আমরা আরও বেশি প্রাপ্য ছিলামঃ রোনালদো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ইউরো আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে শুক্রবার রাতে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে পর্তুগালের, একইসঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। পর্তুগালের বিদায়ের পাশাপাশি তাদের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরও শেষ ইউরো আসরে খেলা হয়ে গেল। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচের পরই রোনালদো নিজেই নিশ্চিত করেছিলেন বিষয়টি।

তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রোনালদো নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছিলেন কিনা তা নিয়ে এখনও আছে ধোঁয়াশা। পর্তুগাল কোচ রবের্তো মার্তিনেজ জানিয়েছিলেন, রোনালদোর অবসর নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। রোনালদোর থেকেও সরাসরি কোনো আভাস মিলেনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে ইউরো থেকে বিদায়ের পর তার অনুভূতি এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিজ দেশের সমর্থকদের। 

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে রোনালদো বলেন, ‘আমরা আরও বেশি চেয়েছিলাম। আরও বেশি প্রাপ্য ছিল। আমাদের প্রত্যেকের জন্য, পর্তুগালের জন্য।’

বল দখল-মাঠের আধিপত্য সবেই ফ্রান্সের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে পর্তুগিজরা এগিয়ে থাকলেও গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয় মূল ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাও। তবে টাইব্রেকারে জোয়াও ফেলিক্সের সেই মিসই হয়ে থাকল হতাশার কারণ হয়ে। এমন হাতে খুব একটা হতাশা প্রকাশ না করলেও, রোনালদোর মতে, তারা এখানেই থামতে চেয়েছিলেন না।

এদিকে পোস্টটিতে দলের ভালো ও খারাপ উভয় সময়েই পর্তুগাল মানুষকে পাশে পাওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন রোনালদো। 

ইউরোর এবারের আসরটা মোটেও ভালো কাটেনি রোনালদোর। পাঁচ ম্যাচের একটিতেও তিনি পাননি গোলের দেখা। এতেই এই প্রথম বৈশ্বিক বা মহাদেশীয় কোনো টুর্নামেন্টে কোনো গোল না করেই আসর শেষ করলেন পর্তুগিজদের এই তারকা ফরোয়ার্ড। 

ইউরো ব্যর্থতার এই দিনেই বিশ্বজয় করেছিল ইংলিশরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে খেলেও স্পেনের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারল ইংল্যান্ড। ফুটবলে ৫৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচাতে পারল না ইংলিশরা ফুটবলাররা। তবে আজকের এই দিনেই ২০১৯ সালে প্রথম বারের মতো ক্রিকেটের মঞ্চে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংলিশরা।

হতভাগা ইংলিশ দল, আধুনিক ফুটবলের জনক হয়েও সেই ১৯৬৬-এর ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের পর ৫৪ বছর আর কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপার দেখা পারেনি। গেল বার ঘরের মাঠে ইউরোর ফাইনালে শত চেষ্টার পরেও হারতে হয়েছিল তাদের। ৫৪ বছর পরে শিরোপার এতো কাছে এসেও সফল হতে পারল না তারা। এই নিয়ে ইংলিশ সংবাদ মাধ্যমের বেশ ভালো রোশানলে পরতে হয়েছিল ইংলিশদের। তবে ২০২০ এর পরে সবাই ভেবেছিল এবার হয়ত শেষ হবে শিরোপার আক্ষেপ। অপেক্ষের প্রহর আরো একবার বাড়ালো ইংলিশ ফুটবলাররা।

তবে ঠিক ৫ বছর আগে আজকের দিনেই, ১৪ই জুলাই ২০১৯ সালে বিশ্ব জয় করেছিল ইংল্যান্ড দল। আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে নিজেদের সেরা বলে প্রমাণ করেছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ২০১৯-এর ফাইনালে ইংলিশরা ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল। নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলায় ম্যাচ ড্র করেছিল ইংলিশরা। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে। আর সেখানেই বাজিমাত ইংলিশদের, কিউইদের থেকে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।

তবে সেই সুখকর মুহূর্ত মনে করতে পারছেন না ইংলিশরা। আজ জার্মানিতে বার্লিনে ইউরোর ফাইনাল থেকে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে ইংলিশ দল। তবে পরবর্তী ফুটবল বিশ্বকাপ এবং ইউরোতে ভালো কিছু নিয়ে আসবনে দলের জন্য বলে আশায় বুক বাঁধছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

;

ফিনালিসিমা নিয়ে চিন্তিত স্কালোনি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোর চ্যাম্পিয়ন আর কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন, এই দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াই, যার নাম ফিনালিসিমা। ২০২২ সালে এই লড়াইয়ে ইতালিকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ২০২৪ সালে এসে এই লড়াইয়ের আলোচনা উঠেছে আবার। কোপা আমেরিকা জিতে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি জানালেন, ফিনালিসিমা মাঠে গড়ালে ভালোরকমের বিপদেই পড়তে চলেছেন তিনি।

২০২৫ সালের সম্ভাব্য ফিনালিসিমার আলোচনাটা প্রথম করেছিলেন লামিন ইয়ামাল। কয়েক দিন আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আশা করব মেসি যেন কোপা আমেরিকা জেতে। আর আমি ইউরো জিতি। তাহলে ফিনালিসিমায় আমি তার বিপক্ষে খেলতে পারব।’

এরপর গেল রাতে স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তেও এই বিষয়ে কথা বলেছেন। শুভকামনা জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে ফিনালিসিমায় আসার জন্য, শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন স্কালোনিকেও।

এরপর আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জেতার পর আবারও এই প্রসঙ্গ এল। কোচ লিওনেল স্কালোনিকে জিজ্ঞেস করা হলো ওই ম্যাচ নিয়ে। জবাবে তিনি বললেন, ‘এটা খেলা হবে তো? হলে ভালোই হবে। আমার পরিবারের একাংশ স্পেনের, ওই দেশের সঙ্গে আমার বেশ ভালো একটা সম্পর্ক আছে, ওখানে আমি থাকি, তাদের কোচকেও আমি বেশ করে চিনি। আমি তাদের জয়ের জন্যও বেশ আনন্দিত।’

বিপদের কথাটা স্কালোনি টানলেন এরপরই। তিনি বললেন, ‘ফিনালিসিমা মাঠে গড়ালে আমার একটা বিপদই হয়ে যাবে। আমার পরিবারই বিভক্ত হয়ে যাবে সেদিন। আমার পরিবারের একাংশ যে ওখানের!’

তবে এই ফিনালিসিমা আবারও মাঠে গড়াক, তা চান স্কালোনি। তার ভাষ্য, ‘এটা ভালো কিছুই হবে। দুই দল যারা এই মুহূর্তে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছে, তাদের মুখোমুখি হওয়াটা দারুণ হবে। দুই দল একে অন্যের চেয়ে কত আলাদা, তা দেখা যাবে।’

;

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন টমাস মুলার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়ে গতরাতে এবারের ইউরোর শিরোপা তুলে ধরেছে স্পেন। স্বাগতিক হিসেবে জার্মানি ছিল এবারের অন্যতম ফেভারিট। দলীয় শক্তি সামর্থ্য বিবেচনায়ও তারা এগিয়েই ছিল বেশ। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল জার্মানরা। তখনই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। আজ ইউরোর পর্দা আনুষ্ঠানিকভাবে নামার পরপরই জাতীয় দল থেকে নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়েই ফেললেন টমাস মুলার।

কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি আরেক জার্মান তারকা মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচ ছিল। তার বিদায়বেলায় মুলার সেদিন জার্মান স্কাই স্পোর্টসকে বলেছিলেন, ‘খুব সম্ভবত এটি আমার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।’

আজ তার ইঙ্গিতটি সত্যি হলো। একটি ভিডিও বার্তায় নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়ে মুলার বলেছেন, ‘১৪ বছর আগে জার্মানির হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলার সময় এসব কোনো কিছুর স্বপ্ন দেখিনি। দেশের হয়ে খেলতে সবসময়ই গর্ব বোধ করেছি। আমরা একসঙ্গে উপভোগ করেছি, দুঃখও ভাগ করেছি। জাতীয় দলের হয়ে ১৩১ ম্যাচে ৪৫ গোল করার পর আমি বিদায় জানাচ্ছি।’

২০১০ সালে জার্মানির হয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল সময়ের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডারের। জার্মানির হয়ে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ (১৩১) ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তার গোল সংখ্যা ৪৫টি।

সদ্য সমাপ্ত ইউরো আসরে যদিও সেভাবে একাদশে খেলার সুযোগ হয়নি মুলার। বেঞ্চ থেকে বদলি হিসেবে নেমে খেলেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেও ক্লাব ফুটবলে অন্তত ২০২৫ সাল পর্যন্ত জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখে দেখা যাবে তাকে।

;

১৫ বছরের চুক্তি করতেও রাজি স্কালোনি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে লিওনেল স্কালোনি এসেছিলেন ২০১৮ সালে। এরপর থেকে তিনি দলটাকে জিতিয়েছেন একে একে ৪টা শিরোপা। এরপর তিনি জানালেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে যদি ১৫ বছরের চুক্তিও হয়, তাও মেনে নিতে রাজি আছেন তিনি।

কোচ লিওনেল স্কালোনির অধীনে ২০১৯ কোপা আমেরিকায় প্রথম টুর্নামেন্টটা খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেবার সেমিফাইনালে খেলেছিলেন লিওনেল মেসিরা। এরপরের আসর থেকেই শুরু আর্জেন্টিনার জয়যাত্রার। ২০২১ কোপা আমেরিকা জিতে ২৮ বছরের খরা কাটিয়েছে এরপর।

২০২২ সালে ফিনালিসিমায় হারিয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। এরপর সে বছর ডিসেম্বরে ঘরে তুলেছে বিশ্বকাপের সোনার হরিণও। এরপর এবার কোপা আমেরিকার শিরোপা আবার জিতেছে স্কালোনির দল। শেষ অনেক বছরে আর্জেন্টিনার কোচিং করিয়ে এমন সফল হতে পারেননি অনেকেই। সেটা স্কালোনি হয়ে গেছেন দায়িত্ব পাওয়ার ছয় বছরের ভেতর।

তবে তিনি দায়িত্বে থাকতে চাননি। গেল বছর ব্রাজিলকে তাদেরই মাঠে হারানোর পর স্কালোনি জানিয়েছিলেন সরে যাওয়ার অভিপ্রায়। তখন কী চলছিল স্কালোনির মনে? আর্জেন্টিনা কোচ আজ জানালেন, ‘গেল বছরটা আমার বেশ বাজে কেটেছে। আমি খুব ভালো অবস্থায় ছিলাম না। কারণ কিছু বিষয়ে একটা জায়গায় আটকে ছিলাম কয়েক মাসের মতো। সেদিন আমার সমস্যাটা ছিল, এটা আমার বলতেই হবে।’

সে সমস্যা কি এখনও আছে? স্কালোনির জবাব, ‘আজ আমি ভালো আছি। সে সমস্যাটা থেকে সেরে উঠেছি। আমরা আশা করছি এই পথে আরও অনেক দূর চলব আমরা।‘

ঠিক কত দূর চলতে চান আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয়ে? স্কালোনি জানালেন, ‘জাতীয় দলের কোচের কাজটা অনেক প্রাণশক্তি দাবি করে। আমি মনে করি এখানে সৎ থাকাটা জরুরি। এখন আমার দুই বছরের চুক্তি বাকি আছে। আমাকে এখন যদি সভাপতি এসে বলেন যে ১৫ বছরের চুক্তিতে সই করো, আমি তাও নির্দ্বিধায় করে ফেলব।’

শেষ কথাটা অতি অবশ্যই রসিকতা। কিন্তু সেটা বাস্তব হয়ে গেলেও বোধ করি আর্জেন্টাইনরা মোটেও অসন্তুষ্ট হবেন না!

;