কানাডায় নাগরিকত্বের হাতছানি!



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নত ও অগ্রসর পশ্চিম ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া যখন অভিবাসন কঠিন করেছে, তখন নাগরিকত্বের হাতছানি দিচ্ছে অপরূপ কানাডা। কানাডার ইমিগ্রেশন মিনিস্টার আহমেদ হুসেন নিজেও সোমালিয়া থেকে একজন শরণার্থী হিসাবে এসেছিলেন। তারপর নতুন দেশ, নতুন পরিবেশে নিজের মেধা ও যোগ্যতায় হয়েছেন মন্ত্রী। তিনি কানাডার পার্লামেন্টে আগামী তিন বছরে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার অভিবাসী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

কানাডায় অভিবাসনের বিরাট সুযোগের খবর শুধু বাংলাদেশই নয়, পুরো বিশ্ব আলোড়িত হয়েছে। কানাডায় নাগরিকত্বের অবারিত সুযোগ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। 

কানাডায় মানুষ কেন আসতে চাইবে না? যে দেশ বিশ্বে জীবনযাত্রার মানে অন্যতম শীর্ষস্থানের অধিকারী, সেখানে কে যেতে চাইবে না! পরিবেশ, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুরক্ষার দিক থেকে কানাডার শহরগুলো বিশ্বের সেরা। বসবাসের জন্য কানাডাকে সবচেয়ে পছন্দের দেশ হিসাবে মনে করে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/20/1547956172272.gif

কানাডায় জন্মহার কমে গেছে এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা কর্মক্ষম মানুষ তাদের দেশে নিতে চাচ্ছে। তবে কানাডা আসতে চাইলে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক, লম্বা সিলেকশন প্রসেসের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসা সম্ভব হবে। 

ফলে সে দেশে অভিবাসনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। অন্ধের মতো দালাল বা বিভিন্ন কেম্পানির হাতে জিম্মি না হয়ে জেনে-বুঝে নিজে চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে জটিল প্রক্রিয়াও সহজ মনে হবে। এমনকি আপনার কপালে জুটেও যেতে পারে মহার্ঘ কানাডিয়ান নাগরিকত্ব।

কানাডায় নাগরিকত্ব লাভ বা অভিবাসনের জন্য বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম আছে। এর কোনো একটির মাধ্যমে আপনাকে নাগরিকত্ব লাভের পথে এগুতে হবে। প্রথমেই অভিবাসন প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। তারপর ঠিক করুন, আপনি কোন প্রোগ্রামে ফিট করেন। তখন সে প্রোগ্রাম অনুযায়ী শুরু করুন প্রসেস বা প্রক্রিয়া।

প্রথমেই আসে 'এক্সপ্রেস এন্ট্রি'র কথা। এর মাধ্যমে সরকারিভাবে প্রতি পনেরো দিনে ৩৫০০-৪০০০ স্কিলড বা দক্ষ জনশক্তি ইমিগ্র্যান্ট হিসাবে আসার আমন্ত্রণ পাচ্ছেন। এ সুযোগ পাচ্ছেন তারা, যারা অত্যন্ত অল্প বয়সেই সিএলবি ৯ এর মধ্যে ৮ দশমিক ৫ পাচ্ছেন।

তাছাড়া যাদের জব কানাডার অকুপেশন-ইন-ডিমান্ড লিস্ট বা অগ্রাধিকামূলক কাজের তালিকায় আছে, যাদের ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজে স্কিল আছে, যাদের আপন ভাই-বোন কানাডায় আছে, যাদের কানাডিয়ান এডুকেশনাল ডিগ্রি বা চাকরির অভিজ্ঞতা আছে, তারা এ সুযোগ পেতে পারেন। ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজে টেস্ট না দিয়ে, কানাডা থেকে এডুকেশনাল ক্রেডেনশিয়াল এসেসমেন্ট না করিয়ে এ প্রক্রিয়া  শুরু করা যায় না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/20/1547956230518.gif

পরবর্তী প্রোগ্রাম হলো 'ফ্যামিলি রেউনিফিকেশন', যা কানাডিয়ান ইমিগ্র্যাশনের একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক।  এই প্রক্রিয়ায় ২০১৯ সালে ২০ হাজার প্যারেন্টস এন্ড গ্র্যান্ডপারেন্টস আসতে পারবেন।  এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাত্র ৫০০০ কোটা দিয়ে।

আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে আবেদন পত্র জমা নেওয়া শুরু হবে। কেবলমাত্র যোগ্য কানাডিয়ান সিটিজেন বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্টরাই স্পন্সরশিপের আবেদন করতে পারবেন। কমপক্ষে তিন বছর সিআরএর নোটিশ অফ এসেসমেন্ট অনুযায়ী 'লো ইনকাম কাট অফ' বা লাইকো +৩৫% মিনিমাম ইনকাম থাকলেই আবেদন করা যাবে।

আরেকটি অভিবাসন সুযোগ হলো 'প্রোভিন্সিয়াল নোমিনেশন'। 'আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম'-এর মাধ্যমে কানাডার আটলান্টিক তীরের চারটি প্রোভিন্স ও অন্যান্য কম পরিচিত প্রোভিন্সগুলোতে বিদেশিরা অভিবাসন নিয়ে আসতে পারবেন। যারা 'এক্সপ্রেস এন্ট্রি' পুলে টিকে আছেন, প্রেভিন্সগুলোতে যাদের আত্মীয়-স্বজন আছে, যাদের পেশা 'অকুপেশন-ইন-ডিমান্ড' লিস্টে আছে, তারা সুযোগটি নিতে পারবেন।

কানাডায় রিফিউজি ও প্রোটেক্টেড পারসনের জন্যে অভিবাসনের বিশেষ কিছু সুযোগ আছে। সেদেশে 'মেডিকেল ইনডমইসিবিলিটির আইন' আগের চেয়ে অনেক শিথিল করা হয়েছে। কানাডা দূতাবাস ও সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

কানাডায় আসার ক্ষেত্রে কিছু প্রতারণার ব্যাপার ঘটে 'জব অফার'-এর নামে।

জব অফারের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইএল্টস ছাড়া, কোনো শিক্ষাগত বা কাজের দক্ষতা ছাড়াই শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে কানাডায় পাঠানোর নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কানাডায় বসবাসরত বহু স্কিলড ইমিগ্র্যান্ট তাদের পেশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জব না পেয়ে বিভিন্ন সারভাইভাল জব করছে।

এসব 'অড জব' কানাডিয়ান সিটিজেন, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট বা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা করছে। কানাডায় যখন কোনো প্রফেশনের যোগ্য লোক কম থাকে বা পাওয়া যায় না, তখনই বাইরে থেকে লোক নেওয়া হয় । অতএব কানাডায় কী ধরনের কাজের বা চাকরির চাহিদা রয়েছে, সেটা নিজে যাচাই করে অগ্রসর হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/20/1547956199471.gif

'টেক অনলি' ক্যাটেগরিতে ইনফরমেশন টেকনোলজি ফিল্ডে জব অফার নিয়ে মাত্র ১০ দিনেই লোকজন কানাডা আসতে পারছেন। যারা আইটি প্রফেশনাল হিসাবে অত্যন্ত মেধাবী ও আন্তর্জাতিক মানের, যাদের ভাষাগত দক্ষতাও অনেক বেশি, তারা সমগ্র বিশ্বের আইটি প্রফেশনালদের সঙ্গে কম্পিটিশন করে টিকতে পারলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই নাগরিক হয়ে কানাডা ঢুকতে পারছেন।

চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে নয়, দক্ষতা, যোগ্যতা, ও মেধা দিয়ে কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। ভাষা ও কাজের দক্ষতাই এক্ষেত্রে মূলকথা। বিভিন্ন এজেন্সি, যদি কানাডিয়ান সরকারের বৈধ অনুমতিপত্র প্রাপ্ত হয়, তবে তারা শুধু গাইড করে পথ দেখাতে পারে। নামসর্বস্ব কোনো কোম্পানির সাধ্য নেই কানাডার নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার।

আসলে কানাডিয়ান নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার কোনো বিষয় নয়, ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অর্জন করার বিষয়। অতএব আগ্রহীরা ধৈর্য্য ও একাগ্রতা নিয়ে নিজে থেকে চেষ্টা আরম্ভ করতে পারেন কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটের নির্দেশনার আলোকে।

   

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;