শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, ছবি: সংগৃহীত

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরবি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে বিদায় জানিয়েছি পবিত্র রমজান মাসকে। পবিত্র শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর পালন করে রোজার পরিপূর্ণ বরকত হাসিলের চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। কিন্তু সে চেষ্টায় কতটুকু সফল হয়েছি তা আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন। তবে মানুষ হিসেবে আমাদের আশাহত হওয়া চলবে না। ইবাদত-বন্দেগির পাশাপশি আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

চলতি শাওয়াল মাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। হাদিসে এ মাসে বিশেষভাবে ছয়টি রোজা পালনের কথা বলা হয়েছে। এ ছয় রোজার ফজিলত অনেক বেশি। বস্তুত শাওয়াল মাস হচ্ছে রোজা কবুলের মাস, তথা গোনাহ হতে মুক্তির মাস। কেননা যার রোজা কবুল হয়েছে সে এ মাস হতে গোনাহর ভারমুক্ত হয়েছে। যার রোজা কবুল হয়নি তার চেয়ে হতভাগ্য আর কেউ নেই। রমজান মাসের বরকত যারা হাসিল করেছেন তারা মানসিকভাবে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন এ মাসে।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানের রোজার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখতেন। শাওয়াল মাসের মর্যাদাকর এই ছয় রোজা প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, সাহাবি হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়ালে ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন (পূর্ণ) এক বছর রোজা রাখল। ’-সহিহ মুসলিম শরিফ

হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) এ হাদিসের বিশ্লেষণ করে বলেছেন, রমজানের রোজার বিনিময়ে দশ মাস এবং শাওয়ালের রোজার বিনিময় দুই মাস- মোট এক বছরের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। কেননা একটি সৎকাজের বিনিময় হচ্ছে দশ নেকি যা কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। অর্থাৎ রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ছয়টি রোজা যুক্ত হয়, তাহলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬টি। শরিয়ত অনুযায়ী, প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাহলে ৩৬টি রোজা ১০ গুণ পুরস্কারে পরিণত করলে তা ৩৬০টি রোজার সমতুল্য হবে। যা সারা বছরের রোজার সমতুল্য।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মানুষ মারা গেলে তার আমল সমস্ত বন্ধ হয়ে যায়। তাই মুমিন ব্যক্তি সময় থাকতেই আমল-ইবাদত অব্যহত রাখে। সুতরাং রমজান মাস শেষ হয়ে গেলেও প্রকৃত মুমিন ব্যক্তির রোজার ইবাদত কিন্তু শেষ হবে না। এটি সারা বছর চলতে থাকবে- শাওয়ালের এই ছয় রোজার আমলের কারণে।

শাওয়ালের ছয় রোজা ধারাবাহিকভাবে অথবা বিরতি দিয়েও রাখতে পারবে। কারও জিম্মায় যদি রমজানের কাজা রোজা থেকে থাকে। তবে প্রথমে রমজানের কাজা আদায় করে নেবে- এটা উত্তম। সম্ভব না হলে শাওয়ালের রোজা রাখবে, পরে কাজা আদায় করবে। যারা পবিত্র রমজানের যথাযথ কদর করেননি তাদের উচিত এখনই আল্লাহতায়ালার কাছে তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহতায়ালার রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়া। গোনাহ ছেড়ে দিয়ে নেক আমলের দিকে ফিরে আসা, অন্যথায় দুনিয়া এবং আখেরাতে আল্লাহতায়ালার ভয়াবহ শাস্তি অনিবার্য। গোনাহ থেকে তওবা না করলে, অনবরত আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত থাকলে দুনিয়াতে আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন রকমের আজাব-গজব দিয়ে তাদের পাকড়াও করে থাকেন। দুনিয়ার আজাব-গজব এ সবকিছু মানুষের কৃতকর্মের ফল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘জলে ও স্থলে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে মানুষের কৃতকর্মের কারণে।’ মানুষের বিভিন্ন অপকর্ম আর পাপকার্যের কারণে এবং আল্লাহতায়ালার নির্দেশ পালনের প্রতি ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করলে আল্লাহতায়ালা ভূমিকম্পন, ভূমিধস, বন্যা, সাইক্লোন, টর্নেডো, সুনামি ইত্যাদি আসমানি-জমিনি গজব দিয়ে মানুষকে শাস্তি দিয়ে থাকেন। এসব বিপদ থেকে আল্লাহতায়ালা রহমত না করলে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে মহাবিপর্যয়। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া এর থেকে রক্ষা করার আর কেউ নেই।

এসব বিপর্যয় এবং এর ভয়াবহ পরিণতি হতে বাঁচাতে হলে পাপকার্য পরিত্যাগ করে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। বেহায়াপনা, অত্যাচার, ব্যভিচার পরিহার করতে হবে। আল্লাহর নাফরমানি ছাড়তে হবে, নফল নামাজ, নফল রোজা জিকির-আজকার বেশি বেশি করতে হবে। বিভিন্ন নফল ইবাদতের পাশাপাশি চলতি শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ শাওয়ালের রোজা খুবই মর্যাদাকর। আসলে সত্যিকার মুমিন বান্দা সর্বদাই আল্লাহর ইবাদত করবে। কোনো নির্দিষ্ট মাস, জায়গা অথবা জাতির সঙ্গে মিলে আমল করবে না, বরং সর্বদা সে ইবাদত করবে। মুমিন বান্দা মনে করবে যিনি রমজানের প্রভু তিনি অন্যান্য সকল মাসেরও প্রভু। তিনি সকল কাল ও স্থানের প্রভু। রমজান শেষ হয়ে গেলেও শাওয়ালের ছয় রোজা, আশুরা, আরাফা, সোমবার, বৃহস্পতিবার ইত্যাদি নফল রোজা রয়েছে। তারাবির নামাজ শেষ হয়ে গেলেও তাহাজ্জুদ নামাজ বাকি আছে সারা বছর। অতএব নেক আমল সব সময় সব জায়গাতেই করা যায়।

   

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল
মডেল। বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক স্বাধীনতা।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার
কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সার্থক করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা.
বশিরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মোঃ হাবেজ আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ ফজলুর রহমান, প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. নজিবর রহমান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

;

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে আরব আমিরাত, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ২০২ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের ভিক্ষাবিরোধী বিশেষ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আলী সালেম আল সামসির বরাতে জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ পাওয়ার আশায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন আটককৃত এসব ভিক্ষুক। মূলত তারা পেশাদার ভিক্ষুক নন। তবে রমজানে ধনীরা দুস্থদের সহায়তা করে থাকেন, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করছিলেন তারা।

জানা গেছে গ্রেপ্তার হওয়া ২০২ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ১১২ জন পুরুষ, আর বাকি ৯০ জন নারী।

দুবাই পুলিশের তথ্যমতে, যারা নির্দেশনা অমান্য করে ভিক্ষা কর ধরা পড়বেন, তাদের ৫ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ মাসের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যারা অন্য দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে এনে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশায় নামাবে, তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে।

দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আল সামসি অনুরোধ করেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে যেন তাদের অবহিত করা হয়। এই কর্মকর্তার মতে, বেশিরভাগই ভিক্ষুকই বানানো গল্প বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

এমন প্রতারণার ঘটনাও সামনে এসেছে। সম্প্রতি নারীর পোশাক পরিধান করে মহিলার ছদ্মবেশে মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুবাইয়ের পুলিশ। তবে লোকটির নাম ও দেশের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লোকটি পুলিশের কাছে বলেছে নারী ভিক্ষুকরা বেশি সহানুভূতি পায় বলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাই আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারীর ছদ্মবেশে সে এ কাজটি করেছিল।

দুবাই পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সন্দেহভাজন এবং অপরাধমূলক ঘটনা বিভাগ বলেছে, লোকটি বোরকা এবং নেকাব আবৃত একজন মহিলার ছদ্মবেশে দুবাইয়ের একটি মসজিদের বাইরে ভিক্ষা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মার্চ দেশটির ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

দুবাইয়ে ভিক্ষাবিরোধী কঠোর আইন রয়েছে। দেশটিতে এমনিতেই ভিক্ষাবৃত্তি একেবারেই নিষিদ্ধ। সেখানে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভিক্ষা না দিতেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।

আর রমজান মাসে ভিক্ষা করার দায়ে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা ও তিন মাস জেলের বিধান রয়েছে আরব আমিরাতে। তারপরও একশ্রেণির লোক ভিজিট ভিসায় এসে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে ভিজিট ভিসায় এসে এ ভিক্ষাবৃত্তি বেশি করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

;

‘৫৩ বছরেও দেশের মানুষ অধিকার ফিরে পায়নি’



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরকে নষ্ট করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কোনটাই তারা পাচ্ছে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি কামনায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গণ-ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ একথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ সামান্য স্বার্থে নিজেদের নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সৎ সাহস অধিকাংশই হারিয়ে ফেলেছে। আল্লামা মামুনুল হক-সহ গুটিকয়েক সাহসী আলেম যারা দেশ-জাতি ও ইসলামের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। ইসলাম এদেশের গনমানুষের অন্তরে গ্রথিত। একে এত সহজে উপড়ে ফেলা যাবে না।

এসময় তিনি ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

যুব মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের পরিচালনায় গণ-ইফতারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজীজুর রহমান হেলাল, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া ফারুকী, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আমীন, ওমর মাতুব্বর, নাঈমুদ্দীন, মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুল আজীজ, দীদার প্রমুখ।

;

মক্কা-মদিনার রেলভাড়ায় বিশাল ছাড়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেস, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে মক্কা-মদিনা রুটের ট্রেন হারামাইন এক্সপ্রেসের টিকেটমূল্যে বিশাল ছাড় দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে হারামাইন এক্সপ্রেসের ইকোনমি ক্লাসের টিকেটের দামে ৫০ শতাংশ এবং বিজনেস ক্লাসের টিকেটে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। তবে এই ছাড় কেবল মদিনা থেকে মক্কা এবং জেদ্দা থেকে মক্কা-মদিনা রুটের যাত্রীরা ভোগ করবেন।

পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনার মধ্যকার দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। সারা বছরই শহর দু’টিতে হজ ও উমরা যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে। ২০১৮ সাল থেকে এই রুটে উচ্চগতিসম্পন্ন হারামাইন এক্সপ্রেস চালু করে সৌদির সরকার। যাত্রাপথে জেদ্দা শহরে যাত্রাবিরতি দেয় ট্রেনটি।

যাত্রীরা চাইলে সরাসরি স্টেশনে গিয়ে টিকেট কিনতে পারবেন, কিংবা এসএআর ডট এইচএইচআর ডট এসএ ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনেও টিকেট কিনতে পারবেন।

অনলাইনে মূল্য পরিশোধের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইমেইলে টিকেট এসে যাবে বলে জানিয়েছে সৌদির পরিবহন মন্ত্রণালয়।

হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ে বা এইচএইচআর ট্রেন পবিত্র দুই নগরীর মধ্যে দূরত্বকে কমিয়ে এনেছে। চলাচলকে করে তুলেছে আরও সহজ ও আরামদায়ক। সুচালো মাথার হারামাইন ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টায় মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছে দিচ্ছে যাত্রীদের। যেখানে সড়কপথে সময় লাগে এর দ্বিগুণেরও বেশি।

ট্রেনগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনগুলো এ রুটে দিনে প্রায় ৫০ বার যাতায়াত করে। তবে হজের সময় এ ট্রিপের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

হারামাইন ট্রেন বিশ্বের ১০টি দ্রুততম ট্রেনেরও একটি। অন্যান্য অঞ্চলও উচ্চগতির এ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। জ্বালানি তেল-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে রেলসহ অবকাঠামো খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে সৌদি আরব। উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কও দেশটির ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার অংশ।

;