৪৪ বলেই এজবাস্টন টেস্ট জিতে নিল ইংলিশরা 

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিরিজের দফারফা হয়ে গিয়েছিল ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টেই। অ্যান্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে জেতার পর সিরিজে সেই দ্বিতীয় টেস্টেও ২৪১ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এতে এজবাস্টন টেস্ট, অর্থাৎ সিরিজের শেষ টেস্টটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। তবে এই ম্যাচটি কি-না ৪৪ বলেই জিতে নিল ইংলিশরা। এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় তিনে জয়ের জন্য ৮২ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। সেখানে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭ ওভার ২ বলেই ম্যাচটি জিতে নেয় ইংলিশরা। 

বিজ্ঞাপন

১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানের এই জয়ের সিরিজে ক্যারিবীয়দের ৩-০ ব্যবধানে হারাল ইংল্যান্ড। এতেই প্রায় ১৫ বছর পর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করলো তারা। 

গতকাল (রোববার) তৃতীয় দিনে ২ উইকেটে ৩৩ রানের খেলতে নেমে উডের পেস তোপে ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। সেখানে ৪০ রানের ফাইফার তোলেন উড। এতে জয়ের জন্য ইংলিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৮২ রানের। মামুলি সেই লক্ষ্য তাড়ায় বেন ডাকেটের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে পড়েন অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং তারা ম্যাচটি জিতিয়ে দেয় ৪৪ বলেই। ডাকেটের ২৫ রানের বিপরীতে ২৮ বলে ৫৭ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন স্টোকস। 

টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো ওপেনিংয়ে নেমে স্রেফ ২৪ বলেই ফিফটি তোলেন স্টোকস। যা ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটারের এই ফরম্যাটে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগে ১৯৮১ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৮ বলে ফিফটি তুলেছিলেন ইয়ান বোথাম।

টেস্টে সব মিলিয়ে স্টোকসের এই কীর্তি যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি। এর আগে ২১ বলে ফিফটি করেছেন মিসবাহ উল হক এবং ২৩ বল সময় নিয়েছিলেন অজি তারকা ডেভিড ওপেনার। এছাড়া জ্যাক ক্যালিস খেলেছিলেন সমান ২৪ বল।  

এজবাস্টন টেস্টে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। এছাড়া জেসন হোল্ডার করেন ৫৯ রান এবং জশুয়া ডি সিলভার ব্যাটে আসে ৪৯ রান। ইংলিশদের হয়ে সেখানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন গাস আটকিনসন। এছাড়া তিনটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস এবং দুটি নেন মার্ক উড। 

জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসের শুরুতে বড় ব্যাটিং বিপরযয়ের মুখে পড়ে ইংলিশরা। ৫৪ রানেই তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। তবে দৃঢ়তার পরিচয় দেওয়া জো রুটের ৮৭ এবং আটে নামা জেমি স্মিথের দলীয় সর্বোচ্চ ৯৫ রানে চড়ে মান বাঁচিয়ে ৩৭৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। টেল এন্ডারে ক্রিস ওকসও খেলেন ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস। 

পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে উডের পেস তোপের সামনে টিকতেই পারেননি উইন্ডিজ ব্যাটাররা। লুইয়ের ৫৭ এবং কাভেম হজের ৫৫ রান বাদে বাকি সবাই ফিরেছেন ২০ রানের আগেই। পরে ৮২ রানের মামুলি লক্ষ্যে চোখের পলকেই পৌঁছে যায় বেন স্টোকসের দল। 

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নেওয়া মার্ক উড জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। এদিকে নিজের অভিষেক সিরিজে মোট ২২ উইকেট নেওয়া গাস আটকিনসনের ঝুলিতে যায় সিরিজসেরার খেতাবটি।