অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শোক
শিক্ষাবিদ, লেখক, জাতীয় অধ্যাপক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এক শোক বার্তায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৯২ সালে শহীদ জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের প্রতীকী বিচারের জন্য গঠিত গণআদালতের অন্যতম অভিযোগকারী ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আমৃত্যু নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নাগরিক আন্দোলনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এবং সর্বোপরি জাতীয় জীবনে যে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবে না।
ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি সংবিধানের অনুবাদক, দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনের অগ্রবর্তী মানুষ। নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাকালে তার অসামান্য অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আমরা তার পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।