‘ব্যাটিং রংবাজি’তে রংপুরের রাত!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চিটাগং থেকে
শতরান করলেন হেলস-রুশো

শতরান করলেন হেলস-রুশো

  • Font increase
  • Font Decrease

এই ম্যাচ তো আসলে প্রথম ইনিংসেই শেষ! রংপুর রাইডার্স ২৩৯ করার পরই ম্যাচের সম্ভাব্য ফল একপেশে হয়ে হেলে পড়লো। শেষ পর্যন্ত সেই হিসেবই রেখেই রংপুর ৭২ রানে ম্যাচ জিতলো। প্রথম দেখায় চিটাগং ভাইকিংসের কাছে হেরেছিলো রংপুর রাইডার্স। ফিরতি মোকাবেলায় জবাবটা ঠিকই দিলো তারা।

তাও আবার যেনতেন জবাব নয়; একেবারে চিটাগংকে রানবন্যায় ভাসিয়ে। ম্যাচ শেষে মুশফিক রহিম নিশ্চয়ই দুঃখ করবেন-টসে জিতেও এমন ব্যাটিং স্বর্গে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ কেন নিলাম না!

ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড। বোলারদের পিটুনি দেয়ায় রেকর্ড-ব্যাটিং আনন্দের এমনসব অনেক রেকর্ড গড়ে রংপুর রাইডার্স এই ম্যাচে ‘ব্যাটিং রংবাজি’ দেখালো!
প্রথম ৬ ওভারে এলো ৬৯ রান। ১০ ওভারে গিয়ে দাড়ালো তা ১০৯। ১৫ ওভারের সময় স্কোরবোর্ডে জমা ১৮১ রান। ২০ ওভারে ২৩৯ রানে গিয়ে থামলো রংপুরের রান উৎসব। যে উৎসবে ব্যাট হাতে অ্যালেক্স হেলস করলেন ৪৮ বলে ১০০। রাইলি রুশোর অপরাজিত ১০০ পেলেন ৫১ বলে। ছক্কা-চারের ঝড়ে এই দুজন যা করলেন তাতে মনে হচ্ছিলো জহুর আহমেদ চৌধুরীর স্টেডিয়ামের মাঠ নয়, খেলছেন তারা বাড়ির আঙিনায়! চিটাগংয়ের তাবৎ বোলার তখন নেহাতই যেন গলির বোলার! ব্যাট হাতে হেলস ও রুশোর নিষ্ঠুরতার বলি হলেন খালেদ আহমেদ (৩ ওভারে ৫০), রবিউল হক (৪ ওভারে ৫৪) ও সিকান্দার রাজা (৪ ওভারে ৪৮)। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হেলস ও রুশোর মাত্র ৭৮ বলে ১৭৪ রানের বিশাল জুটি। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত যে কোন উইকেট জুটিতে এটি সর্বোচ্চ রান। সবমিলিয়ে রংপুরের ইনিংসে ছক্কার সংখ্যা ১৩। বাউন্ডারি ২১টি। অর্থাৎ মাত্র ৩৪ বলে বিগ শটে রান ১৬২!

এতো ভাই, ব্যাটিং মাস্তানি ছাড়া আর কি!

রান রেকর্ড উৎসবের এই ম্যাচে রংপুরের দুজন ব্যাটসম্যান করলেন ঠিক ১০০ করে রান। আর দুজন ফিরলেন ২ ও ১ রান করে। পরের এই দুজনের নাম ক্রিস গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স!
যে ম্যাচে গেইল ও ভিলিয়ার্সের যৌথ অবদান মাত্র ৩ রান, সেই ম্যাচেই রংপুরের মোট সংগ্রহ ২৩৯ রান। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রংপুর গুটিয়ে গিয়েছিলো মাত্র ৯৮ রানে। আর মাঝপথে এসে এখন গড়লো সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

সামনের সময়টা এখন আরো রঙিন করার অপেক্ষায় রংপুর! আর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে চিটাগং ভাইকিংস নিজ মাঠের প্রথম ম্যাচে বড় গোত্তা খেলো। চিটাগং ইনিংসে মুশফিক রহিম আউট হওয়ার পর গ্যালারি ফাঁকা হতে শুরু করে। স্বাগতিকরা নিজেদের ব্যাটিং পর্বে আনন্দের এক টুকরো ঝলক দেখলো কেবল মুশফিক ও ইয়াসির আলীর ব্যাটে। শফিউলের এক ওভারে মুশফিকের তিন ছক্কা গ্যালারির দর্শকদের কিছুটা হাততালির সুযোগ দিলো। আর ইয়াসির আলীর ৩ ছক্কা ৬ বাউন্ডারিতে ৪৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস চিটাগংয়ের হারকে একটু দীর্ঘায়িত করলো মাত্র। ২৩৯ রানের জবাবে ১৬৭ রান তোলাকেই বড় সান্ত¦না মানছে চিটাগং।

ব্যাটসম্যানদের উৎসবের এই ম্যাচে বোলার হিসেবে একজন কিন্তু ঠিকই জিতলেন; মাশরাফি বিন মর্তুজা! ৪ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: রংপুর রাইডার্স: ২৩৯/৪ (২০ ওভারে, গেইল ২, হেলস ১০০, রুশো ১০০*, মিঠুন ১৫, ভিলিয়ার্স ১, নাহিদুল ১১*, রবিউল ১/৫৪, সিকান্দার ১/৪৮, খালেদ ০/৫০, আবু জায়েদ ২/৩৫)। চিটাগং ভাইকিংস: ১৬৮/৮ (২০ ওভারে, ইয়াসির ৭৮, মুশফিক ২২, মাশরাফি ৩/৩৪)। ফল: ৭২ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: অ্যালেক্স হেলস

   

শান্তদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ রানের লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এতে সমতায় ফিরতে এবং সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে নিশ্চিত জয় চায় বাংলাদেশের। বোলারদের দলীয় নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংস শেষে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে মুস্তাফিজ-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগের ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলে চড়ে শুরুটা বেশ ভালো পায় স্বাগতিকরা। ৩৯ বলে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। তবে ভালো শুরু পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বড় ধাক্কা দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। সেখানে টেইলর ফেরেন ৩১ রান করে এবং তিনে নামা আন্দ্রিয়েস গুস ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।

সেই চাপ অবশ্য অনায়াসেই সামলে নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের সময় উপযোগী জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। ৩৫ রান করা জোন্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।  

সেখান থেকেই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। এবার ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন শরিফুল। এবং শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দলটি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল। এর মধ্যে ৪ ওভারে স্রেফ ২১ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ইকোনমি রিশাদের।  

;

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে হেরে বসায় বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজে হার এড়ানোর। এমন ম্যাচে টসে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখা। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজটা অবশ্য ঠিকঠাক করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে নিতে পারেনি একটি উইকেটও।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৮ রান। উইকেটে আছেন অধিনায়ক মোনাঙ্কা প্যাটেল ও অ্যারণ জোন্স।

টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লে খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। এখানে উইকেট বাঁচানোর সঙ্গে দ্রুত রান তোলার দিকেও নজর দিতে হয় ব্যাটারদের। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ দলের লক্ষ্যটা থাকে ঠিক তার উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে এই দুটো জায়গার একটিতে সফল হলেও উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে ওভার প্রতি ৭ গড়ে ৪২ রান জমা করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রকে বড় সংগ্রহের পথ থেকে সরাতে বাংলাদেশ দলের জন্য ব্রেক থ্রু পাওয়া হয়ে দাঁড়ায় অতীব গুরুপ্তপূর্ণ। সপ্তম ওভারে এসে সেই কাজটি করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল হাতে তুলে নিয়েই সাফল্য এনে দেন তিনি। ফেরান ২৮ বলে ৩১ রান করা স্টিভেন টেলরকে। পরের বলেই তুলে নেন সদ্য উইকেটে পা রাখা অ্যান্ড্রিস গাউসকে। দারুণ শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র খানিকটা চাপেই পড়ে যায় হঠাৎ করে।

অবশ্য অ্যারন জোন্সকে নিয় সেই চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। দায়িত্ব নিয়ে দলকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। দলকে টানছেন বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে। এই দু’জনের ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রকে।

এর আগে, দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচাতে একাদশে দুটি বদল এনেছে। একাদশে ফিরিয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

;

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে শুরুতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হতে পারত সিরিজ নিশ্চিত করার। অথচ সেটি না হয়ে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এখন সিরিজ বাঁচানোর মিশনে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে যেখানে টসে জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে একাদশেও দুটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি শেষ প্রস্তুতি সিরিজ। যেখানে ক্রিকেটাররা শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন ক্রিকেটাররা। বলা যাবে না সেটি। কেননা, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফুটে উঠা ব্যাটিং দৈন্যতা কাটেনি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেও।

প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছিল মাত্র ১৫৩ রান। সেই পুঁজিতে যে কোনো দলের সঙ্গেই ম্যাচ জেতা কঠিন। সেটিই যেন আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে প্রমাণ পেল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এমন হারের পর তাই সিরিজে হার এড়ানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শান্তর দলের।

দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য জয়ের সঙ্গে ব্যাটারদের রানে ফেরাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ দলের জন্য। কেননা, অধিনায়ক শান্তসহ দলের টপ অর্ডারদের বেশিরভাগই ভুগছেন রান খরায়। বিশ্বকাপের আগে যা চিন্তার বড় কারণ। সেই চিন্তা কাটাতে হলেও র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৯ নম্বরে থাকা দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যাটিং শক্তি দেখাতে হবে শান্তর দলকে। আর সেটি না হলে যে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকবে বিশ্বকাপের আগেই।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

ইউএসএ একাদশ: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), স্টিভেন টেলর, অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, নীতীশ কুমার, আলী খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, শ্যাডলি ভ্যান শ্যালকউইক, সৌরভ নেত্রভালকর।

;

দুর্নীতির অভিযোগে ফিফার শাস্তি পেলেন সালাম মুর্শেদীসহ দুই বাফুফে কর্মকর্তা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গত বছর বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা। এবার নতুন করে আরও দুইজনকে একই শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিষয়টি বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে ফিফা।

বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এর পাশাপাশি দশ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা করা হয়েছে দু’জনকেই। শাস্তি পেয়েছেন বাফুফের ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

নিষিদ্ধ না হতে হলেও তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা করেছে ফিফা। এর বাইরে বাফুফের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার ইমরুল হাসান শরীফকেও সাধারণ দায়িত্বের আওতায় ফিফা নির্দেশিত কমপ্ল্যায়ন্স পূরণ না করায় সতর্ক করা হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত এসেছে ফিফার এথিকস কমিটির এডজুকেটরি চেম্বার থেকে। যারা সবার সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়েই এই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এর আগে, গত বছরের ১৪ এপ্রিল ফিফার টাকার আর্থিক অনিয়ম চোখে পড়লে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় আবু নাঈম সোহাগকে। যার মেয়াদ আরাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তাকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

;