সেমিতে পৌঁছে যা বললেন রশিদ খান
ক্রিকেট কার্নিভালবিশ্বকাপ শুরুর আগে সেমিফাইনালের লাইনআপ কেমন হবে এই ব্যাপারে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারই নিজেদের ভবিষ্যৎবাণী জানিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড এই নামগুলো কমন। কেউ কেউ অন্য দলটার জায়গায় রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম, কেউ আবার দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের কিংবা পাকিস্তানের নামও।
আফগানিস্তানের নাম হাতেগোনা দু’চারজন রাখতে পারেন। এর মধ্যে একজন হচ্ছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। যতজন ক্রিকেটার কিংবা ধারাভাষ্যকার অথবা ক্রিকেট বিশ্লেষক সেমির চার দল নিয়ে প্রেডিকশন দিয়েছেন তাদের মধ্যে একমাত্র লারাই আফগানদের রেখেছিলেন সেমিতে।
লারার নির্বাচিত চার দল ছিলো ভারত, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান। লারার এই তালিকা থেকে সেমিতে যেতে পারেনি কেবলমাত্র তার দেশই। ক্যারিবিয়ানদের পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
লারার এই প্রেডিকশনে আফগানদের দেখে তখন বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই। সব বিস্ময়ের অবসান ঘটিয়ে মাঠের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেই আজ সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে আফগানরা। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ তুলনামূলক শক্তিশালীদের হারিয়েই সেমিতে দলটা।
ঐতিহাসিক এই দিনে লারাকে ভুলেননি আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘কেবলমাত্র ব্রায়ান লারা বিশ্বাস করেছিলেন যে আমরা সেমিতে উঠতে পারব। আমরা তাকে সঠিক প্রমাণ করেছি। আমরা যখন তার সঙ্গে একটা পার্টিতে দেখা করেছি তখন তাকে বলেছিলাম যে আমরা তাকে হতাশ করবো না।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে যাওয়া নিসন্দেহে আফগান ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। সাত ম্যাচে পাঁচ জয় আর ফাইনালের যাওয়ার অনুপ্রেরণা নিয়েই ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমিতে ২৭ জুন বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ছয়টায় মাঠে নামবেন ফারুকি-নাভিন-রশিদ-গুরবাজরা। ফাইনালের মঞ্চে নিজেদের নিয়ে যাওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য।