ট্রানজিট প্রদান আমাদের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে: চরমোনাই পীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর বলেছেন, ট্রানজিট দেয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশ কোন কিছু আদায় করতে পারেননি; বরং বিনা শর্তে এমনকি প্রায় বিনা মাসুলে ট্রানজিট দেয়া হয়েছে। ট্রানজিট প্রদান আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। নিজেদের সার্বভৌমত্বের ওপরে থাকা অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পেছনে ভারতের অবদানের প্রতিদান হিসেবে তাদেরকে (ভারত) রেল ট্রানজিট দিয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপে সূচনা বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, বর্তমান সরকারের সৃষ্ট নানাবিধ সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফর সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। যে চুক্তিগুলো করা হয়েছে, তাতে কোন আওয়ামী লীগ সমর্থনকারীও বাংলাদেশের স্বার্থ দেখাতে পারছে না। কানেক্টিভিটির নামে যা করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় পরিষ্কার হয়েছে। বাজার করতে যাওয়া ও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এর মূল লক্ষ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী যখন সীমানা বিহীন ইউরোপের দৃষ্টান্ত দেখান তখন সীমানা ও স্বাধীনতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত না হয়ে পারি না। 

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনাহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও খামখেয়ালিপনার সর্বশেষ দেখা গেলো নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার চুক্তি থেকে। ভারতের গ্রিড ব্যবহার, ভারতকে দুই ধরণের মাসুল দিয়ে আনা এই বিদ্যুৎ বিদ্যুৎখাতকে অনিরাপদ ও ভারত নির্ভর করবে। কম দামের যুক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে, অথচ সবার আপত্তি উপেক্ষা করে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নামে যে যুক্তিতে, যেভাবে ও যে পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয় তাকে মগের মুল্লুকি ছাড়া আর কিছু বলার নাই।

তিনি বলেন, নেপাল-ভুটানের সাথে আমাদের বহুল কাঙ্খিত ট্রানজিট না পাওয়া, তিস্তা, গঙ্গার পানি নিয়ে কোন অগ্রগতি না হওয়া, সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ না হওয়া, সেভেন সিস্টারে আমাদের বাণিজ্য সম্ভবনা নষ্ট করা এবং নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি, কৌশলগত ভূরাজনীতির নানা জটিলতা সত্ত্বেও যেভাবে ট্রানজিট দেয়া হয়েছে তাতে বাংলাদেশের স্বাধীন সত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ভারত সরকার আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে পশ্চিমবাংলাকেও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বিবেচনায় রাখে। বর্তমান সরকার স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবাংলার চেয়েও গুরুত্বহীন করে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ইউপিআই চালুর মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে তুলে দেয়ার পাঁয়তারা করা হয়েছে। পানি বন্টন নিয়ে যে যৌথ কমিটি করা হয়েছে তা নিছক সস্তা ও বহুল ব্যবহৃত একটি আইওয়াশ। তিস্তা প্রকল্প ভারতের হাতে তুলে দেয়ার পাঁয়তারা করা হয়েছে।

চরমোনাই পীর বলেন, এই নির্মম ও কঠিন বাস্তবতাকে সামনে রেখে আমাদের চুপ থাকার সুযোগ নেই। এই সরকার ফেরাউনি স্টাইলে যে নির্যাতন নিপীড়ন করে তার শিকার আমরা কম-বেশি সবাই। তারপরেও প্রিয় স্বদেশ যখন তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্নের মুখে, তখন রুখে দাঁড়ানো আমাদের সকলের সমান দায়িত্ব। আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোন জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি, বিজয় আমাদেরই হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউর রহমান গাজীর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণফোরামে (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

শেখ হাসিনার সাহস ও দূরদর্শিতা আমাদের বিশাল সম্পদ: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের সোনালী ফসল আজকের এই পদ্মা সেতু। তাঁর সাহস ও দূরদর্শিতা আমাদের বিশাল সম্পদ। সংকটেও তিনি অকুতোভয়ে এগিয়ে যান।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করতে চাইলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানোর সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। প্রথম স্প্যান বসাতে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে চাইলে তিনি সেদিন বলেছিলেন, আমার জন্য পদ্মা সেতুর কাজ এক মিনিটের জন্যও বন্ধ থাকবে না। প্রবল স্রোতে পদ্মার ভাঙনের সময়ও ভাঙন প্রতিরোধে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে চেয়েছিলাম, সংসদেও দাবি উঠেছিল। দাবি করেছিলেন সারা বাংলাদেশের বহু মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি কোনভাবেই আমার নাম ব্যবহার করব না। সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে।

সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে আপনার নাম (শেখ হাসিনা) মিশে গেছে। যতদিন পদ্মা সেতু আছে ততদিন শেখ হাসিনার নামও উচ্চারিত হবে স্বগৌরবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা অকুতোভয়ে সংকটেও এগিয়ে যান। অসত্যের কাছে নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর। তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের আরো গর্বিত করেছেন, জাতিকে দারিদ্রতা থেকে বের করে এনেছেন, দূর করেছেন অন্ধকার।

;

খুলনা জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে পাইকগাছা থেকে কয়রা পর্যন্ত ৫০০০ বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র ৩ মাসব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বৃক্ষ রোপন করা হয়।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।

বৃক্ষরোপন শেষে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, গাছ মানুষের ও পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু। গাছ মানুষকে খাদ্য দেয়, পুষ্টি দেয়, চিকিৎসার উপকরণের কাঁচামাল সরবরাহ করে। এছাড়াও গাছ আমাদের জীবনধারণে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করে। বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাবে উচ্চ তাপমাত্রা, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে গাছ আমাদের রক্ষা করে। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার আহ্বারন সাড়া দিয়ে আসুন আমরা সবাই গাছ লাগাই, নিজে বাঁচি এবং দেশকে বাঁচাই। তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে হলে আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র তিন মাস গাছ লাগাতে হবে।

খুলনা জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. খান খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও খুলনা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মানিকউজ্জামান অশোকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি মাহাবুব উল আলম শান্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, ভারপ্রাপ্ত প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাদশা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীমা সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোছা. হালিমা রহমান সহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ।

;

ভারত সফরে শেখ হাসিনা দেশের সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়েছে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার এখন ভারতের সাথে স্যাটেলাইট চুক্তি করেছে। ভারতের স্যাটেলাইট এখন বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় তদন্ত তদারকি করতে পারবে। আমার দেশের সিকিউরিটি ভারতের হাতে চলে গেছে। এবারের ভারত সফরে শেখ হাসিনা আমাদের দেশের সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারত তথাকথিত সিকিউরিটির নামে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হতে দেয় না। ১৫ বছর ধরে গায়ের জোরে একটা সরকার ক্ষমতায় বসে আছে তাকেই ক্ষমতায় রাখবার চেষ্টা করে। আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে চাই কিন্তু ভারত আমাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারতো ট্রানজিট দেয়নি, সরকার সরাসরি করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে আসবে, এই ট্রেন মালবাহী ট্রেনও হতে পারে। ট্রেনের মধ্যে কি থাকবে আমরা সেটা জানি না। যদি কোনো দেশ মনে করে এই মালগাড়ির মধ্যে অস্ত্র আছে এবং তারা যদি বলে আমরা এই ট্রেনকে বাঁধা দিবো তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশকে আপনারা (আওয়ামী সরকার) একদিকে ভারত এবং চীনের যে সমস্যা চলছে তার জায়গা তৈরি করেছেন। ট্রানজিটের পাশাপাশি যেরকমভাবে স্যাটেলাইট সৃষ্টি করা হয়েছে আমার দেশের সমস্ত মধ্যকার গোপন তথ্য ভারতের কাছে চলে যাবে। ভারতের সাথে যে সমঝোতা স্মারক করা হয়েছে এগুলো তাড়াতাড়ি বাতিল করেন তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে।

ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।

;

সাতক্ষীরায় কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম কাগুজিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সরল কুমার বিশ্বাস।

নিহত কাশেম স্থানীয় মৃত নেছার আলী কাগুজির ছেলে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সরল কুমার বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার সোয়া ১২টার দিকে নিজ বাড়ির সন্নিকটে খোলপেটুয়া গ্রামের মাছের ঘেরে অবস্থানকালে আবুল কাশেম কাগুজি (৪৫)-কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘের কর্মচারীদের খবরে পরিবারের লোকজন ও পুলিশ সেখানে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা করা হয়নি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

কাশেম কাগুজির ছেলে আবু হুরাইরা জানান, গাবুরা এলাকাটি অত্যন্ত সন্ত্রাসপ্রবণ জনপদ। এখানে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ লেগেই থাকে। তার বাবা অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির। তাকে যারা হত্যা করেছে সেসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন তিনি।

কৃষক লীগের শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম খোকন বলেন, আবুল কাশেম কাগুজি কৃষক লীগের গাবুরা ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সংগঠন ও দলের নিবেদিত নেতা ছিলেন কাশেম। রাতের কোনো এক সময়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে কাশেমকে। গাবুরার খোলপেটুয়া তথা ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকাটিকে অত্যন্ত সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

;