গাইবান্ধায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে
উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
জানা যায়, গাইবান্ধার বুক চিরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, করতোয়াসহ বিভিন্ন নদ-নদী। গত কয়েকদিনে উজান থেকে নেমে
আসা পানির ঢলে ৪টি উপজেলার কাপাশিয়া, হরিপুর, কামারজানি, গজারিয়া, খাটিয়ামারী, হলদিয়া ও পালপাড়াসহ অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে এসব অঞ্চলের মানুষের আবাদ করা পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা ও সবজিসহ বেশ কিছু ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকে আবার গলা পানিতে নেমে পাট কাটা শুরু করেছে। তাছাড়া অন্যসব ফসল ঘরে তোলার সুযোগ নেই। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নদী তীরবর্তী মানুষ পড়েছেন বেশি বিপাকে।
কামারজনি চরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কলিম উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে পাট ও এক বিঘা জমিতে সবজি আবাদ করা হয়েছিল। সম্প্রতি নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়া এসব ফসল ডুবে গেছে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে জানান, নদীতে আকস্মিক পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। এখনো যেসব পাট ক্ষেত পানির উপরে রয়েছে সেগুলো কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কোন বরাদ্দ পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদু মতিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এরই মধ্যে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।