সাজ-পোশাকে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ‘দেবী’



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
'দেবী'ময় পোশাক ও গহনা।

'দেবী'ময় পোশাক ও গহনা।

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া দেবী- মিসির আলী প্রথমবার কিংবা দেবী সিনেমা জ্বরে ভুগছে সকলে। সেই জ্বরের উত্তাপ ছড়িয়েছে নারীদের সাজ পোশাকেও। ব্লাউজ, কামিজ, ওড়না, আংটি, মালা কিংবা কপালের মায়াময় টিপেও দেখা মিলেছে ‘দেবী’র। ‘হুমায়ূন আহমেদ’ ও ‘মিসির আলী’ নামগুলোর সঙ্গে প্রবল ভালোবাসা, আবেগ ও স্মৃতিকাতরতাকে অগ্রাহ্য করা সম্ভব হয়নি অনেকের পক্ষেই। আর তাইতো হাতে তুলে নিয়েছেন কাঠ, কাপড়, রং ও তুলি। ভালোবেসে প্রকাশ করেছেন ‘দেবী’ কে।

সিনেমাটির ‘দেবী’ শব্দটাই যেন এক অনন্য মাদকতাময় শিল্পকর্ম। সেই দেবীকে জড়িয়ে গড়ে ওঠা আরও মনোমুগ্ধকর সকল শিল্পকর্ম ও তার পেছনে কাজ করা মানুষদের অনুভূতিকে নিয়েই আজকের গল্প।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540976866221.jpg
ছবি: ত্রিনিত্রি'র তৈরি দেবী মালা।

 

প্রথমেই কথা হয় অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ত্রিনিত্রি’র প্রতিষ্ঠাতা অন্বেষা দত্তের সঙ্গে। দেবী থিমের উপর তৈরি করেছেন দেবী মালা। কাঠের বৃত্তাকার বেইসের উপরে কাঠের তৈরি দেবী লেখা বসিয়ে এনেছেন থ্রি ডাইমেনশনাল ইফেক্ট। ছিমছাম কিন্তু নয়নাভিরাম এই মালাটি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, ‘ছোটবেলায় পড়া প্রিয় গল্পটার চরিত্রগুলাকে পর্দায় দেখবো, এটা ভেবেই অনেক ভালো লাগছিল। জয়া আহসান খুবই প্রিয় অভিনেত্রী, ব্যক্তিত্ব। সঙ্গে দেবী ছবির অন্যান্যরাও খুব প্রিয় মুখ। দেবী মালা করে সেটার ছবি প্রথমেই দেবীর অফিশিয়াল পেইজে পাঠাই। ওরা উৎসাহ দেওয়ার পরই পেইজে দেওয়া। পেইজে দেওয়ার পর সবার কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাই। যারা মালাটি নিয়েছেন সবাই দেবী সিনেমা দেখতে গিয়েছেন মালা পরে। খুবই অনুপ্রেরণা পেয়েছি কাজটি করে। মনে হচ্ছিল আমিও দেবী টিমেরই অংশ। দেবী মালা পরে আমিও দেবীদর্শন করে এসেছি। সব মিলিয়ে অসাধারণ অনুভূতি ছিল’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540981401277.jpg
ছবি: সারথী আর্ট ও ক্রাফটসের তৈরি দেবী আংটি।

 

ত্রিনিত্রি যেমন দেবী মালা নিয়ে কাজ করেছে, তেমনভাবেই হাতের শোভা বাড়াতে দেবী আংটি নিয়ে কাজ করেছে ‘সারথী আর্ট এন্ড ক্রাফটস’। সারথীর পেছনে কাজ করছেন সাদাত আহমেদ, এ্যাথিনা অরোরা তীর্থ ও রাকেশ সাহা। কিশোরবেলা থেকেই তারা হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত। এ্যাথিনা অরোরা তীর্থর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় জানালেন, হিমুকে নিয়ে এর আগে কাজ হলেও, পর্দায় মিসির আলী এই প্রথমবার আসছে। তাও আবার দেবীর বদৌলতে। যেটা নিয়ে খুব আনন্দিত ছিলেন সকলেই। সেই ভালোলাগা থেকেই দেবী থিমে আংটি ও পেন্ডেন্টের কাজ করা। তিনি আরও জানান, বর্তমানে সারথীতে দেবী থিমের শাড়ি নিয়েও কাজ চলছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540981458420.jpg
ছবি: সারথী আর্ট ও ক্রাফটসের তৈরি দেবী পেন্ডেন্ট।

 

আংটি কিংবা গলার মালার মতোই ভিন্ন আবেদন ও আমেজ থাকে টিপের মাঝেও। অবশ্যই, দেবীর জন্য ভালোবাসায় সেই আবেদনে কমতি পরেনি। ক্ষুদ্রতম এই ক্যানভাসকে বহু আগেই আপন করে নিয়েছেন সুপরিচিত অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘গীতিকা’র রুবানা করিম। বড় হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সকল উপন্যস পড়ে। যে কারণে তার সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসাটা অন্যরকম। তবে বিশেষ ভালোবাসা ছিল ‘দেবী’ উপন্যাসকে ঘিরে। সেই ভালোবাসা প্রকাশের চমৎকার প্রয়াস ছিল রুবানার হাতে আঁকা দেবী টিপ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540977025625.jpg
ছবি: গীতিকার তৈরি দেবী টিপ।

 

তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম- গহনা কিংবা কাপড়ে দেবীকে প্রকাশ না করে, কেন টিপে দেবীকে নিয়ে আসা? উত্তরে রুবানা বলেন, ‘আমি চাইলে মালা, হাতের রিং, ব্লাউজের পিসে এই কাজটা করতে পারতাম। কিন্তু আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে টিপের উপর আঁকতে। চাইলেই বড় কোন ক্যানভাসে খুব সহজেই দেবীকে উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু টিপ ছোট বলে উপস্থাপন করা একটু কঠিন। যেহেতু দেবীর প্রতি ভালোবাসাটা একটু বেশি তাই কষ্টসাধ্য কাজটাই বেছে নিলাম’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540976980394.jpg
ছবি: গুটিপোকার দেবী ব্লাউজ। 

 

সাজের অনুষঙ্গ গহনা ও টিপ নিয়ে তো কথা হলো, এবার তবে কাপড়ে করা দেবীর কাজকে নিয়ে কথা বলা যাক। জবাফুল জড়ানো দেবী লেখাটার মোহে পড়েই, দেবী ব্লাউজ বানিয়ে ফেলেছেন ‘গুটিপোকা’র আফসানা সুমী। তার ইচ্ছা ছিল দেবী জামা পরে তবেই যাবেন দেবী সিনেমা দেখতে। এরপর বন্ধুর পরামর্শে জামা না বানিয়ে, বানিয়ে ফেললেন দেবী ব্লাউজ। সুতি ও লিলেন দুই ধরণের তন্তুর উপরেই কাজ করেছেন দেবী ব্লাউজ নিয়ে। সুমী জানালেন, প্রথমদিকে হ্যান্ড পেইন্টে দেবী ব্লাউজ আনা হলেও, ক্রেতাদের প্রবল আগ্রহ ও চাহিদার ভিত্তিতে বর্তমানে স্ক্রিন প্রিন্টে পাওয়া যাচ্ছে চমৎকার এই ব্লাউজ পিসটি।

এদিকে দেবীর প্রতি ভালোবাসাকে বিস্তৃত আকারে প্রকাশ করেছেন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘অন ক্লাউড নাইন এন্ড হাফ’ এর প্রতিষ্ঠাতা আফরিন আহমেদ। একাধারে ব্লাউজ, কামিজ, ওড়না ও টিপে তুলে ধরেছেন দেবীকে। নিজের প্রতিষ্ঠানটির একেবারেই ব্যতিক্রমী নামের বিষয়ে জানতে চাইলে আফরিন জানালেন, ‘On Cloud Nine আমেরিকানদের একটা বহুল প্রচলিত বাগধারা। এর অর্থ অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আরো এক ধাপ ওপরে। নাইনের ওপর আরো অর্ধেক। খুশির ওপর মহাখুশি। মানে ON CLOUD NINE AND HALF. ক্রাফট, সৃজনশীলতা এইসব আমার জীবনের আনন্দের অন্যতম অধ্যায়। সে বাগধারা থেকেই আমার স্বামী নামটা দিয়েছেন’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540977102884.jpg
ছবি: অন ক্লাউড নাইন এন্ড ইলেভেন এর দেবী কামিজ।

 

আমেরিকা থেকে গহনা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে গহনা বানানো শুরু করেছেন আফরিন। এরপর ব্লাউজ পিসে হাতে আঁকা শুরু করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সেখানে থেকেই সাহস করে ব্লাউজে দেবীকে নিয়ে আসা। তবে শুধু দেবী লেখাটাই তুলির আঁচড়ে প্রকাশ করেননি তিনি। ক্রেতার চাহিদা ও নিজের কল্পনাকে মিশিয়ে তৈরি করেছেন ভিন্ন এক আমেজ। নিজের কাজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত আফরিন বলেন, ‘আঁকাআঁকির পুরো ব্যাপারটা চরিত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিলো। যেন তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী আমাকে দিয়ে নিজেদের আঁকিয়ে নিচ্ছিল। আমি কেবল উপন্যাসের আড়ালের একজন। রঙ-তুলি হাতে নিয়ে চরিত্রগুলোর ফরমায়েশ মত তাদের এঁকে যাচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে এমন হল, আমি ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে রঙতুলি হাতে নিই। আমার মনে হচ্ছিল, তারা আমাকে ডাকছে বাকি কাজটুকু শেষ করার জন্য। এ এমন এক অনুভূতি যা কেবল অনুভব করা যায়, বর্ণনা করা যায় না! এভাবেই হয়ে গেল দেবী কামিজ আর ওড়না। সম্পূর্ণ আমার ডিজাইনে, আমার চিন্তায়, চরিত্রগুলোর ফরমায়েশিতে’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540977157498.jpg
ছবি: অন ক্লাউড নাইন এন্ড ইলেভেন এর দেবী টিপ ও অন্যান্য।

 

মিনিয়েচার ও অ্যাবস্ট্র্যাক্ট আর্টের ভক্ত আফরিনের জন্য টিপেও দেবীকে ফুটিয়ে তুলতে খুব একটা সময় লাগেনি। এভাবেই নিজের চারপাশের সকল কাজের মাধ্যমে দেবীকে একে একে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।

ভালোবাসার বিষয়ে বড্ড আবেগপ্রবণ আমরা সকলেই। সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই ‘দেবী’ উঠে এসেছে সকলের সৃজনশীলতায়, অনন্য কাজের ধারায়। নিখুঁত মমতায় নিজ হাতে করা কাজগুলো পূর্ণতা পেয়েছে স্বকীয়তায়। শুধু কি তাই! ভালোবাসায় গড়া দেবী থিমের কাজগুলো ভালোবাসা কুড়িয়েছে ক্রেতাদের কাছ থেকেও। মমতায় সিক্ত দেবী নিজস্ব আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে তার স্বরূপ প্রকাশ করছে সকলের মাঝে, সাজ ও পোশাকে।

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;