন তারা মানুষের সেবায় ও অর্থনৈতিক চাকা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু আমি অবাক হই কারণ আপনারা গাড়িতে উঠার আগেই আপনাদের সমিতির নেতাদের যে চাঁদা দিতেন শ্রমিকদের কল্যাণের নামে। আজকে সেই বিশাল অঙ্কের টাকা কোথায়?

শনিবার (৯ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কলেজ ভবনে আয়োজিত এক বৈঠকে শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদানের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমি শ্রমিক নেতাদের বলতে চাই, ঈদের আগে শ্রমিকদের সন্তুষ্ট করতে হবে। যদি ঈদের আগেও তাদের মাঝে অসন্তোষ থেকে যায় তাহলে সে সব চাঁদার বিষয় দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দরকার হলে পরিবহন শ্রমিকদের মাধ্যমেই পরিবহনগুলো পরিচালিত হবে।

তিনি নৌকায় বাড়তি যাত্রী তোলায় মাঝিদের সতর্ক করে বলেন, আপনারা কোনো অবস্থায় নৌকায় বাড়তি চাপ নিবেন না। যতদিন করোনা থাকবে ততদিন আপনারা ৫ টাকা করে ভাড়া আর ৮ জন যাত্রী নৌকায় তুলবেন। অফিস টাইমে চাপ বাড়লে ১০ জন যাত্রী নিবেন। এছাড়া বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ট্রলার গুলো পুনরায় চালু করা হবে। প্রতিবছরের মত রমজান উপলক্ষ্যে ঈদের দিন পর্যন্ত ট্রলারগুলো ফ্রি পারাপারে নিয়োজিত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের ভেতর আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, নাসিকের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সেলিম ওসমান তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরিবহন শ্রমিক, অটোরিকশা চালক, নৌকার মাঝি ও অসহায় নারীসহ মোট ২৭০০ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে ৫৪ হাজার কেজি চাল বিতরণ করেন। তিন দফায় শহর ও বন্দরে মোট ১৮ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ২ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।