রেকর্ডময় অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ম্যাচ

  ক্রিকেট কার্নিভাল


স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রবিবার ভোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠ নেমেছিল স্কটল্যান্ড। যেখানে অজিদের ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্কটিশরা। ২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই সেই লক্ষ্য টপকে স্কটল্যান্ডকে সুপার এইটের দৌড় থেকে বের করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একই সাথে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের সুপার এইটে খেলাও।

জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এই ম্যাচে হয়েছে একের অধিক রেকর্ড। দুই দলই ব্যাট হাতে ছিল দারুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেইসব রেকর্ড।

২৬

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতকটি হয়েছে এই ম্যাচে। স্কটল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ২৬ বলে তুলে নিয়েছেন তার ফিফটি।

৫৯

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রান তাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন মার্কাস স্টয়নিস। তার ২৯ বলে ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসটি অজিদের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বকাপের মঞ্চে সবমিলিয়ে রানতাড়ায় ১০২.৫০ গড় এবং ১৭৮.২৬ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০৫ রান।

১৮০

ম্যাকমুলেন ও জর্জ মুনশির জুটি অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর রীতিমত দাপট দেখিয়েছেন। ইনিংস শেষে স্কটল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৮০ রান সংগ্রহ করে। যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।

১৮১

অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ১৮১ রানের। যা তারা পেরিয়ে যায় ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৯.৪ ওভারে। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়ার রানতাড়া নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে একই ভেন্যুতেই ২০১০ আসরে পাকিস্তানের দেওয়া সর্বোচ্চ ১৯২ রানের লক্ষ্য পেরিয়েছিল অজিরা।

১৬০.২

জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৬০ রান। এই পর্যায়ে অজিরা বিশ্বকাপে রান তাড়ায় ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬০.২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে। প্রথম ১৩ ওভারে ৭.০৮ গড়ে রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া, পরবর্তী ৭ ওভারে রানতাড়া করে ১৪.১১ গড়ে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডে ইংল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে এবার ভাগ বসালো অস্ট্রেলিয়া। ২০১০-২০১২ আসরে ইংল্যান্ড এবং ২০১২-১৪ আসরে ভারত টানা সাতটি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছিল। ২০২২ থেকে চলমান ২০২৪ আসরে এখন পর্যন্ত অজিদেরও টানা জয় ৭টি।

   

যে পরিসংখ্যানে টিকে আছে বাংলাদেশের স্বপ্ন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ রাত সাড়ে ৮ টায় মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। এখানে ক্রিকেটের দুই পরাশক্তিই নিশ্চিত করতে চায় তাদের সেমিফাইনালের টিকিট। ভারত অবশ্য সেমির দৌড়ে অজিদের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও তাদের শঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি। অপরদিকে সেমিতেজায়গা করে নিতে হলে এই ম্যাচ জেতা ছাড়া বিকল্প নেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে।

মিচেল মার্শের দল আজ হারলে শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রাও। তখন তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। তখন কেবলমাত্র টাইগারদের জয়ই অজিদের এনে দিতে পারবে সেমির টিকিট।

দু’দলের এমন লড়াইয়ের আগে তাদের পূর্ব পরিসংখ্যান অবশ্য স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে। হাই-ভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে ভারতীয়রা স্বস্তি খুঁজে পেতে পারেন অজিদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে তাদের অতীত পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে। আর সেই একই দিকে তাকিয়ে আপাতত তৃপ্তি খুঁজে নিতে পারেন টাইগার সমর্থকরাও।

টি-টোয়েন্টিতে অজিদের বিপক্ষে ভারতের দাপটটা বরাবরই বেশি। এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটে দু’দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৩১ বার। যেখানে ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তাছাড়া বাকি ৩০ ম্যাচের মধ্যে ১৯টিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সংখ্যাটা সবশেষ ৫ ম্যাচেও ভালো না, ভারতের বিপক্ষে মোটে এক জয় এসেছে অজিদের।

তবে বাকি ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাটের হিসেবটা আবার কথা বলছে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই। তবে দিন শেষে ক্রিকেট তো কেবল পরিসংখ্যানের খেলা নয়। নির্দিষ্ট দিনে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলেই জয় তুলে নিতে হয় যেকোনো একটি দলকে। যা সবশেষ ভারত বিশ্বকাপে ভারতকে তাদের মাটিতে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে দেখিয়ে দিয়েছে অজিরা।

আজকের ম্যাচের আগেও গত বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করছে অজিরা। তবে এসবের বাইরে রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সমর্থকদের চাওয়া ভিন্ন। তাদের চাওয়া অজিদের গুঁড়িয়ে সেমিতে যাওয়ার রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিক ভারত। তা না হলে যে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটা পরিণত হতে পারে কেবলই নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবে।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি পাওয়েল

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপার এইটে প্রথম দুটি ম্যাচের দুটিতেই জিতে গ্রুপ ‘টু’-এর শীর্ষে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিকে দুটির মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেও নেট রানরেটে শক্ত অবস্থান ছিল ক্যারিবীয়দের। এদিকে গতকাল (রোববার) রাতে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের ম্যাচের সমীকরণটি ছিল, যে জিতবে তারাই পৌঁছে যাবে সেমিতে। সেখানে আজ সকালে অ্যান্টিগার রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট কাটে প্রোটিয়ারা। 

টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই ব্যাটিং বিবেচনায় শক্তিশালী দল। এবং আজকের ম্যাচটি যখন ছিল অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক পিচে, সেখানে দলটির সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই চেয়ে ছিল বড় সংগ্রহের দিকে। তবে স্বাগতিকরা সেখানে তুলল কেবল ১৩৫ রান। রস্টন চেজ ৫২ এবং কাইল মায়ার্সের ৩৫ রান বাদে আরও কেউই পেরোতে পারেননি ২০ রানের গণ্ডি। এতেই দলের ব্যাটিং ইউনিটের এমন পারফর্মে মোটেও সন্তুষ্ট নন তাদের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। 

পাওয়েল নিজেও এদিন ফিরেছেন কেবল ১ রান করে। এতে আসরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজেদের এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্স ভুলে যেতে যান ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ছেলেদের কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। তবে একটি ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে এটি এমন একটি পারফরম্যান্স যা আপনি ভুলে যেতে চাইবেন। মাঝে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। এটি সহজ উইকেট ছিল না, বিশেষ করে সেখানে শুরু করা। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ছন্নছাড়াভাবে উইকেট হারিয়েছি। যা আমাদের ব্যাটিংয়ের ভিত্তি ভেঙে দিয়েছে।’ 

ব্যাটিংটা ছন্নছাড়া হলেও স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে দারুণ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ক্যারিবীয় বোলাররা। আর এতেই তাদের কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি পাওয়েল। ‘এটি একটি প্রশংসনীয় বোলিং প্রচেষ্টা ছিল। আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে জিততে চেয়েছিলাম। যদিও সংগ্রহ ছিল ১৩৫ রান, তবুও দল বিশ্বাস রেখেছিল।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

শুভ জন্মদিন ফুটবল জাদুকর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে লিওনেল মেসি, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে লিওনেল মেসি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবছরই জুনের শেষ দিকটা লিওনেল মেসির ভক্ত ও সমর্থকদের কাছে বিশেষ কিছু। আজ ২৪ জুন, আজই সেই বিশেষ দিন! কারণ ২৪ জুন যে মেসির জন্মদিন!

নিজে খেলা, অন্যকে খেলানো; নিজের গোল, সতীর্থের গোল, সর্বত্রই মেসির মনোযোগ সমান, সেটা একেবারে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। মোহজাগানিয়া সব ড্রিবলে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ছিঁড়েফুঁড়ে গিয়ে জালে বল জড়ানো যেমন তার দক্ষতা, তেমনি সমান দক্ষতা তার সতীর্থদের দিয়ে গোলটা করাতেও। এতটাই যে, নতুন ম্যারাডোনা হবেন কে- এ প্রশ্নের জবাবে কিংবদন্তি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা নিজ মুখে বলে দিয়েছিলেন মেসির নাম!

২০০৬ বিশ্বকাপে সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ম্যাচে তার অভিষেকের দিনের কথাটা ভাবুন একবার। মেসি যখন মাঠে নামছেন বদলি হিসেবে, তখন ম্যারাডোনার দিকে ক্যামেরা চলে গিয়েছিল; ম্যারাডোনাকে এর মতো উন্মত্ত এর আগে-পরে কবে দেখা গেছে, তা বড় একটা গবেষণারই বিষয় বটে!

সে সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রো ম্যাচ তো বটেই, এরপর আরও বহুবার বহু পারফরম্যান্সে মেসি বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন খোদ ম্যারাডোনা তাকে নিজের উত্তরাধিকার দিয়েছেন। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। প্রথম ব্যালন ডি’অর যখন হাতে নিচ্ছেন, তখন তার বয়স মোটে ২২ বছর! এরপর একবার নয়, দুইবার নয়, ব্যালন ডি’অর জিতলেন আটবার।

অভিষেকের আগে থেকেই ম্যারাডোনা মেসির ভক্ত। অভিষেকের পর নিজের মোহময় সব পারফরম্যান্স দিয়ে আরও কতশত রথী-মহারথীকে নিজের ভক্ত বানিয়েছেন মেসি, তার ইয়ত্তা নেই। কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ তাদেরই একজন।

সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবল ব্যক্তিত্ব তার ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকেই বলে দিয়েছিলেন, ছেলেটা ক্যারিয়ার শেষ করবে কম করে হলেও সাতটা ব্যালন ডি’অর নিয়ে। মেসি পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যারাডোনার কথা রেখেছেন, রেখেছেন ক্রুইফের কথাও। বরং তার চেয়ে একটা বেশিই আদায় করে নিয়েছেন।

তবে শুধু তাতে তো আর আর্জেন্টিনার মন ভরে না! শিরোপা চাই! দীর্ঘকাল যে দেশটিতে শিরোপা নিয়ে প্যারেডের উপলক্ষ এনে দেয়নি তাদের জাতীয় ফুটবল দল! ২০০৬ সাল থেকে সে ব্যর্থতার সঙ্গী ছিলেন মেসি নিজেও।

বার্সেলোনায় সুবর্ণ সময় কাটিয়ে এসে আর্জেন্টিনার জার্সিটা পরলেই যেন মেসির সব রঙ হারিয়ে যেত। মেসির সব রূপ যেন তোলা ছিল আটলান্টিকের ওপারের জন্যই, এপারের জন্য কিছু নয়! ক্যারিয়ার একটু বড় হতে সে অপবাদটা ঘোচালেন তিনি, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়েও নিজের জাদু দেখালেন।

এক, দুই, তিন করে শিরোপা ধরা দিতে দিতেও দিল না টানা তিন বছর। এ যাত্রার নিউক্লিয়াস ছিলেন খোদ মেসি, সেই মেসির কুশপুতুল পোড়াতেও দ্বিধা করেনি বুয়েনস আয়ার্স, লা প্লাতা, করদোবার মানুষ। 

মেসির মনে তাই দুঃখ রয়েই যায়। শেষবার তো হাপুস নয়নে কেঁদেই ফেললেন জনসম্মুখে। এরপর অভিমানে বিদায়ও বলে দিলেন জাতীয় দলকে। এমন অসুখ আর কাহাতক সহ্য করা যায়? 

আর্জেন্টিনার হয়ে এইসব গঞ্জনা যখন সয়েছেন মেসি, তখন সময়টা কিন্তু ছিল এই জুন মাসই। সে ধারাটা অবশ্য কেটে গেছে বছর দুয়েক আগেই। ২০২১ সালেই যে চির আক্ষেপ ঘুচিয়ে চির অধরা আন্তর্জাতিক ট্রফিটায় চুমু এঁকেছিলেন। আর্জেন্টিনার হয়ে আরও একটা শিরোপা এই গত বছর জুনেই জিতেছেন, ইতালিকে হারিয়ে লা ফিনালিসিমা শিরোপা।

তবে এত কিছুর পরও একটা আক্ষেপ থেকেই গিয়েছিল তার। আট বছর আগে যে শিরোপাটা জেতা থেকে মেসি ছিলেন হাতছোঁয়া দূরত্বে, সে বিশ্বকাপটা গেল বছর নিয়ম বদলে তা চলে গেল নভেম্বর-ডিসেম্বরে। তার অপেক্ষাটা বাড়ল আরও একটু। অপেক্ষা বাড়লেও এবার নিয়তি তাকে নিরাশ করেনি। ৭ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট করে তার নিয়তিটাকে যে তিনি গড়েছিলেন নিজেই! তার ফলেই তো বিশ্বকাপের শিরোপায় চুমুটা আঁকতে পারলেন, অবশেষে!

সেই এক শিরোপাই তাকে বদলে দিয়েছে খোলনলচে। না, মেসি বলতেই আমাদের চোখে যে শান্ত-সুবোধ বালকের চেহারা ভেসে ওঠে, সেখান থেকে মেসি রীতিমতো জন উইক গোছের কিছু হয়ে যাননি! আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখন একটু কম মাথা ঘামান আর সব কিছু নিয়ে; এতটাই যে, তাকে দুয়ো দিচ্ছে সমর্থকরা, সেখানে কানই নেই তার! এতটাই যে, ইউরোপ ছেড়েও চলে গেছেন দ্বিতীয়বার কোনো ভাবনা না দিয়েই। সবকিছু হয়েছে, কারণ সব কিছুই যে জেতা হয়ে গেছে এখন তার! আর কী বাকি আছে!

বর্তমানে কোপা আমেরিকা মিশনে পুরো দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আছেন মেসি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্ব বেশ সহজেই টপকে যাবে আলবিসেলেস্তেরা এমনটাই আশা করেন সমর্থকরা। এমনকি নিজের বর্ণিল ক্যারিয়ারে আরেকটি শিরোপা যোগ করতেই চাইবেন মেসি। দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা শিরোপার দিকেই আপাতত মনোযোগ আছে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে অন্যতম এই ফুটবল জাদুকরের।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;

ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ভারত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হার। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেই হারের ক্ষত এখনো শুকায়নি ভারতের। সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ এবার পেয়েছে রোহিত শর্মার দল। নিশ্চয়ই সেই সুযোগ এবার হাতছাড়া করবে না তারা।

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে গ্রুপ ওয়ানে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি হবে ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। গতবছর নভেম্বরের ১৯ তারিখ ভারতের আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে শেষবার কোনো আইসিসি ইভেন্টে দেখা হয়েছিল এই দুই দলের।

নিজেদের মাটিতে সেবার দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন রোহিত-কোহলিরা। পুরো আসর জুড়ে একটিও হারের দেখা না পেয়েই ফাইনালের মঞ্চে নামে ভারত। তবে পুরো স্টেডিয়ামকে চুপ করিয়ে, ভারত সমর্থকদের কাঁদিয়ে সেবার নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলে নেই অজিরা।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে একই গ্রুপে থাকায় ম্যাচ পড়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার। এই মুহুর্তে ভারত সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে বলা যায়। কিন্তু সেমির টিকিট পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে অজিরা।

সুপার এইটে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় তুলে নিয়েছে ভারত, তাদের পয়েন্ট ৪ এবং নেট রানরেট ২.৪২৫। অপরদিকে দুই ম্যাচে এক জয় এবং ০.২২৩ রানরেটের সঙ্গে ২ পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার। আজ ভারতের বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই মিচেল মার্শের দলের।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে অজিরা জয় তুলে নিয়ে ব্যর্থ হলে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে। বাংলাদেশের জয়ই তখন অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালের টিকিট কেটে দিবে। অপরদিকে আফগানরা জিতলে ৪ পয়েন্টের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে তারাই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিবে।

তবে আজ অস্ট্রেলিয়া এবং আগামীকাল আফগানিস্তান জিতলে তখন হিসেব হবে নেট রানরেটের। সেই সমীকরণের ফাঁদ যে দল পার করতে পারবে তারাই ভারতের পাশাপাশি পাবে সেমির টিকিট।

ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে বলেছেন, ‘ভারত দলের অনেকেই এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছে। অনেক ছেলেরা আইপিএলে খেলেছে। খেলার পদ্ধতিটি কী তা তারা জানে। আমি মনে করি না এটিতে পরিবর্তন হবে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘ড্র হওয়ার পর আপনি ভালো করেই জানেন যে আপনাকে কী করতে হবে। আমরা একটি চ্যালেঞ্জ পেয়েছি। আজ রাতে আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে।’

আফগানিস্তানের সঙ্গে শোচনীয় হারের পর কিছুটা হতাশ ছিল পুরো দল, ম্যানেজমেন্ট এবং সমর্থকরাও। সেই হতাশা কাটিয়ে আজ ভারতের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিয়ে মরিয়া অজিরা। ২০১৬ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে একবারও দেখা হয়নি ভারত-অস্ট্রেলিয়ার। ভারত আশা করছে যে সেন্ট লুসিয়ায় মধুর প্রতিশোধটি তুলে নেওয়ার।

  ক্রিকেট কার্নিভাল

;