সুপার এইটের শেষ দল কে হবে?

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগ থেকেই সমর্থক এবং বিশ্লেষকরা কষছিলেন নানা হিসাব। এবারের চারটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ কোন দুই দল জায়গা করে নিবে সুপার এইটে, এটাই ছিল আলোচনার মূল বিষয়। অনেকের মতামতের সঙ্গে যেমন ফলাফল মিলেছে, আবার অনেকের ভবিষ্যৎবাণীই মিলেনি।

রবিবার ভোরের ম্যাচ শেষে নিশ্চিত হয়ে গেছে এবারের বিশ্বকাপের সুপার এইটের সাতটি স্থানই। বাকি আছে আর একটি মাত্র স্পট, যেখানে জায়গা করে নিবে নেদারল্যান্ডস কিংবা বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে গ্রুপ-এ থেকে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে ভারত ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ-বি থেকে কাঙ্ক্ষিতভাবেই জায়গা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। গ্রুপ-সি থেকে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে আরেক স্বাগতিক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তান।

গ্রুপ-ডি তে কাগজ-কলমের হিসেবে বাংলাদেশ কিঞ্চিৎ এগিয়ে থাকলেও আশঙ্কামুক্ত নেই। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে, আগামীকাল (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫টায়। ঠিক তার পরই সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেদারল্যান্ডস। সুপার এইটের সর্বশেষ স্পটটি দখল করতে হলে টাইগার এবং ডাচ উভয়ের হাতেই জয় ছাড়া বিকল্প নেই।

নেপালের সঙ্গে যদি বাংলাদেশ হেরে যায়, অপরদিকে লঙ্কানদের ডাচরা হারিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে রানরেটের হিসাব হবে। যেখানে ভাগ্য সহায় না হলে সুপার এইটের স্বপ্ন ভেস্তেও যেতে পারে সাকিব-শান্তদের। তাই এত জটিল হিসেবের ফাঁদে না পড়ে নেপালকে হারিয়েই নিশ্চিতভাবে সুপার এইটের টিকিট কাটতে মরিয়া বাংলাদেশ।

   

নতুন মাইলফলকের সামনে সাকিব

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সকাল সাড়ে ৬ টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচ দিয়েই খুব সম্ভবত শেষ হচ্ছে টাইগারদের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা। এমনকি বিশ্বকাপের মঞ্চে সাকিব আল হাসানেরও এটিই হতে পারে শেষ ম্যাচ। তবে ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই সাকিব আল হাসান অপেক্ষায় আছেন এক মাইলফলকের।

ব্যাট হাতে সাকিবের অফফর্মের সমালোচনা হচ্ছে বেশ। ব্যাপারটাকে অযৌক্তিক বললেও ভুল হবে না। তবে বল হাতে যে সাকিবের অবস্থা আরও ভয়াবহ! অবস্থা এমন যে নেপাল ম্যাচের আগে সাত ইনিংসে সাকিবের উইকেট ছিল মাত্র একটা। নেপালের বিপক্ষে যে দুইটা উইকেট পেয়েছেন দুইটাই একদম নিচের দিকের উইকেট। শেষ দুই উইকেট। অজিদের বিপক্ষে বলই হাতে নেননি। ভারতের বিপক্ষে নিয়েছেন এক উইকেট তবে তিন ওভারে রান দিয়েছেন ৩৭।

সবমিলিয়ে শেষ দশ ইনিংসে চার উইকেট। এর মধ্যে একটা ইনিংস অবশ্য ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ। কথায় আছে- সাকিবের রান উইকেট মানেই যেন রেকর্ড। উইকেট খরার এই সময়টায় ভারতের বিপক্ষে রোহিত শর্মাকে আউট করে সাকিব গড়েছেন প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পঞ্চাশ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। লেগেছে ৪২ ম্যাচ আর ৪০ ইনিংস।

আরও একটা রেকর্ড অপেক্ষমাণ সাকিবের জন্য। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট এখন ১৪৯। খেলেছেন ১২৮ ম্যাচ আর বল করেছেন ১২৫ ইনিংস। আর মাত্র একটা উইকেট শিকার করলেই প্রথম স্পিনার আর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে দেড়শ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব। সেক্ষেত্রে হয়ে যাবেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আড়াই হাজার রান আর দেড়শ উইকেট শিকার করা একমাত্র অলরাউন্ডার। যেখানে একশো শিকারি বাকী পনেরো জনের কারোই নেই হাজার রান।

সর্বোচ্চ উইকেটের লিস্টে সাকিবের ওপরের নামটা টিম সাউদির। ১২৩ ইনিংসে তার শিকার ১৬৪ উইকেট।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

যে পরিসংখ্যানে টিকে আছে বাংলাদেশের স্বপ্ন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ রাত সাড়ে ৮ টায় মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। এখানে ক্রিকেটের দুই পরাশক্তিই নিশ্চিত করতে চায় তাদের সেমিফাইনালের টিকিট। ভারত অবশ্য সেমির দৌড়ে অজিদের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও তাদের শঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি। অপরদিকে সেমিতেজায়গা করে নিতে হলে এই ম্যাচ জেতা ছাড়া বিকল্প নেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে।

মিচেল মার্শের দল আজ হারলে শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রাও। তখন তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। তখন কেবলমাত্র টাইগারদের জয়ই অজিদের এনে দিতে পারবে সেমির টিকিট।

দু’দলের এমন লড়াইয়ের আগে তাদের পূর্ব পরিসংখ্যান অবশ্য স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে। হাই-ভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে ভারতীয়রা স্বস্তি খুঁজে পেতে পারেন অজিদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে তাদের অতীত পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে। আর সেই একই দিকে তাকিয়ে আপাতত তৃপ্তি খুঁজে নিতে পারেন টাইগার সমর্থকরাও।

টি-টোয়েন্টিতে অজিদের বিপক্ষে ভারতের দাপটটা বরাবরই বেশি। এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে দু’দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৩১ বার। যেখানে ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তাছাড়া বাকি ৩০ ম্যাচের মধ্যে ১৯টিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সংখ্যাটা সবশেষ ৫ ম্যাচেও ভালো না, ভারতের বিপক্ষে মোটে এক জয় এসেছে অজিদের।

তবে বাকি ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাটের হিসেবটা আবার কথা বলছে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই। তবে দিন শেষে ক্রিকেট তো কেবল পরিসংখ্যানের খেলা নয়। নির্দিষ্ট দিনে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলেই জয় তুলে নিতে হয় যেকোনো একটি দলকে। যা সবশেষ ভারত বিশ্বকাপে ভারতকে তাদের মাটিতে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে দেখিয়ে দিয়েছে অজিরা।

আজকের ম্যাচের আগেও গত বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করছে অজিরা। তবে এসবের বাইরে রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সমর্থকদের চাওয়া ভিন্ন। তাদের চাওয়া অজিদের গুঁড়িয়ে সেমিতে যাওয়ার রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিক ভারত। তা না হলে যে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটা পরিণত হতে পারে কেবলই নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবে।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি পাওয়েল

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপার এইটে প্রথম দুটি ম্যাচের দুটিতেই জিতে গ্রুপ ‘টু’-এর শীর্ষে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিকে দুটির মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেও নেট রানরেটে শক্ত অবস্থান ছিল ক্যারিবীয়দের। এদিকে গতকাল (রোববার) রাতে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের ম্যাচের সমীকরণটি ছিল, যে জিতবে তারাই পৌঁছে যাবে সেমিতে। সেখানে আজ সকালে অ্যান্টিগার রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট কাটে প্রোটিয়ারা। 

টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই ব্যাটিং বিবেচনায় শক্তিশালী দল। এবং আজকের ম্যাচটি যখন ছিল অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক পিচে, সেখানে দলটির সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই চেয়ে ছিল বড় সংগ্রহের দিকে। তবে স্বাগতিকরা সেখানে তুলল কেবল ১৩৫ রান। রস্টন চেজ ৫২ এবং কাইল মায়ার্সের ৩৫ রান বাদে আরও কেউই পেরোতে পারেননি ২০ রানের গণ্ডি। এতেই দলের ব্যাটিং ইউনিটের এমন পারফর্মে মোটেও সন্তুষ্ট নন তাদের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। 

পাওয়েল নিজেও এদিন ফিরেছেন কেবল ১ রান করে। এতে আসরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজেদের এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্স ভুলে যেতে যান ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ছেলেদের কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। তবে একটি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে এটি এমন একটি পারফরম্যান্স যা আপনি ভুলে যেতে চাইবেন। মাঝে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। এটি সহজ উইকেট ছিল না, বিশেষ করে সেখানে শুরু করা। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ছন্নছাড়াভাবে উইকেট হারিয়েছি। যা আমাদের ব্যাটিংয়ের ভিত্তি ভেঙে দিয়েছে।’ 

ব্যাটিংটা ছন্নছাড়া হলেও স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে দারুণ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ক্যারিবীয় বোলাররা। আর এতেই তাদের কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি পাওয়েল। ‘এটি একটি প্রশংসনীয় বোলিং প্রচেষ্টা ছিল। আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে জিততে চেয়েছিলাম। যদিও সংগ্রহ ছিল ১৩৫ রান, তবুও দল বিশ্বাস রেখেছিল।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

শুভ জন্মদিন ফুটবল জাদুকর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে লিওনেল মেসি, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে লিওনেল মেসি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবছরই জুনের শেষ দিকটা লিওনেল মেসির ভক্ত ও সমর্থকদের কাছে বিশেষ কিছু। আজ ২৪ জুন, আজই সেই বিশেষ দিন! কারণ ২৪ জুন যে মেসির জন্মদিন!

নিজে খেলা, অন্যকে খেলানো; নিজের গোল, সতীর্থের গোল, সর্বত্রই মেসির মনোযোগ সমান, সেটা একেবারে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। মোহজাগানিয়া সব ড্রিবলে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ছিঁড়েফুঁড়ে গিয়ে জালে বল জড়ানো যেমন তার দক্ষতা, তেমনি সমান দক্ষতা তার সতীর্থদের দিয়ে গোলটা করাতেও। এতটাই যে, নতুন ম্যারাডোনা হবেন কে- এ প্রশ্নের জবাবে কিংবদন্তি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা নিজ মুখে বলে দিয়েছিলেন মেসির নাম!

২০০৬ বিশ্বকাপে সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ম্যাচে তার অভিষেকের দিনের কথাটা ভাবুন একবার। মেসি যখন মাঠে নামছেন বদলি হিসেবে, তখন ম্যারাডোনার দিকে ক্যামেরা চলে গিয়েছিল; ম্যারাডোনাকে এর মতো উন্মত্ত এর আগে-পরে কবে দেখা গেছে, তা বড় একটা গবেষণারই বিষয় বটে!

সে সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রো ম্যাচ তো বটেই, এরপর আরও বহুবার বহু পারফরম্যান্সে মেসি বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন খোদ ম্যারাডোনা তাকে নিজের উত্তরাধিকার দিয়েছেন। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। প্রথম ব্যালন ডি’অর যখন হাতে নিচ্ছেন, তখন তার বয়স মোটে ২২ বছর! এরপর একবার নয়, দুইবার নয়, ব্যালন ডি’অর জিতলেন আটবার।

অভিষেকের আগে থেকেই ম্যারাডোনা মেসির ভক্ত। অভিষেকের পর নিজের মোহময় সব পারফরম্যান্স দিয়ে আরও কতশত রথী-মহারথীকে নিজের ভক্ত বানিয়েছেন মেসি, তার ইয়ত্তা নেই। কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ তাদেরই একজন।

সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবল ব্যক্তিত্ব তার ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকেই বলে দিয়েছিলেন, ছেলেটা ক্যারিয়ার শেষ করবে কম করে হলেও সাতটা ব্যালন ডি’অর নিয়ে। মেসি পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যারাডোনার কথা রেখেছেন, রেখেছেন ক্রুইফের কথাও। বরং তার চেয়ে একটা বেশিই আদায় করে নিয়েছেন।

তবে শুধু তাতে তো আর আর্জেন্টিনার মন ভরে না! শিরোপা চাই! দীর্ঘকাল যে দেশটিতে শিরোপা নিয়ে প্যারেডের উপলক্ষ এনে দেয়নি তাদের জাতীয় ফুটবল দল! ২০০৬ সাল থেকে সে ব্যর্থতার সঙ্গী ছিলেন মেসি নিজেও।

বার্সেলোনায় সুবর্ণ সময় কাটিয়ে এসে আর্জেন্টিনার জার্সিটা পরলেই যেন মেসির সব রঙ হারিয়ে যেত। মেসির সব রূপ যেন তোলা ছিল আটলান্টিকের ওপারের জন্যই, এপারের জন্য কিছু নয়! ক্যারিয়ার একটু বড় হতে সে অপবাদটা ঘোচালেন তিনি, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়েও নিজের জাদু দেখালেন।

এক, দুই, তিন করে শিরোপা ধরা দিতে দিতেও দিল না টানা তিন বছর। এ যাত্রার নিউক্লিয়াস ছিলেন খোদ মেসি, সেই মেসির কুশপুতুল পোড়াতেও দ্বিধা করেনি বুয়েনস আয়ার্স, লা প্লাতা, করদোবার মানুষ। 

মেসির মনে তাই দুঃখ রয়েই যায়। শেষবার তো হাপুস নয়নে কেঁদেই ফেললেন জনসম্মুখে। এরপর অভিমানে বিদায়ও বলে দিলেন জাতীয় দলকে। এমন অসুখ আর কাহাতক সহ্য করা যায়? 

আর্জেন্টিনার হয়ে এইসব গঞ্জনা যখন সয়েছেন মেসি, তখন সময়টা কিন্তু ছিল এই জুন মাসই। সে ধারাটা অবশ্য কেটে গেছে বছর দুয়েক আগেই। ২০২১ সালেই যে চির আক্ষেপ ঘুচিয়ে চির অধরা আন্তর্জাতিক ট্রফিটায় চুমু এঁকেছিলেন। আর্জেন্টিনার হয়ে আরও একটা শিরোপা এই গত বছর জুনেই জিতেছেন, ইতালিকে হারিয়ে লা ফিনালিসিমা শিরোপা।

তবে এত কিছুর পরও একটা আক্ষেপ থেকেই গিয়েছিল তার। আট বছর আগে যে শিরোপাটা জেতা থেকে মেসি ছিলেন হাতছোঁয়া দূরত্বে, সে বিশ্বকাপটা গেল বছর নিয়ম বদলে তা চলে গেল নভেম্বর-ডিসেম্বরে। তার অপেক্ষাটা বাড়ল আরও একটু। অপেক্ষা বাড়লেও এবার নিয়তি তাকে নিরাশ করেনি। ৭ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট করে তার নিয়তিটাকে যে তিনি গড়েছিলেন নিজেই! তার ফলেই তো বিশ্বকাপের শিরোপায় চুমুটা আঁকতে পারলেন, অবশেষে!

সেই এক শিরোপাই তাকে বদলে দিয়েছে খোলনলচে। না, মেসি বলতেই আমাদের চোখে যে শান্ত-সুবোধ বালকের চেহারা ভেসে ওঠে, সেখান থেকে মেসি রীতিমতো জন উইক গোছের কিছু হয়ে যাননি! আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখন একটু কম মাথা ঘামান আর সব কিছু নিয়ে; এতটাই যে, তাকে দুয়ো দিচ্ছে সমর্থকরা, সেখানে কানই নেই তার! এতটাই যে, ইউরোপ ছেড়েও চলে গেছেন দ্বিতীয়বার কোনো ভাবনা না দিয়েই। সবকিছু হয়েছে, কারণ সব কিছুই যে জেতা হয়ে গেছে এখন তার! আর কী বাকি আছে!

বর্তমানে কোপা আমেরিকা মিশনে পুরো দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আছেন মেসি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্ব বেশ সহজেই টপকে যাবে আলবিসেলেস্তেরা এমনটাই আশা করেন সমর্থকরা। এমনকি নিজের বর্ণিল ক্যারিয়ারে আরেকটি শিরোপা যোগ করতেই চাইবেন মেসি। দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা শিরোপার দিকেই আপাতত মনোযোগ আছে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে অন্যতম এই ফুটবল জাদুকরের।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;