টাইগারদের হতাশার দিনে কিউইদের ব্যাটিং দাপট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শরিফুল ইসলামের উইকেট উদযাপন

শরিফুল ইসলামের উইকেট উদযাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

বল হাতে বাজে একটি দিন কাটল টাইগারদের। তাদের ক্ষুরধারহীন বোলিংয়ের সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। টপ অর্ডারদের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় ক্রাইস্টচার্চের বে ওভালের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। অতিথিদের একমাত্র সাফল্য বা প্রাপ্তি শরিফুল ইসলামের নেয়া উইল ইয়াংর উইকেটটি। 

উইল ইয়াং ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডবটা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার টম লাথাম রয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরির পথে। আর ওয়ানডাউনে নামা ডেভন কনওয়ে আছেন সেঞ্চুরি ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে। দুজনের ব্যাটিং ঝলকে রানের পাহাড় গড়তে যাচ্ছে ব্ল্যাক ক্যাপস শিবির। লাথাম ও কনওয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে পুরো ৯০ ওভার খেলে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ফলে রান চাপায় পড়ে হতাশার এক দিন কাটল বাংলাদেশের। 

সবুজ উইকেটের সুবিধাটা নিতে টস জিতেই বোলিং বেছে নেন টাইগার ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। উল্টো সুবিধাটা নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকেই দুরন্ত ব্যাটিং দাপট দেখিয়ে গেছেন দুই কিউই ওপেনার। অধিনায়ক টম লাথাম ব্যাটিং ঝলকে আদায় করে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের দ্বাদশ টেস্ট শতক হাঁকিয়ে এখনো ব্যাটিংয়ে টিকে আছেন লাথাম দ্বিশতক ছোঁয়ার নেশায় (২৭৮ বলে ২৮ বাউন্ডারিতে ১৮৬* ব্যাটিং)। ১৪৮ বলে ১০ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় দিন শেষে ৯৯* রানে অপরাজিত রয়েছেন তার ব্যাটিং পার্টনার ডেভন কনওয়ে। ৩১২ বলে ২০১* রানে অবিচ্ছিন্ন রয়েছে তাদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।

তার আগে ফিফটি করে ফিরেছেন লাথামের ওপেনিং পার্টনার উইল ইয়াং। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম ছোবলটা মারেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার ছোঁড়া বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন ইয়াং। তবে তার আগে ১১৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ২২৮ বলে ১৪৮ রানে থামে লাথামের সঙ্গে তার উদ্বোধনী পার্টনারশিপ।

এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে টস ভাগ্যটা দারুণ পয়া মুমিনুল হকের জন্য। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও টস ভাগ্য সহায় হয় তার। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। হ্যাগলি ওভালের সবুজ উইকেটের ফায়দা লুটতে শুরুতেই বল হাতে মাঠে নামেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। 

একাদশে দুটি বদল নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামেন টাইগাররা। আঙুলের চোট নিয়ে মাঠের লড়াই থেকে ছিটকে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার বদলে ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলামের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈম। আর কুঁচকির চোট নিয়ে দর্শক বনে গেছেন মুশফিকুর রহিম। তারকা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের বদলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।

স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের একাদশেও এসেছে একটি পরিবর্তন। রাচিন রবীন্দ্রের জায়গায় দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ড্যারিল মিচেল।

এই ম্যাচ খেলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন রস টেলর। বিদায়ী টেস্ট নিয়ে খানিকটা হলেও আবেগতাড়িত নিউজিল্যান্ডের এ সিনিয়র ক্রিকেটার। তবে তার চোখে নেই জল। পুরো পরিবার নিয়ে মাঠে আসেন তিনি। টেলরের সঙ্গী হন তার স্ত্রী ও সন্তানরা।

মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্সে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে ড্র করলেও সিরিজ জিতে নিবে সফরকারীরা। আর জিতলে তো কথাই নেই। তবে যে করেই হোক এ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় ফিরতে চায় ব্ল্যাক ক্যাপস শিবির। সিরিজ বাঁচিয়ে কিউইরা সংগ্রহ করতে চায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মূল্যবান পয়েন্ট।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: টম লাথাম (অধিনায়ক), উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, রস টেলর, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল (উইকেটরক্ষক), ড্যারিল মিচেল, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনার ও ট্রেন্ট বোল্ট।

   

স্বপ্নভঙ্গের অতীত ভুলে কোয়ার্টার নিশ্চিতের ম্যাচ আর্জেন্টিনার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৬ জুন বুধবার সকাল ৭টায় চিলের বিপক্ষে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। যেখানে জয় পেলেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারলে শঙ্কায় পড়ে যাবে চিলির কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা। তাই দু’দলই মুখিয়ে আছে এ ম্যাচে জয় তুলতে।

কোপার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, তার ওপর বিশ্বকাপজয়ী দল আর্জেন্টিনা। তাদের বিপক্ষে এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা চিলির জন্য কঠিনই। তবে তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে কোপার ফাইনালে হারানোর মধুর স্মৃতি। তবে পুরনো অতীত আর নতুন করে মনে রাখতে চায় না আর্জেন্টিনা। চিলির বিপক্ষে জয় তুলে সবার আগে কোয়ার্টারে পা রাখতে চায় আলবিসেলেস্তেরা।

তবে আর্জেন্টিনার কাজটি অবশ্য সহজ হওয়ার কথা নয়। কেননা, দু’দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান বলছে সবশেষ পাঁচবারের দেখায় আর্জেন্টিনা ২ বার জয় পেলেও বাকি তিনবার তাদের জয় রুখে দিয়েছে চিলি। তাই আর্জেন্টিনাকে সতর্ক থাকতেই হচ্ছে। তবে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি অবশ্য জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের ফাইনালে কোনো কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই। আমরা যেমন এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। গত ম‍্যাচের আগে বলেছিলাম, এটা এখন শেষ হয়ে গেছে। ফুটবল এমনই। সময় এগিয়ে যায়, চাকা ঘুরতে থাকে। বল কখনও থামে না আর সত্যিই কোনো কিছু রেখে যায় না। সব কিছুই ইতিহাস। অতীতে ফিরে যাওয়ার কোনো অর্থ নাই।’

কাজেই কোপার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও বিশ্বকাপজয়ীদের হারাতে বেশ ধকলই পোহাতে হবে চিলিকে। তাই আর্জেন্টিনাকে রুখে দেওয়াটাই হবে চিলির প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কতটা প্রতিরোধ গড়তে পারে চিলি সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। তবে আর্জেন্টিনা ভক্তরা অবশ্য স্বপ্ন দেখছে বড় জয়ের। সঙ্গে মেসির গোলের। মেসিও নিশ্চয় সেটি করে দেখাতে চাইবেন।

;

বিশ্বকাপ থেকে যত আয় হলো বাংলাদেশের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পার করে সেমিফাইনালেও খেলার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো যেকোনো বিশ্বকাপ মঞ্চেই সেমির টিকিট কাটার বেশ সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল নাজমুল শান্তর দল। কিন্তু আফগানিস্তানের সঙ্গে হারের মাধ্যমে সকল স্বপ্ন ভেস্তে গেল টাইগারদের।

আজ (মঙ্গলবার) সকালে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য টপকাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে হারে তারা। অপরদিকে ঐতিহাসিক এই দিনে জয় তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ছিটকে বিশ্বকাপের সেমিতে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয় আফগানরা।

বিশ্বকাপ সফর এখানেই শেষ শান্ত-সাকিবদের। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি ছিল এই ফরম্যাটের নবম আসর, যেখানে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানির ব্যবস্থা করেছে আইসিসি। গতবার যেই প্রাইজমানির পরিমাণ ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি টাকা, এবার তা দ্বিগুণ পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা।

এবার সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে। সে হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়ায় বাংলাদেশ দল শুধু প্রাইজমানি হিসেবেই এই পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে।

পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকার সমান। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি।

এছাড়া সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। এর বাইরে ম্যাচ ফি, ম্যাচসেরার পুরস্কারসহ অন্যান্য আয় তো থাকছেই।

;

দেশের মানুষদের 'স্যরি' বললেন অধিনায়ক শান্ত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সাথে হারের পর সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, তখন পর্যন্ত তিন জয় আর তিন হারের সঙ্গে এই বিশ্বকাপটা খারাপ যাচ্ছে না টাইগারদের। যেটা নিয়ে হয়েছিল নানা সমালোচনা। আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচের পর হারের সংখ্যাটা এখন চার। যে তিনটা জয় এবার এসেছে সেগুলোও তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, নেপাল আর নেদারল্যান্ডসের। আরেক দল হচ্ছে শ্রীলঙ্কা, যাদের বিপক্ষেও একদম শেষ মুহুর্তে যেয়ে জিতেছে বাংলাদেশ।

বড় ম্যাচে কিংবা বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দলের হ-য-ব-র-ল পারফর্ম্যান্স যেন চলেই আসছে। এটার মূল দায় শুধুই ব্যাটারদের। যে ম্যাচগুলো বাংলাদেশ জিতেছে সবগুলোই জিতিয়েছেন বোলাররা। যে দুটো ক্লোজ ম্যাচ বাংলাদেশ হেরেছে সেগুলোতেও প্রতিপক্ষকে বোলাররা আটকে রেখেছিলেন।

প্রচন্ড মাত্রায় চলতি আসরে হতাশ করেছেন ব্যাটাররা। যেটার নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্যাপ্টেন শান্ত, সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্যাম্পেইনার সাকিব-রিয়াদ, জাকির-তামিম-সৌম্য সবাই ই করেছেন হতাশ। টি-টোয়েন্টির নূন্যতম ইন্টেন্ট শো করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয় আর কোনো ব্যাটার। এমন ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স নিয়ে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কিছু কি করার আছে ক্যাপ্টেন শান্তর?

আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে হতাশাজনক হারের পর অধিনায়ক বলেন, ’ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা দেশের মানুষকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা দুঃখিত। ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। পুরো দেশের মানুষকে বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু চেষ্টার কমতি ছিল না। সবাই চেষ্টা করেছে; কিন্তু আমরা পারিনি। এটার জন্য দলের পক্ষ থেকে আমি স্যরি।’

শুধু ব্যাটিং ইউনিটের হতাশার জন্যই ক্ষমা চাওয়া নয়। পুরো টুর্নামেন্টের এমন পারফর্ম্যান্সের জন্য শান্ত সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন একাধিকবার, ‘পুরো টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি বলব, আমরা সবাইকে হতাশ করেছি। আমাদের খেলা যারা অনুসরণ করেন, যারা আমাদের সব সময় সমর্থন করেন, তাদের আমরা হতাশ করেছি। পুরো দলের পক্ষ থেকে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

এমন পারফর্ম্যান্সের পর স্যরি বলাটাই হয়তোবা একমাত্র উত্তর হতেই পারে। এতে অবস্থার পরিবর্তন করে সামনের দিনগুলোতে 'থ্যাংক ইউ' শোনার মতো পারফর্ম্যান্স করতে পারবেন তো শান্তরা?

;

কোচের নির্দেশে গুলবাদিনের ‘ক্র্যাম্প নাটক’

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে হারালেই চলবে, এমন সমীকরণ জেনেই মঙ্গলবার সকালে টাইগারদের মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান। এই জয় তাদেরকে সেমির টিকিট এনে দিবে শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও বিদায় করে দিবে চলতি বিশ্বকাপ আসর থেকে। এমন পরিস্থিতিতে জয়ের উদ্দেশ্যে এক অভিনব কৌশলের প্রয়োগ করল আফগানরা।

ঘটনাটা ম্যাচের ১২ তম ওভারের চতুর্থ বলের সময়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সেমির স্বপ্ন শেষ, তাদের লক্ষ্য ছিল অন্তত ম্যাচটি জেতা। ৫০ বলে ৩৫ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, উইকেটও ছিল হাতে একাধিক। তাই জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল টাইগাররা।

মাঠে সেই মুহুর্তে তীব্র বাতাস এবং ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কোনো কারণে বৃষ্টির বেগ বাড়লে খেলা সেখানেই থামিয়ে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে আর খেলা মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জয়ী ঘোষণা করা হতো আফগানিস্তানকে, যে হিসেবটি খুব ভালোমতোই জানতেন আফগান কোচ জোনাথন টট।

১২ তম ওভারে হঠাৎ তিনি নিজের দলের খেলোয়াড়দের ইশারা দিলেন, বুঝালেন যে বৃষ্টি আসছে, তোমরা সময় নাও। সময় নিয়ে বোলিং করো। কারণ বাংলাদেশ বৃষ্টি আইনে ঠিক সেই মুহুর্তে ২ রান পিছিয়ে ছিল। আসলেই বৃষ্টিতে ম্যাচ থেমে গেলে আফগানদের বিজয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হতো।

কোচের ইঙ্গিত মান্য করে আচমকা স্লিপে দাঁড়ানো গুলবাদিন নাইব নিজের পা ধরে মাঠে শুয়ে পড়েন। তার পায়ে ক্র্যাম্প হয়েছে এমন বুঝাতে তিনি রীতিমত মাঠে গড়াগড়ি খান। তাকে চিকিৎসা দিতে মাঠে দৌড়ে আসেন ফিজিও। যদিও অধিনায়ক রশিদ গুলবাদিনকে ইশারা করেন উঠে দাঁড়াতে। এমনকি এই ঘটনা দেখে মাঠেই হাসতে থাকেন হজল হক ফারুকি ও মোহাম্মদ নবী।

এই ঘটনার পুরোটাই ধরা পড়েছে টিভি ক্যামেরায়। যেখানে পরিষ্কার দেখা গেছে গুলবাদিনের চোট নিয়ে ছলচাতুরীর ব্যাপারটি। এরপর ম্যাচে তার বোলিং এবিং দৌড়ানো দেখে আরও পরিষ্কারভাবে বোঝা গিয়েছে ব্যাপারটা।

বাংলাদেশকে হারাতে আফগানদের এমন নাটক নিয়ে হচ্ছে তীব্র সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেমি নিশ্চিত করায় আফগানরা প্রশংসা পেলেও তাদের জয়টা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। আফগানদের ক্র্যাম্প নাটক পছন্দ হয়নি অনেকেরই। ভারতের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন তো সোশ্যাল মিডিয়ায় গুলবাদিনের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'রেড কার্ড ফর গুলবাদিন নাইব।’

;