সৌম্যের ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড, ট্রফি জিতল আবাহনী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নতুন উচ্চতায় আবাহনীর ওপেনার সৌম্য সরকার

নতুন উচ্চতায় আবাহনীর ওপেনার সৌম্য সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

এক ম্যাচে অনেক রেকর্ড গড়ে ফেললেন সৌম্য সরকার। লিস্ট-এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড তার। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ১৬ ছক্কার মালিক এখন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে যে কোন উইকেট জুটিতে নতুন রেকর্ডে এখন তার নাম। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে লিগের শেষ ম্যাচে সৌম্য সরকার করলেন ১৫৩ বলে অপরাজিত ২০৮ রান। বাউন্ডারি হাঁকান ১৪টি। রেকর্ড ছক্কা ১৬টি।

লিস্ট-এ ক্রিকেটে এতোদিন ধরে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৯০ রানের রেকর্ডটা ছিলো রকিবুল হাসানের। ২০১৭ সালে মোহামেডানের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে এই রান করেছিলেন রকিবুল হাসান। সেই রেকর্ড শুধু টপকে সৌম্য সরকার গড়লেন অপরাজিত ২০৮ রানের নতুন রেকর্ড।


আবাহনীর লিগ ট্রফি জয়ের ম্যাচে সৌম্য সরকারের ব্যাটিং এমন অনেক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) যা করলেন সেটা অনেকদিন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আলোচনার অংশ হয়ে থাকবে।

লিগ ট্রফি জিততে হলে এই ম্যাচে আবাহনীকে জিততেই হতো। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব তুললো ৯ উইকেটে ৩১৭ রান। জবাব দিতে নেমে আবাহনী শুরু থেকে যে ব্যাটিং দাপট দেখালো তাতেই ম্যাচ ফয়সালা! ওপেনিং জুটিতেই রান উঠলো ৩১২!

মাত্র ৭৮ বলে নিজের সেঞ্চুরি পুরো করলেন সৌম্য সরকার। আর সেঞ্চুরি পুরো হতেই যেন রান ক্ষিদে তার আরও বেড়ে গেলো! চোখের পলকে ১৫০ রানে পৌছে গেলেন। ১০০ থেকে ১৫০ রানে পৌছাতে সৌম্যের লাগলো মাত্র ২৬ বল। ব্যক্তিগত ১৫০ রান পুরো হওয়ার পর ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন ডালপালা মেলে তার। খানিকটা সাবধানি হয়ে পড়েন। ওদিকে সঙ্গী ওপেনার জহুরুল ইসলামও ক্রমশ সেঞ্চুরির দিকে যাচ্ছেন। জহুরুলের সেঞ্চুরি পুরো হওয়ার পরের ওভারেই সৌম্য সরকারও ডাবল সেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন। ১৪৯ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন।

৪৫.১ ওভারের সময় ইমতিয়াজ হোসেনের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সৌম্য সরকার ডাবল সেঞ্চুরির আনন্দে দু’হাত তুলে উল্লাসে মেতে উঠেন। ননষ্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সঙ্গী জহুরুল ইসলাম ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরেন। ডাগআউট ছেড়ে মাঠের কোনায় এসে দাড়ানো পুরো আবাহনী দলের খেলোয়াড়রা হাততালি দিয়ে সৌম্যের এই কৃতিত্বকে অভিনন্দন জানান।

ম্যাচের শেষটা করেন সৌম্য রাজকীয় কায়দায়। তাইজুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে এনে দিলেন আবাহনীকে অনেক দিন স্মরণীয় রাখার মতো ৯ উইকেটের জয়!

এই জয়ে লিগ শিরোপা আরেকবার উঠলো আবাহনীর ঘরে।

   

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ পাকিস্তানের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জয় পাক, সেটা হয়তো চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সবাই। কিন্তু এভাবে হোক, তা নিশ্চয়ই কেউ চাননি! দুই গ্রুপের বৈতরণী পার হয়ে গেলে জয় দিয়ে শেষ করার সুযোগ তো একমাত্র চ্যাম্পিয়ন দলেরই থাকে! কিন্তু বাবর আজমের দল হলো তার ঠিক উল্টোটা। বনে গেল গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া ১২ দলের একটা। শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ৩ উইকেটের জয়টাকে তাই সান্ত্বনার জয় ছাড়া আর কিছুই বলা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান তুলে নিয়েছিল আইরিশদের ৩ উইকেট, দলের রান ছিল তখন মোটে ৪। এরপর শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই ২ অঙ্কে যেতে পারেননি। তবু আয়ারল্যান্ড ১০৬ পর্যন্ত গেছে গ্যারেথ ডেলানির ১৯ বলে ৩১ আর জশ লিটলের ২২ রানে ভর করে।
জবাবে পাকিস্তান শুরু করেছিল ভালোই। তবে পঞ্চাশ পেরোনোর পরই দশ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট খুইয়ে কাঁপতে থাকে বাবর আজমের দল। সেখান থেকে দলকে রক্ষা করলেন বাবর নিজেই। ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসটা হয়তো তার সেরা নয়, কিন্তু পরিস্থিতি বিচারে তিনি একে মনে রাখবেন অনেক দিন। শেষ দিকে পরিস্থিতিটা আরও কঠিন হতে দেননি শাহিন আফ্রিদি। দুই ছক্কায় ম্যাচটা শেষ করেন ৭ বল বাকি থাকতেই।
আইরিশদেরও বিশ্বকাপ বহু আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান নিজেদের অন্তত এই বলে সান্ত্বনা দিতে পারে যে, তারা তো শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে, আইরিশরা যে এই সান্ত্বনাটাও নিজেদের দিতে পারছে না!

;

সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ম্যাথিউস

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ায় বেশ হতাশ হয়েছেন দলের খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট এবং সমর্থকরাও। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসি ও লঙ্কান ক্রিকেট দলের ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।

ম্যাথিউস বলেন, ‘আমরা পুরো দেশকে হতাশ করেছি। আমরা সত্যিই দুঃখিত কারণ আমরা নিজেদেরকেও হতাশ করেছি। আমরা কখনও এমনটা আশা করিনি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে সেগুলো দুর্ভাবনার কিছু নয়। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারিনি।’

সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। ডাচরা যথেষ্ট শক্তিশালী দল কারণ তারা দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো পারফর্ম করেছে। তাই তাদেরকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন ম্যাথিউস।

লঙ্কান এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমরা কোনো দলকে হালকাভাবে নিতে পারি না। নেপাল কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিচ্ছিল আমরা দেখেছি। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে নেপালের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। তবে যা হওয়ার হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টে আমাদের আর একটি ম্যাচ বাকি। আমরা নিজেদের সম্মানের জন্য খেলব।’

বেশ দুঃখ নিয়েই ম্যাথিউস শেষে বলেন, ‘নিজেদের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি আমরা। বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা হতাশ। নিজেদের মধ্যে আমরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। আগামীকাল নতুন দিন এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হবে। তারা খুব, খুব বিপজ্জনক দল। তাই আমরা ভালো খেলে তাদের হারাতে চাই।’

;

আমরা আমাদের শতভাগ ও সেরাটা দিব: সাকিব

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় নেপালের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে জায়গা করে নিতে হলে এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। তাই নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়েই মাঠে নামছেন শান্ত-সাকিবরা।

টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের ইনজুরির ফলে বাংলাদেশের একাদশে সুযোগ পান তানজিম সাকিব। সুযোগটি বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন এই তরুণ। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নিজের জায়গাটা একাদশে শক্তভাবে নিশ্চিত ও নিজের করে নিয়েছেন।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘ম্যাচ খেলব কি খেলব না এটা নিয়ে ভাবি না। সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কম্বিনেশনের কারণে না খেলা হলে আলাদা ব্যাপার। আমি সবসময় প্রস্তুত থাকি। সুযোগ পেলে তিন বিভাগেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার কাছ থেকে দল যেন সর্বোচ্চটা পায়। দলের জন্য আমি শতভাগ দিতে চাই মাঠে, এটাই আমার কাজ।’

নেপালকে একদমই হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ, এমনটাই বলেছেন সাকিব। কারণ নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল এই নেপাল।

এ প্রসঙ্গে টাইগার পেসার বলেছেন, ‘আমরা আমাদের শতভাগ দেবো, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছোট-বড় দল নেই। প্রত্যেককে সমানভাবে দেখার চেষ্টা করি। মাত্র ২০ ওভারের খেলা, কখন মোমেন্টাম বদলে যায়, কেউ বলতে পারে না। আমরা প্রত্যেক দলকেই সমানভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক একইভাবে খেলার চেষ্টা করব।’

;

সাকিবের বিশ্বাস, শান্ত ফর্মে ফিরবেন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যাটারদের পারফরম্যান্স একদমই আশানুরূপ না। এই টুর্নামেন্টের আরও বেশ আগে থেকেই এই ব্যাটিং ব্যর্থতা চলে আসছে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত সহ বাকিরাও ব্যাট হাতে প্রশংসা পাওয়ার মতো কিছু করে দেখাতে পারছেন না।

তবে শনিবার রাতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার পেসার জানিয়েছেন, দলের ব্যাটারদের ওপর ভরসা আছে তার। এমনকি সতীর্থ ও অধিনায়ক শান্তও অতি শীঘ্রই ফর্মে ফিরবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

তানজিম সাকিব বলেন, ‘শান্ত ভাই খুব পরিশ্রম করছে প্র্যাকটিসে নিজেকে ফর্মে ফিরিয়ে আনার জন্য। উনি খুব কঠোর পরিশ্রমী মানুষ, জাতীয় দলের কয়েকজন পরিশ্রমীর মধ্যে উনি একজন। খুবই ডেডিকেটেড এবং প্যাশনেট একজন মানুষ। উনি আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। অধিনায়ক হিসেবেও খুবই ভালো। সবাইকে খুব আগলে রাখেন, গুছিয়ে রাখেন- মাঠ ও মাঠের বাইরে। এটা খুব ভালো দিক আমি বলব।’

শান্তসহ যাদের ব্যাট বেশ কয়েকদিন ধরেই হাসছে না, তাদের ওপরও আস্থা আছে সাকিবের। নিজের চেনা রূপে ফিরবে তারা এমনটা বিশ্বাস করে সাকিব বলেন, ‘যাদের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তারা বেস্ট চয়েস। তারা শতভাগ দিলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল আসবে। তারা খুব চেষ্টা করছে। হয়ত ২-১ জন রান পাচ্ছে না। আমি খুব বিশ্বাস করি, খুব তাড়াতাড়ি রানে ফিরবে। এটা দলের বিশ্বাস, এই বিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামি। আমাদের বিশ্বাস আছে কেউ না কেউ ভালো খেলে দিবে।’

আগামীকাল (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫টায় নেপালের বিপক্ষে নিজেদের সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করার ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।

;