কাতারের নিরাপত্তাব্যবস্থায় আমরা অভিভূত
‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’আর্জেন্টিনা থেকে কলম্বিয়া, ইথিওপিয়া থেকে সৌদি আরব, বিশ্বকাপ দেখতে আসা নারী ভক্ত সমর্থকরা কাতারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে খুবই সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। ইউরোপ, আমেরিকার মতো পশ্চিমা দেশ, যারা কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনে ঘোর বিরোধী ছিল, সেসব দেশের নারীরাও প্রশংসা করেছেন কাতারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার।
এলেস্তা নামে এক আর্জেন্টাইন সমর্থক বলেন, এখানে এসে আমার ভিন্ন কিছুর অভিজ্ঞতা হলো, আমি মাঝরাতেও রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারছি। যা আমি নিজ দেশে পারি না। কাতারে রাত ১০টায় অনেক ম্যাচ খেলা হচ্ছে। ফলে রাত-বেরাতে আমাকে বাইরে ঘুরতে হচ্ছে। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই চমৎকার এবং তারা খুবই আন্তরিক।
স্পেন সমর্থক গঞ্জিলা বলেন, কাতারের একটি মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে আমার হ্যান্ডব্যাগ ফেলে আসি। রুমে এসে টের পাই আমার হ্যান্ডব্যাগ হারিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে কাতারের পুলিশ হটলাইনে কল করি, পরে তারা আমাকে তিন ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে বের করে দেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে কাতারে দর্শকরা যে সমস্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করে তার সবটাতেই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে, ফলে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশ এটি আমাকে উদ্ধার করে দিয়েছে। আমি খুবই আনন্দিত, কেননা ব্যাগটিতে আমার পাসপোর্ট, টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো।
মরক্কো সমর্থক ডালিয়া বলেন, এখানকার পাবলিক প্লেসে অনেক পুরুষের আনাগোনা। তবে কেউ আমাদেরকে অসম্মান করেনি। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই চমৎকার ছিল। কাতার বিশ্বকাপ আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ্য, আরব বিশ্বে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে কাতারে প্রায় ১৭ লাখের বেশি লোক আসা যাওয়া করছে। এখনও পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিবেশের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। কাতার সরকার তার সবটা উজাড় করে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।