দুই সপ্তাহে করোনা বিষয়ক কল এসেছে তিন লাখ ৭০ হাজার

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানতে গত দুই সপ্তাহে তিন লাখ ৭০ হাজার ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারি কল সেন্টারে কল করেছেন। আর দেশে বিভিন্ন হটলাইন চালু করার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট কল এসেছে ১২ লাখেরও বেশি।

সরকারি কল সেন্টার ৩৩৩, সরকারি তথ্য বাতায়নের কল সেন্টার ১৬২৬৩ নম্বর এবং গত সপ্তাহে মোবাইল ফোন অপারেটরের *৩৩৩২# নম্বরে কল করেও করোনা বিষয়ে জানার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ প্ল্যাটফর্মগুলোতে সব মিলিয়ে তিন লাখ ৭০ হাজার ব্যক্তি পাওয়া গেছে, যারা করোনার নানা লক্ষ্মণের সঙ্গে নিজেদের কিছু মিল পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইসিটি বিভাগের অ্যাকসে টু ইনফরমেশনের (এটুআই)সিনিয়র পলিসি ফেলো আনির চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস জনিত মহামারি মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তা করার জন্য ডাটা এনালিটিক্স দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে আসে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রোগ্রাম ও মন্ত্রিপরিষদের বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অংশীদারিত্বে রবি একটি ডাটা এনালিটিক্স সিস্টেম গঠন করেছে, যা জনস্বাস্থ্যে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর। প্রাথমিকভাবে চালু করা ওই এনালিটিক্স সিস্টেম চালু করার বিষয়েই আয়োজন করা হয় এ সংবাদ সম্মেলনের।

আনির জানান, ৩৩৩ এ এখন পর্যন্ত শুধু করোনা বিষয়ে চার লাখ কল এসেছে। ১৬২৬৩ নম্বরে এক লাখ ৭০ হাজার আর *৩৩৩২# নম্বরে এসেছে সাত লাখ কল।

এখন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ তালিকা থেকে ছোট আরো একটা তালিকা করা সম্ভব। সেখান থেকে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের করোনা টেস্ট করা হবে।

তিনি জানান, টোল ফ্রি হওয়ায় কল সেন্টারগুলোতে অনেক আজেবাজে কলও আসে। এমন কল না করার জন্যও তিনি গ্রাহকদের অনুরোধ করেন।

আমরা খুবই সিরিয়াস একটা বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এখন সবার উচিত এ কাজে সহায়তা করা, বলেন আনির।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, রবি যে পদ্ধতির প্রচলন করল, সেটির ডেটা খুবই সুনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করা হবে এবং কোনো অবস্থায়ই এ ডেটা বাইরের কারো হাতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।