তিন কৌশলে বেশি জোর আওয়ামী লীগের



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

  • Font increase
  • Font Decrease
  • জনপ্রিয় ও উইনেবল প্রার্থীদের দলীয় সবুজ সংকেত গোপনে দেওয়া

  • একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কঠোরভাবে দমন করা

  • নির্বাচন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকা

চলতি বছরের শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বাকি মাত্র দেড় মাস। ইতিমধ্যেই সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। নানা সমীকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জোট-মহাজোটও। তাই নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্যে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আরো বেশি তৎপর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি দলীয় কোন্দল মেটাতে তিন কৌশলের উপর জোর দিচ্ছেন তারা।

দলের নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামত, জরিপ, মাঠ পর্যালোচনা ও অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে তফসিলের আগেই নিজ নিজ আসনে জনপ্রিয় ও উইনেবল প্রার্থীদের দলীয় সবুজ সংকেত গোপনে দেওয়া, একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কঠোরভাবে দমন করা এবং দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল মেটাতে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকার কৌশলের উপর এখন জোর দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্য বার্তা২৪.কম এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) জনমত জরিপ, তৃণমূলের মতামত, সব কিছু মিলিয়ে যিনি উইনেবল ক্যান্ডিডেট তাকেই মনোনয়ন দেবেন। অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিদের তফসিলের আগেই গোপনে সবুজ সংকেত দেয়া হবে। যোগ্য প্রার্থীদের কাছে কেন্দ্র থেকে নেত্রীর বার্তা পৌঁছে যাবে। তাদের আরো বেশি করে জনগণের কাছে যেতে বলা হবে। আপা (শেখ হাসিনা) সবার খোঁজ-খবর রাখেন। তিনি মাঠের সব হিসাব-নিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আর দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। বিদ্রোহীদের অতীতে দু’একবার ছাড় দেয়া হলেও এবার আর তেমনটি হবে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, অনেক আগে থেকে আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক প্রস্তুতিও চলছে। আমাদের নেতাকর্মীরাও মাঠে নেমেছেন। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই কয়েক ধাপে তৃণমূলের নেতা ও দলীয় জনপ্রতিনিধিদের গণভবনে ডেকে বিশেষ বর্ধিত সভা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দলীয় মনোনয়ন বা গ্রুপিংয়ের কারণে নিজেদের মধ্যকার বিদ্যমান বিভেদ দ্রুত সমাধান করারও নির্দেশ দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে হ্যাট্রিক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে দুই বছর ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির চেয়ে সব দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে চান তারা। দলীয় প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন, উন্নয়ন প্রচার, বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরতে উঠান বৈঠক, বর্ধিত সভা, কর্মিসভা, পথসভা, জনসভাসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি শুরু করা দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর ইতিমধ্যেই শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ১৫টি টিমে বিভক্ত হয়ে এই সফর করেন। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফর করছেন। প্রথমে তিনি বিভাগীয় শহরগুলোতে যান। এখন তিনি জেলা পর্যায়ে সফর করছেন। সর্বশেষ তিনি পাবনা সফরে গিয়ে বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠনের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর এই সফর চলবে। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আবারো বিভাগ ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মীসভা শুরু করবেন। বিরোধপূর্ণ জেলা-মহানগরকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই কর্মী সভাগুলোর মাধম্যে তৃণমূলের নেতাদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ করা হবে বলে জানা গেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনায় অংশ নিতে আওয়ামী লীগের ডজনখানেক কেন্দ্রীয় নেতা সিলেটে যান। সিলেট মহানগর ও জেলা আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় অংশে নেন তারা। সূত্র জানিয়েছে, আলোচনা সভার পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়েছে। সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনের স্থানীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব, বিশ্বাসঘাতকতা ও সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রমাণ পেয়েছিল কেন্দ্রীয় হাই কমাণ্ড। সেগুলো নিয়ে সেখানে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করার নিদের্শ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহ ও গ্রুপিং সহ্য করা হবেনা বলেও হুশিয়ারি দিয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগের হাইকামাণ্ড। জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে  ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে খুব শিগগির সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটি পুর্নগঠিত হতে পারে। মেয়াদউত্তীর্ণ বর্তমান কমিটির শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তন আসতে পারে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা কি করেছেন, দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্বাসঘাতকরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নৌকাকে পরাজিত করেছেন, নৌকা ঠেকানোর নেতৃত্ব কে দিয়েছেন? এসব আত্মবিনাসী প্রতিযোগিতাকারীরা রেহাই পাবেন না। অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সব খতিয়ে দেখছি, দোষ প্রমাণ হলে রেহাই নেই-নৌকার বিরোধিতাকারী যতবড় প্রভাবশালীই হোন না কেন রক্ষা পাবেন না।

   

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা বৃহস্পতিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

;

ভারত শত্রু রাষ্ট্র হলে সালাহউদ্দিন নিরাপদে আছেন কিভাবে, ফখরুলকে কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় 'বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমনটি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন— বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই। আপনাদের যদি শত্রু রাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাউদ্দিন এতো দিন নিরাপদে কেমন করে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনে তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনো হানি ঘটেনি। এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধু রাষ্ট্রকে?

বুধবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সংস্কৃতিক উপ কমিটির "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়" সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুল আজিমের ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউটাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত দুই তিন দিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোয়াশা ছিল। তার পরিবারসহ কেউ জানে না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তা ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। এখানে বন্ধু রাষ্ট্রের...।

তিনি বলেন, তাকে (আনোয়ারুল আজিম) যারা হত্যা করেছে, যে ফ্ল্যাটটিতে সেটা বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয়জনের মতো, এর মধ্য পাঁচ জনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটা নিয়ে... কথা কথা 'যার দেখতে নাড়ি, চলন বাঁকা', এই ধরনের উক্তি করা সমীচীন না।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

;

জিয়া কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলছে।

বুধবার (২২ মে) দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘুরে দাঁড়ালাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬.৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতা। বৈঠকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা গাজার নিষ্ঠুর ও বর্বরতম হত্যাকে গণহত্যা বলতে চায় না তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।

বুধবার (২২ মে) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখলাম, ডোনাল্ড লু আসলেন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প ব্যক্ত করলেন এখানে মিটিং করে। সেখানে আবার, তিনি যেতে না যেতেই নিষেধাজ্ঞা এসে গেলো। আগে সাতজন এখন আবার একজন যুক্ত হলো।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনে অনেকে প্রার্থী ছিলেন, তাদের না পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। আমাদের দুর্দশী লিডারশীপ ছিল বলে আমরা সফল হয়েছি। রিজার্ভ সিটের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ১৩শ' প্লাস। পরিস্থিতি এমন যে কাকে রেখে কাকে দেবো। অনেকে প্রার্থী ছিলেন, অনেকের স্বপ্ন ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, এ কারণে দু:খ পেয়েছেন।

কাদের বলেন, আগে নারীরা, তরুণরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, শেখ হাসিনার ম্যাজিকেল লিডারশীপে এখন তরুণ ও নারীরা এক বাক্যে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবেন, এটা আমরা লক্ষ্য করেছি।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

;