আরও একবার আর্জেন্টিনার টাইব্রেকার-নায়ক মার্তিনেজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাইব্রেকারে লিওনেল মেসি পেনাল্টি মিস করেছেন, আর আর্জেন্টিনা জিতেছে এমন দৃশ্যের দেখা মেলেনি কখনও। সে অভূতপূর্ব দৃশ্যটাই আজ করে দেখালেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তার দুটো পেনাল্টি সেভে ভর করেই ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে আর্জেন্টিনা চলে গেছে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে।

মার্তিনেজ ম্যাচেও আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে এসেছেন একবার। শুরুর দিকে আর্জেন্টিনা তখন বেশ নড়বড়ে। ঠিক সে সময় ঠেকিয়েছেন একটা শট। যা গোল হলে পরিস্থিতিটা অন্যরকমও হতে পারত। 

এরপর আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আরেক মার্তিনেজ, লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। তার গোলে ভর করে আরেকটু হলে শেষ চারে চলেই যাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। 

তবে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে তা আর হলো না। আরও একটা বার পেনাল্টি শ্যুট আউটে চলে গেল আর্জেন্টিনার একটা নকআউট ম্যাচ।

নকআউটে সবশেষ তিন টাইব্রেকারে শেষ হাসি আর্জেন্টিনাই হেসেছে। সবশেষটা তো ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতিয়েছে দলটাকে।

তবু মনে একটু শঙ্কা ছিল যেন, শেষ সময়ে গোল হজম করলে যে মোমেন্টামটা চলে যায় বিপক্ষে! পরিস্থিতিটা আরও খারাপ হলো লিওনেল মেসির পেনাল্টি মিসে। মোমেন্টামটা তখন পুরোপুরি আর্জেন্টিনার বিপরীতে।

তবে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ নামে আর্জেন্টিনায় একজন আছেন, যিনি এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এমন বিরুদ্ধ পরিস্থিতিগুলোই নাকি তাকে আনন্দ দেয়। কেন দেয় তা বুঝালেন একটু পর। প্রথম পেনাল্টিটা ঠেকিয়ে দিলেন, তাতে মেসির পেনাল্টি মিসের সঙ্গে শোধবোধ হয়ে গেছে। এরপর দ্বিতীয় পেনাল্টিটাও ঠেকিয়ে দিলেন। আর্জেন্টিনার জয়টা তখনই লেখা হয়ে গেছে। এরপর আকাশী-সাদাদের পঞ্চম পেনাল্টিতে স্রেফ নিশ্চয়তাটা মিলেছে আরকি!

এই পেনাল্টি নিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে ৪টা পেনাল্টি শ্যুটআউটে নেমেছেন মার্তিনেজ। তার প্রত্যেকটাতেই জিতেছেন। আর শটের মুখোমুখি হয়েছেন ২৪টা, তার ১২টাই ঠেকিয়েছেন তিনি। আজ হলেন আরও একবার। বনলেন টাইব্রেকার-নায়ক। তাতেই আকাশী-সাদারা চলে গেছে সেমিফাইনালে।

হুট করেই অবসরের সিদ্ধান্ত আলকানতারা’র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স মাত্র ৩৩। এই বয়সে ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল কিংবা জাতীয় দলে জায়গা হারালে সৌদি, যুক্তরাষ্ট্র, কাতারের ক্লাব ফুটবলকে বেছে নেন অনেকে। কিন্তু, থিয়াগো আলকানতারা ওই পথে হাঁটেননি। পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এমনটাই জানিয়েছেন ফুটবল দলবদলের বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো।

ইনজুরি জর্জরিত তার ক্যারিয়ার। সর্বশেষ মৌসুমে অধিকাংশ সময় লিভারপুলের বেঞ্চে ছিলেন। গত মৌসুমে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৯৮ মিনিট।

যে কারণে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন হচ্ছে না তার। আলকানতারা চেষ্টা করেছিলেন লা লিগার ক্লাব জিরোনায় যাওয়ার।

ওই আলাপ-আলোচনাও সামনে এগোয়নি। যে কারণে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও লিভারপুলের মতো ক্লাবে খেলা আলকানাতারা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ডিফেন্সিভ এই মিডফিল্ডারের বেড়ে ওঠা বার্সা একাডেমিতে। ক্লাবটিতে তিনি চার মৌসুম খেলেছেন। এরপর বায়ার্ন মিউনিখে সাত মৌসুমে সব শিরোপা জিতেছেন। লিভারপুলে খেলেছেন চার মৌসুম।

আলকানতারা চারটি লা লিগা, সাতটি জার্মান লিগ জিতেছেন। দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও একটি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি।

আলকানতারার বাবার নাম মাজিনহো। যিনি ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন।

তবে এই মিডফিল্ডার খেলেছেন স্পেনের হয়ে। দেশের জার্সিতে ৪৬ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার অন্য ভাই রাফিনিয়া আলকানতারা খেলেছেন ব্রাজিলের হয়ে।

;

রেকর্ড গড়তেই যেন মাঠে নামেন ইয়ামাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লামিনে ইয়ামাল, স্পেনের তরুণ ফরোয়ার্ড। তরুণ না বলে কিশোর বললেও ভুল হবে না। কারণ তার বয়সটা তো কেবল ১৬। এই অল্প বয়সেই খেলছেন জাতীয় দলের হয়ে। ইতিমধ্যে শুরু করেছেন রেকর্ড ভাঙা–গড়ার কাজ। তিনি মাঠে নামা মানেই যেন নতুন কোনো রেকর্ডের দেখা পাচ্ছে ফুটবল সবশেষ গত পরশু রাতে জার্মানির বিপক্ষে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচেও নতুন রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে নিয়ে কথা বলেছিলেন জার্মান কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান। ইয়ামালকে ‘দুর্দান্ত প্রতিভা’ বলে বিশেষায়িত করেছেন তিনি। জার্মানির বিপক্ষে প্রথম গোলের মঞ্চটা তো ইয়ামালেরই তৈরি করা। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে করা দানি অলমোর করা প্রথম গোলটিতে সহায়তা করেন ইয়ামালই।

এই গোলে সহায়তা করেই নতুন একটি রেকর্ডে নাম লেখালেন ইয়ামাল। ইউরোর এক আসরে চতুর্থ স্প্যানিশ ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ তিনটি অ্যাসিস্টের কীর্তি গড়েছেন ইয়ামাল। তাঁর আগে এই কীর্তি গড়েন ২০০৮ সাল সেস ফাব্রেগাস, ২০১২ সালে ডেভিড সিলভা এবং ২০২১ সালে দানি ওলমো।

একই দিন অ্যাসিস্টের আরও একটি রেকর্ড গড়েন ইয়ামাল। ১৯৯৬ সালের পর ইউরো কিংবা বিশ্বকাপের এক আসরে তিন বা তার বেশি গোলে সহায়তা করা ‘প্রথম টিনএজারও’ হয়েছেন ইয়ামাল। ২০০৪ সালের ইউরোতে টিনএজার হিসেবে দুই গোলে সহায়তাকারী রোনালদোকেও ছাড়িয়ে গেছেন ইয়ামাল।

এর আগে ইউরোর প্রথম ম্যাচেও রেকর্ড গড়েছিলেন বার্সার এই ফরোয়ার্ড। উয়েফা ইউরোর মঞ্চে তিনিই এখন সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়। একই ম্যাচে গোলে সহায়তার আরেকটি নতুন রেকর্ডও গড়েছেন ইয়ামাল। সেদিন দানি কারভাহালকে অ্যাসিস্ট করে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী অ্যাসিস্ট করা ফুটবলার হয়েছেন তিনি।

;

রাহুল দ্রাবিড় ভারতরত্ন পাবার যোগ্য: গাভাস্কার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। যার অধীনে দীর্ঘ ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত। খেলোয়াড় হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ শিরোপার ছোঁয়া না পেলেও কোচ হিসেবে ঠিকই দেশের হয়ে তুলে ধরেছেন ট্রফি।

বিশ্বকাপ জয় করে দেশে ফেরত আসার পর পুরো ভারত দলই পেয়েছে জমকালো সংবর্ধনা। দেশবাসীর এই আনন্দ-উদযাপনটা যেন আকাঙ্ক্ষিতই ছিল। একাধিক সাবেক ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটারও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। কারণটা হচ্ছে দলের জন্য তার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ভারত দলটিকে আবারও গুছিয়ে দেওয়ার জন্য।

একাধিক সাবেক খেলোয়াড়দের মধ্যে সুনীল গাভাস্কার আলাদা করে সুনাম করেছেন দ্রাবিড়ের। এছাড়াও তিনি মনে করেন যে দ্রাবিড়কে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা উচিত।

গাভাস্কারের মতে, ভারতীয় ক্রিকেটে তার সামগ্রিক অবদানের জন্য দ্রাবিড়কে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত। একজন খেলোয়াড় এবং দলের অধিনায়ক হিসেবে দেশের হয়ে সাফল্য অর্জনের পর এবার কোচ হিসেবেও দেশের জন্য শিরোপা তুলে আনলেন এই কিংবদন্তি। তার অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সাফল্য।

গাভাস্কার বলেন, ‘ভারত সরকার দ্রাবিড়কে ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করলে এটি উপযুক্ত হবে, কারণ তিনি সত্যিই এর যোগ্য।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিখ্যাত অ্যাওয়ে সিরিজ জয়ে অধিনায়ক হিসেবে দ্রাবিড় পালন করেছেন দুর্দান্ত ভূমিকা। ইংল্যান্ডের মাটিতে জয় তুলে নেওয়া মাত্র তিনজন ভারতীয় অধিনায়কের মধ্যে টেস্ট সিরিজ জেতা একজন অধিনায়ক তিনি। এছাড়াও গ্রুমার ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির চেয়ারম্যানের ভূমিকা পালন করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। সবকিছু মিলিয়ে তিনি ভারতরত্ন পাবার যোগ্য বলেই মনে করছেন সুনীল গাভাস্কার।

;

অভিষেক তাণ্ডবে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে গতকাল (শনিবার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ রানে হেরে লজ্জার মুখে পড়েছিল সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে নেওয়া ভারত। আজ (রবিবার) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে যেন একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে ফর্মে ফেরত আসল শুবমান গিলের দল। স্বাগতিকদের + রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বর্তমান টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নরা।

এদিন টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক গিল। আগের ম্যাচে দলের হাল ধরা গিল আজ ফিরেছেন মাত্র ২ রানেই। তবে গতকাল শূন্য রানে সাজঘরে ফেরা অভিষেক শর্মা যেন আজ নিজের হারানো ফর্ম খুঁজে পেলেন। সবশেষ আইপিএলে হায়দরাবাদের হয়ে যেভাবে বোলারদের নাস্তানাবুদ করেছেন, আজ ঠিক তারই রিপ্লে যেন দেখতে পেল ক্রিকেটবিশ্ব।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম শতকটি তুলে নিলেন অভিষেক। ৪৭ বলে ১০০ রান থাকাকালীন তিনি আউট হন। তার এই দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল আটটি ছক্কা এবং সাতটি চারের মার। অভিষেকের পর রুতুরাজ ও রিংকুর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে ২৩৪ রানের পাহাড়সম রান স্কোরবোর্ডে জমা করে ভারত।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা। প্রথম চার ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন দলের চারজন টপ অর্ডার ব্যাটার। মিডল অর্ডাররাও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি ভারতের বোলিং তোপের মুখে। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই ১৩৪ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। ১০০ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় আনে ভারত।

সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ভারতঃ ২০ ওভারে ২৩৪/২; অভিষেক ১০০, রুতুরাজ ৭৭*; মুজারাবানি ১-৩০, মাসাকাদজা ১-২৯

জিম্বাবুয়েঃ ১৮.৪ ওভারে ১৩৪; মাধেভেরে ৪৩, লুক ৩৩; আবেশ ৩-১৫, মুকেশ ৩-৩৭

ফলাফলঃ ভারত ১০০ রানে জয়ী

ম্যাচসেরাঃ অভিষেক শর্মা

;