শূন্য থেকে শিখরে



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আপনি তাদের ‘আউটসাইডার্স’ বলতে পারেন। শিরোপার হিসাব-নিকাশে তারা শূদ্র। তাদের জন্য বাজি ধরার মতো থাকে না কেউ। কিন্তু কে জানে কোন মন্ত্রবলে পাদপ্রদীপের আড়াল থেকে হঠাৎ সামনে চলে আসে তারা। চমকের পর চমক দেখায়। গুটি গুটি পায়ে পাড়ি দেয় রূপকথার জগতে। জন্ম হয় কিংবদন্তির। 

একবিংশ শতকে ইউরোপীয় লিগ ফুটবলে এমন পাঁচটি ক্লাবের অবিশ্বাস্য, সংখ্যাতত্ত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো শূন্য থেকে শিখরে আরোহণের গল্প জানাতেই এই লেখা।

আতলেতিকো মাদ্রিদ

লা লিগা ২০১৩-১৪

লা লিগার শিরোপা তখন রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার হাতে ঘুরপাক খাচ্ছে। নয় বছরে এই শিরোপা তৃতীয় কোনো দলকে ধরা দেয়নি। রিয়াল-বার্সা বাদে বাকি ১৮ দলের জন্য সর্বোচ্চ সাফল্য হয়ে দাঁড়ায় তৃতীয় স্থান। কিন্তু দিয়েগো সিমিওনের আতলেতিকো মাদ্রিদ ২০১৩-১৪ মৌসুমে বার্সা-রিয়ালের রাজত্বে হানা দেয়। বার্সেলোনাকে পুরো মৌসুম টক্কর দিয়ে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের পর প্রথমবার লিগ শিরোপা জিতে নেয় আতলেতিকো।

২৭ গোল করে আতলেতিকোর লিগ জয়ের অন্যতম নায়ক বনে যান দিয়েগো কস্তা। এই শিরোপা দিয়েই আতলেতিকোর ডাগআউটে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন আর্জেন্টাইন ম্যানেজার সিমিওনে। এক দশক পর এখনো আতলেতিকোর ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ভিএফবি স্টুটগার্ট 

বুন্দেসলিগা ২০০৬-০৭

মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ৩-০ গোলের হার। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মোটে দুই জয়। তরুণ স্টুটগার্ট দলটির লিগ জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে শুরুর ওই ফর্মহীনতা যথেষ্ট ছিল। কিন্তু খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখে তারা। ১৯৯১-৯২ মৌসুমের পর প্রথমবার ছুঁয়ে দেখে বুন্দেসলিগা শিরোপা। সে মৌসুমে স্টুটগার্টের হয়ে ১৪ গোল করে জার্মান ফুটবলে নিজের জানান দেন স্ট্রাইকার মারিও গোমেজ।

মঁপেলিয়ে 

লিগ আঁ ২০১১-১২

কাতারি মালিকানায় পিএসজির প্রথম মৌসুম। ডাগআউটে কার্লো আনচেলত্তির মতো ফুটবল ট্যাকটিশিয়ান। তাদের হাতেই মৌসুম শেষে শোভা পাবে শিরোপা, বেশিরভাগ বোদ্ধারা তেমনটাই ভাবছিলেন। কিন্তু সে মৌসুমে অনেকটা যেন ‘সিলেবাসের বাইরে’ থেকে এসে লিগ শিরোপা জয় করে মঁপেলিয়ে। এখন পর্যন্ত সেটাই তাদের একমাত্র লিগ শিরোপা জয়। তরুণ অলিভিয়ের জিরুরা পিএসজিকে চমকে দিয়ে লিগ জিতে নেন।

লেস্টার সিটি

প্রিমিয়ার লিগ ২০১৫-১৬

সম্ভবত ক্রীড়া ইতিহাসেই এমন ঘটনা আর ঘটেনি। তর্কসাপেক্ষে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রতিযোগিতা প্রিমিয়ার লিগে বাঘা বাঘা সব দলগুলোকে চমকে দিয়ে লিগ জিতে নেয় ‘পুঁচকে’ লেস্টার সিটি। লিগ জেতার মোটে এক মৌসুম আগে যারা কিনা প্রথমবার দেখা পেয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের।

জেমি ভার্ডি, রিয়াদ মাহরেজ, এনগোলো কান্তের মতো একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলারকে নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেন ইতালিয়ান ম্যানেজার ক্লদিও রানিয়েরি।

বায়ার লেভারকুজেন

বুন্দেসলিগা ২০২৩-২৪

বুন্দেসলিগায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বায়ার্ন মিউনিখের। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, মৌসুম শুরুর আগেই বলে দেয়া যেত বায়ার্নের শিরোপা জয়ের কথা। শক্তিমত্তায় তাদের ধারেকাছেই যে নেই জার্মানির আর কোনো ক্লাব। কিন্তু নিজের পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম মৌসুমেই সব হিসাব-নিকাশ বদলে দিয়েছেন জাবি আলোনসো। 

সাবেক বায়ার্ন ফুটবলার আলোনসোর হাতেই শেষ হয়েছে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের রাজত্ব। শেষ হয়েছে তাদের টানা ১১ লিগ শিরোপা জয়রথ। তার কোচিংয়ে ক্লাবের ১১৯ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার লিগ শিরোপার দেখা পায় বায়ার লেভারকুজেন। মৌসুম শুরুর আগে অপটা’র ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ মৌসুমে লেভারকুজেনের লিগ জয়ের সম্ভাবনা ছিল ০.৯ শতাংশ। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন ফুটবলে সূক্ষ্ম সে সম্ভাবনাকে সাফল্যের মহীরুহে রূপ দিয়েছে আলোনসোর দল।

পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। আজ ডাম্বুলায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দলটা পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৩ উইকেটে।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় লঙ্কানরা। গুল ফিরোজা আর মুনিবা আলীর ওপেনিং জুটিতেই চলে এসেছিল ৬১ রান। গুল করেন ২৪, মুনিবার ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। 

সিদরাহ আমিনও ১৩ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে নিদা দার আর ফাতিমা সানা দুজনেই ১৭ বলে ২৩ করে করেন, আলিয়া রিয়াজ করেন ১৫ বলে ১৬ রান। তাতে দলের পুঁজি দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৪০।

জবাবে শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই ধাক্কা দেন সাদিয়া ইকবাল। প্রথম ওভারেই ভিশ্মি গুনারত্নকে ফেরান। চতুর্থ ওভারে হার্শিতা সামারাবিক্রমাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওমাইমা সোহেইল। এরপর অবশ্য চামারি আতাপাত্তু দেয়াল তুলে দাঁড়ান। তৃতীয় উইকেটে কাভিশা দিলহারিকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন তিনি। 

শুরুতে লঙ্কাকে ধাক্কা দেওয়া সাদিয়া আবারও পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরার দায়িত্বটা নেন। ৩ বলে তুলে নেন ২ উইকেট। শুরুতে কাভিশা, এরপর নীলাক্ষীকে ফেরান তিনি। 

চামারি আতাপাত্তুর অন্যপাশে ছিলেন বলেই লঙ্কানদের ওপর চাপ ছিল না। তবে চাপটা এল তিনি ফিরে গেলে। ৪৮ বলে ৬৩ রান করা চামারিকে ফেরান সেই সাদিয়া ইকবালই। পরের ওভারে হাসিনি পেরেরাও ফেরেন রান আউট হয়ে।

এরপর আনুষ্কা সঞ্জীবনী আর সুগন্ধা কুমারির ১৫ রানের জুটি লঙ্কাকে নিয়ে যায় শঙ্কার বাইরে। শেষ দিকে সুগন্ধা ফেরেন। তবে শ্রীলঙ্কা ততক্ষণে জয়ের সুগন্ধ পেয়ে গেছে। শেষমেশ ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় দলটা। চলে যায় ফাইনালে।

এশিয়া কাপের ফাইনালে আগামী রবিবার মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। তাদের সামনে থাকবে প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দল ভারত। 

;

আইপিএল নিলামের পরও বাড়বে খেলোয়াড়দের বেতন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগৃহীত

সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স মিচেল স্টার্কে দলে ভিড়িয়েছিল রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপির বিনিময়ে। তবে পরের মৌসুমে যে স্টার্ক কলকাতার হয়ে খেলবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই নিয়মটি বদলাতে চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তাদের প্রিয় খেলোয়াড়ের হারাতেও চায় না দলগুলো। আর তাই তো পরবর্তী মেগা আইপিএল নিলামে আসতে পারে বড় পরিবর্তন।

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর পরামর্শে, আগামী আইপিএল থেকে নিলামের পরেও আইপিএলের খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা বেড়ে যেতে পারে। খেলোয়াড়দের বেতনের জন্য দলগুলোকে বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ খরচের সীমা ৯০ কোটি রুপি থেকে বেড়ে হতে পারে ১৩০-১৪০ কোটি রুপি। যার ফলে আসছে নিলামে খেলোয়াড়দের দাম বাড়তে পারে কয়েক গুণ!

বর্তমান নিয়ম অনুসারে, নিলামে একজন খেলোয়াড়কে যে দামে কেনা হয়, পুরো মৌসুমে সেটি বাড়ানোর আর সুযোগ থাকে না। এই নিয়মের সাথে একমত নয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। পাশাপাশি পরের মৌসুমে অন্য কোন দল যেন তাদের খেলোয়াড় ছিনিয়ে নিতে না পারে সেই নিয়মও বানাতে চেয়েছে আইপিএলের দলগুলো।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'অন্যান্য চাকরির মত আইপিএলে খেলোয়াড়দের বেতন বেতন বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। ধরুন, কোনো দল একজন খেলোয়াড়ের জন্য খরচ করেছে ৩০ লাখ রুপি। সেই খেলোয়াড় আইপিএলে একটি দুর্দান্ত কাটল। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে এমন কিছু উপায় থাকা উচিত যাতে পরের মৌসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি সেই খেলোয়াড়ের সাথে ৩ কোটি রুপির চুক্তি করতে পারে। যার ফলে অন্য কোন দল সেই খেলোয়াড় কে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।'

এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, 'উঁচুমানের পারফরম্যান্স দেখানো খেলোয়াড়দের বেতন নিয়ে দর–কষাকষির সুযোগ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দেওয়া উচিত আইপিএলের। এর মাধ্যমে আগের মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়কে তারা ধরে রাখতে পারবে।''

ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর দাবি যদি মানে নেয় আইপিএল তবে আগামী ডিসেম্বরের নিলামে ব্যাপক পরিবর্তনের দেখা মিলবে আইপিএলে।

;

শুরুর আগেই ডোপ-কান্ডে প্যারিস অলিম্পিক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্যারিসের মাটিতে কিছুক্ষণ পরই শুরু হচ্ছে এবারের অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। শত বছর পরে অলিম্পিককে বরণ করে নিতে প্রস্তুত ফ্রান্স। তবে এর আগেই ডোপিং বিতর্ক! যার ফলে এবারের অলিম্পিক থেকে ছিটকে গিয়েছেন রোমানিয়ার ফ্লোরেন্টিনা ইউস্কোর। গত বছর এপ্রিলে ডোপ টেস্টে পজেটিভ রেজাল্ট আসায় এবারের অলিম্পিক থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।

তিন বছর আগে টোকিও অলিম্পিকে চীনের ২৩ সাঁতারুর শরীরে মিলেছিল নিষিদ্ধ হার্টের ওষুধ ট্রাইমেটাজিডিনের। সেই ২৩ জনের ১১ জন এবার এসেছেন প্যারিসে। আর তাতেই ডোপ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস এবং জার্মান টেলিভিশন এআরডি। এই প্রসঙ্গে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাকি অ্যাথলেটরাও।

সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, বৈশ্বিক অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা (ওয়াডা) চলতি মাসে এক প্রতিবেদনে চীনা সাঁতারুদের ডোপিং কাণ্ডে পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারপরও তাদের এবারের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়তে বাঁধা দেয়নি সংস্থাটি।

আর তাতে চটেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণপদকজয়ী সাঁতারু জ্যাক স্ট্যাবলেটি-কুক। ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে চীনের বিশ্বরেকর্ডধারী সাঁতারু কুইন হাইয়াংয়ের বিপক্ষে লড়ার পর ডোপ টেস্টে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর তাইত অন্য সাঁতারুদেরও ডোপ টেস্টে অংশ না নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু।

তবে চীনা সাঁতারুদের মতো সৌভাগ্য নেই রোমানিয়ার অ্যাথলেট ফ্লোরেন্টিনার। গেল বছর কোন প্রতিযোগিতা ছাড়াই ডোপ টেস্টে করতে হয়েছিল এই অ্যাথলেটকে। সে সময় তার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ ছিল বলে জানা যায়। আর তাতেই কপাল পুড়লো ফ্লোরেন্টিনা ইউস্কোর।

;

উডের গতিময় বোলিংয়ে মুগ্ধ স্টোকস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটে বলের গতির রেকর্ড আছে এমন ডেলিভারির মধ্যে সবার ওপরে আছেন শোয়েব আকতার। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তুলেছেন ঘন্টায় একশো মাইলের গতি। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০.২ মাইল অর্থাৎ ১৬১.৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সবমিলিয়ে ঘন্টায় একশো মাইল গতিতে বল করা দুই পেসার শোয়েব আকতার এবং শন টেইট। দুটোই অবশ্য সাদা বলের ক্রিকেটে।

টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতি তোলার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ডেলিভারিতে ঘণ্টায় ৯৯.৬ মাইল বা প্রায় ১৬০.৩ কিলোমিটার গতি তুলেছিলেন এ বাঁহাতি পেসার। যে রেকর্ড এখন পর্যন্ত ভাঙতে পারেননি আর কেউই।

এবার টেস্টেও হবে একশো মাইল গতির ডেলিভারি। এমনটাই বিশ্বাস ইংলিশ ক্যাপ্টেন বেন স্টোকসের। তার বিশ্বাস এমনটা করে দেখাবেন তার টিমমেট মার্ক উড। এজবাস্টন টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে স্টোকস বলেন, ‘আমার মনে হয় না উড এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত। তবে তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে এটার আরও বেশি কাছে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আসলে সে এখন যা করছে, সত্যি বলতে তা নিয়েই খুশি।’

নিয়মিতই এমন গতিতে বল করে যাওয়ায় উডে মুগ্ধ স্টোকসি। জুড়ে দিলেন অনেক গুলো বিশেষণ, ‘এমন গতি ধরে রাখাটা দুর্দান্ত। সে যখনই টেস্ট ম্যাচ খেলে, তার গড় গতি ঘণ্টায় ৯০ মাইলের ওপর থাকে। একটা স্পেলে ৯০-এর বেশিতে করাটা ভালো কিন্তু সে প্রতিটি স্পেলেই ঘণ্টায় ৯০ মাইলের বেশি গতি তোলে। তার নাম উচ্চারণ করার সঙ্গে দর্শকেরা উল্লাস করে ওঠে। আর বড় পর্দায় যখনই গতি দেখানো হয়, সবাই আরও উজ্জীবিত হয়।’

শুধু লাইন-লেন্থ ঠিক করে বল করা আর উইকেট তোলাই নয়, উডের নজর সাইড স্ক্রিনেও থাকে। ভালো করেই জানেন গতি তোলাও তার অনেক বড় দায়িত্বের একটা। ‘কত গতি তুলছে, সেটি সবসময়ই উড খেয়াল করে বিগ স্ক্রিনে। সে জানে, সে শুধু দক্ষতার সাথে বোলিং করার জন্যই নয় কিন্তু, দ্রুতগতিতে বোলিং করার জন্যও দলে আছে।’

;