শীতকালীন সবজি দিয়ে পাকোড়া বা বড়া তৈরির পাশাপাশি, স্বাদ বদলানোর জন্য তৈরি করতে পারেন সাবুদানার বড়া। সাবুদানার মতো উপাদান দিয়েও মুখরোচক বড়া তৈরি করা সম্ভব। মজাদার এই বড়াটির বাইরের অংশ মুচমুচে হলেও, ভেতরের অংশটি থাকে নরম। যা বড়া খাওয়ার মজা আরো বাড়িয়ে দেয়।
উপকরণসমূহ
১. ১ কাপ সাবুদানা।
বিজ্ঞাপন
২. ২ টা আলু সিদ্ধ।
৩. ৪-৫ টা কাঁচামরিচ কুঁচি।
বিজ্ঞাপন
৪. ১/২ কাপ চিনাবাদাম।
৫. ২ চা চামচ লেবুর রস।
৬. ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়া।
৭. ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়া।
৮. ১/২ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
৯. স্বাদমতো লবণ।
১০. ভাজার জন্য পরিমাণ মতো তেল।
প্রস্তুত প্রণালি
১. সাবুদানা পানিতে ৫-৬ ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে সাবুদানা নরম হয়ে ফুলে উঠবে। সাবুদানাগুলো নরম হয়ে আসলে ছাঁকনির সাহায্যে পানি ছেঁকে ফেলে দিতে হবে।
২. দুইটি বড় আলু সিদ্ধ করে ভালোভাবে মথে নিতে হবে। আলুতে যেন কোন দলা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আলু মথা হয়ে গেলে এতে সিদ্ধ করা সাবুদানা মিশিয়ে নিতে হবে।
৩. আলু ও সাবুদানার সঙ্গে এবার ভেজে রাখা চিনাবাদামের কুঁচি মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. আলুর মিশ্রণ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর এতে জিরা গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া ও লবণ মেশাতে হবে।
৫. সবশেষে কাঁচামরিচ কুঁচি ও লেবুর রস মিশিয়ে বড়ার আকৃতিতে ছোট ও চ্যাপ্টা বল তৈরি করতে হবে।
৬. কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে এক একটি বড়া তেলে ছেড়ে দিতে হবে। বড়ার উভয় পিঠ বাদামী হয়ে আসলে কড়াই থেকে তুলে তেল ঝড়িয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
এইতো তৈরি হয়ে গেলো সাবুদানার বড়া। ধনিয়া পাতার চাটনি কিংবা টমেটো সসের সঙ্গে বিকেল বেলার নাস্তায় পরিবেশনের জন্য পারফেক্ট একটি খাবার।
নবজাতক শিশুর যত্ন অনেক বেশি জরুরি। শিশুর প্রতিপালন যেভাবে হয়, তার উপর তার সমগ্র জীবন নির্ভর করে। ছোট থেকে বড়, সব জিনিস এর সঙ্গে সম্পর্কিত। শিশুর জন্ম থেকে ৫ বছর বয়স অবধি নানারকম বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই বাড়ন্ত বয়সে শিশুর শরীরে নানাবিধ পুষ্টি দরকার, যা আসবে বিভিন্ন ধরনের গৃহীত খাদ্য থেকে।
গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের মধ্যে স্বাদজ্ঞান চলে আসে। গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহ পর থেকেই অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের কারণে মায়ের খাওয়া খাবারের স্বাদ শিশুরা পায়। মুখ এবং জিহ্বা তৈরি হতে সেই ক্ষমতা আরও তীব্র হতে থাকে। তাই জন্মের সময় প্রখর স্বাদ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে নবজাতক। সেজন্য প্রথমেই জন্মের পর মিষ্টি স্বাদের অনুভূতি এবং পুষ্টির জন্য শালদুধ খাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
১ বছর বয়স অবধি শিশুর টেস্টবাড গঠিত হতে থাকে। যেমন:
নবজাতক থেকে ৩ মাস: এই পর্যায়ে, আপনার শিশুর স্বাদ অনুভূতি খুবই সংবেদনশীল। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুর স্বাদ অনুভব করার অভিজ্ঞতা এই বয়সে একেবারেই ভিন্ন। শুধু জিহ্বায় নয়, নবজাতক টনসিল সহ মুখের অন্যান্য জায়গায়ও স্বাদগ্রহণ করতে পারে। মিষ্টি এবং তেতো স্বাদের পার্থক্যজ্ঞান এই বয়সেই প্রখর থাকে।
৩ মাস থেকে ৬ মাস: এই বয়সে শিশুর জিহ্বা শরীরের সঙ্গে আকারে কিছুটা বাড়ে। এই বয়সে শিশুদের দেখা যায়, বিভিন্ন জিনিস মুখে দিচ্ছে। কাপড়, খেলনা বা হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দিতে শুরু করে। এটা আসলে একটি ভালো অভ্যাস, এভাবে তারা বুনট ও স্বাদ বোঝার চেষ্টা করে। তবে অবশ্যই শিশুর যেন কোনো ক্ষতি বা অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬ মাস থেকে ১ বছর: ৭-৮ মাস বয়সেই শিশুরা নিজের হাতে খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। শিশুকে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য এইসময়টাই মোক্ষম। ৬ মাস বয়সের পর শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করা হয়। এইসময় শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হয়। প্রথমেই চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না। কারণ এমনিতেই মায়ের বুকের দুধ কিছুটা মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় নবজাতকের মিষ্টির প্রতি ঝোঁক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শিশুকে টক, তেঁতো, হালকা আঁশজাতীয় সবরকম খাবারই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। যত বেশি ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলবেন শিশুর পুষ্টির ভারসাম্য তত বেশি হবে। চেষ্টা করুন ফল-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবই যতটা সম্ভব তাজা খাওয়ানোর। তবে বেশি তেল মশলা বা ভারি খাবার খাওয়াবেন না। শিশুর হজম ক্ষমতা বেশি পরপক্ক না হওয়ায় অবশ্যই কোনো খাবারে শিশুর সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখবেন। চেষ্টা করবেন প্রতিটা খাবার আলাদা আলাদাভাবে খাওয়াতে, এতে শিশুর কোনো খাবারে এলার্জি আছে কিনা তা যাচাই করা সহজ হয়।
মানুষের মস্তিষ্ক অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং জটিলভাবে সজ্জিত। তবে মস্তিষ্কের থেকেও জটিল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য। মানুষের মন এত বেশি জটিল হয় যে, অনেক সময় বাহ্যিক ভাবে বোঝা তো দূরে থাক, অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া রোগ থাকার লক্ষণও ধরা যায় না।
মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর তার স্বাস্থ্যের অনেক কিছুই নির্ভর করে, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের। ব্যক্তিবিশেষ নানা ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখা যায়। আমাদের ব্যক্তিত্বের পার্থক্যের কারণেই একজন মানুষের থেকে অন্যজন এত বেশি আলাদা। অনেকে তো নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নিজেই অবগত থাকেনা। তবে খুব সহজে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন আসলে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন?
‘অপটিক্যাল ইলিউশন পার্সোনালিটি টেস্ট’ নামক পদ্ধতি খুব প্রাথমিক ভাবে আপনার ব্যক্তিত্বের একটি ধারণা দিতে পারে। এই পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় স্থির ছবি, যার মধ্যে এক বা একাধিক উপাদান প্রতীকীরূপে থাকে। মনোবিজ্ঞান-ভিত্তিক এই পরীক্ষা মানুষের চোখে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ধরা পড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যক্তিত্ব ধারণা করা হয়।
‘দ্য মাইন্ডস জার্নাল’ দ্বারা প্রকাশিত এই ছবিটি তেমন পরীক্ষার জন্য নির্মিত। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ছবির একটি অংশে একটি কালো কাক দাঁড়িয়ে আছে, অন্যদিকে পাথরের সুসজ্জিত বিন্যাস একজন মানুষের মুখের অবয়ব তৈরি করেছে। প্রথমে ছবির কোন অংশটি নজরে পড়ছে তার উপর ভিত্তি করে ব্যকি্তত্ব ধারণা করা হয়।
১. যদি আগে কাক দেখতে পান:
এই ব্যক্তিত্ব পরীক্ষায় যদি প্রথম কাক দেখতে পান তাহলে তা বোঝায় যে আপনি অন্যদের ক্ষেত্রে খুব বেশি বিচারপ্রবণ বা স্ব-সমালোচকও বটে!তাহলে এর মানে হল যে আপনি জীবনে বেশ স্বজ্ঞাত এবং পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। অন্যদের আপনি খুব বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। আপনি মানুষের আচরণ গভীরভাবে বুঝতে পারে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ধারণা সঠিক হয়। আপনি বেশ সন্দেহবাতিক, যা আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
২. যদি আগে পাথরের তৈরি মুখ দেখতে পান:
প্রথমে পাথরের সম্মেলনে মুখের অবয়ব দেখে থাকলে এর মানে হলো, আপনি নিজের সমালোচনা বেশি করেন। যদিও এই স্বভাব আপনাকে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। তবে হিতে বিপরীত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়ে যায়। নিজেকে বার বার বিচার করার অভ্যাসের কারণে আপনার নিরাপত্তাহীনতার জায়গাগুলো সহজে ধরা পড়ে এবং শুধরে নেওয়া সহজ হয়। যদিও আপনার সাফলে্য বাঁধাও আসতে পারে এই স্বভাবের কারণে।
উপদেশ: যারা প্রথম ধরনের মানুষ, তারা মানুষ চিনতে তীক্ষ্ণ দৃষি্টসম্পন্ন হলেও অনেক সময় অন্যের কষে্টর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অন্যের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। সবসময় অতিরিক্ত জাজমেন্টাল এবং সন্দেহপ্রবণ আচরণ প্রকাশ না করাই শ্রেয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ধরনের মানুষ প্রায়ই নিজেকে অনেক বেশি চাপ দিয়ে ফেলেন। নিজের প্রতি আরও বেশি কোমল হতে হবে, নয়তো জীবনে উন্নতির পথে বাঁধা আসবে।
সুষম খাদ্যের ৬ টি উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে খাদ্যউপাদান নিয়ে ভীতি কাজ করে সেটি হলো স্নেহ বা চর্বি। এর পেছনে রয়েছে বেশ প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা। তা হলো- চর্বি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। শরীরের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে চর্বিও প্রয়োজন। শুধু পুষ্টি্ই যথেষ্ট নয়। অনেক ভিটামিন ও উপকারী উপাদান চর্বিতে দ্রবণীয়। সেসব উপাদানের কার্যকারিতার জন্য চর্বিও প্রয়োজন।
বিজ্ঞান ঘাটলে জানা যায়, বিভিন্ন ধরনের চর্বি আসলে শরীরের বিভিন্ন ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন। উপকারী সে্নহজাতীয় খাবার সঠিক পরিমাণে খাওয়া হলে তা হৃদপিন্ড, মস্তিষ্ক এবং কোষের মেমব্রেনের কাজকে তরান্বিত করে। স্নেহ বা চর্বি আমাদের শরীরকে চালানোর মতো শক্তি ও তাপ উৎপন্ন করে। এছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে- শোষণ করতে এবং ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই সঠিক পরিমাণে সঠিক চর্বি গ্রহণ করা না হলে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে।
তবে সঠিক চর্বি কোনগুলো তা কিভাবে বুঝবেন? চর্বি মূলত ভালো চর্বি আর খারাপ চর্বি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ভাল এবং খারাপ চর্বির মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি। ভাল চর্বি বা অসম্পৃক্ত চর্বিতে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই ফ্যাটগুলো খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে পারে। এছাড়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করতে পারে। ভালো চর্বি অলিভ অয়েল, বাদাম এবং চর্বিযুক্ত মাছে পাওয়া যায়।
অন্যদিকে খারাপ চর্বি হল ট্রান্স ফ্যাট এবং উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়। উচ্চতর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মাখন, লাল মাংস, পনিরজাতীয় খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে বিধায় এসব খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
যদিও সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমানভাবে ক্ষতিকারক নয়। ইউএসডিএ-র পরামর্শ অনুসারে, প্রতিদিনের খাবারে গৃহীত ক্যালোরির শতকরা ১০ ভাগের কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলে তা ঝুঁকিমুক্ত।
দাঁত আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কিছুটা স্পর্শকাতর অঙ্গ। দাঁতের মাধ্যমে খাবার চিবিয়ে খেতে হয় বিধায়, পরিপাকেও পরোক্ষভাবে দাঁতের ভূমিকা থাকে। যেকোনো বয়সের মানুষেরই দাঁতের নানা সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের চিকিৎসাও সহজ এবং ব্যথাহীন পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে।
আঁকাবাঁকা দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে চিকিৎসক ব্রেস পড়ানোর পরামর্শ দেন। এই ব্রেসেস করানো পদ্ধতি অনেক কষ্টকর সময় হয়। কারণ এতে ব্যথা লাগে। ব্রেসেস করানোর পরও নানরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই অনেকেই ব্রেস পড়তে ভয় পান।
তবে এখন ব্রেসেস পড়ানোর বিকল্প রয়েছে, ইনভিসালাইন পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্রেসেসের চেয়ে কম ব্যথা এবং ঝামেলাযুক্ত। তবে কথায় বলে, মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না। আধুনিক এই চিকিৎসা পদ্ধতি এখন সহজলভ্য হলেও, দাঁতের ইনভিসালাইন চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যায়। এমনিতেই অনেকে দাঁতের চিকিৎসায় ব্রেস পড়ানোকে ভয় পায়। তারপরে আবার নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আসলেই কাজ করবে কিনা-সেই শঙ্কাও থাকে। তার উপর আছে কিছু জনপ্রিয় ভ্রান্তধারণা। যেমন:
১. কার্যকরিতা: ইনভিসালাইন সম্পর্কিত সবচেয়ে ভ্রান্ত ধারণা হলো, এই চিকিৎসা পদ্ধতি দাঁতে সামান্য সমস্যার জন্য নেওয়া হয়ে থাকে। এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। আন্ডারবাইট, ক্রসবাইট, ওভারবাইটের মতো দাঁতের জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও আছে ইনভিসালাইনের। কাস্টম মেড অ্যালাইনারের মাধ্যমে এই ইনভিসালাইন তৈরি করা হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে দাঁতের স্থান পরিবর্তন হতে থাকে।
২. সময়সাপেক্ষ: অনেকে মনে করেন ধাতুর ব্রেসেসের তুলনায় ইনভিসালাইন চিকিৎসায় সময় বেশি লেগে যায়। এই ধারণা তো সত্যি নয়ই, বরং কিছূক্ষেত্রে ইনভিসালাইনের কার্যকারিতা ব্রেসেসের চেয়ে দ্রুত হওয়ার ঘটনা দেখা যায়। বিশেষক্ষেত্র বাদ দিলে, সাধারণত ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে এই চিকিৎসাপদ্ধতিতে। কারো ক্ষেত্রে এরচেয়েও কম সময় লাগে। সমস্যা বেশি জটিল হলে আরও বেশি সময়ও লাগতে পারে।
৩. খাবারে স্বাধীনতা: অনেকে মনে করেন ইনভিসালাইন পরে সব ধরনের খাবার খাওয়া যায়। এই কথাটা পুরোপুরি না হলেও, আংশিক সত্য বটে! খাবারের ক্ষেত্রে অন্তত ব্রেসেসের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা থাকে ইনভিসালাইনের বেলায়। যদিও সেজন্য কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হয়।
যা ইচ্ছা তাই খেতে পারবেন, তবে আগে অ্যালাইনার গুলো খুলে নিতে হবে। আবার সেগুলো পরার আগে ভালো করে দাঁত মেজে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ব্রেসেস পরার ক্ষেত্রে শক্ত এবং আঠালো খাবার খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। এক্ষেত্রে সেরকম কঠোর নিষেধাজ্ঞা নেই।
৪. খরচ: অনেকে ইনভিসালাইন চিকিৎসা করাতে দ্বিধাবোধ করেন। তারা মনে করেন, এই চিকিৎসা বেশ খরচসাপেক্ষ। এটা অবশ্য রোগীর দাঁতের অবস্থার উপর নির্ভর করে। তবে বেশিরভাগ ইনভিসালাইন এবং ব্রেসেস পদ্ধতির খরচ কাছাকাছি বা প্রায় সমানই হয়।
খরচের ব্যাপারটি বিভিন্ন জিনিসের উপর নির্ভর করে। যেমন, দাঁতের জটিলতা এবং কতদিন যাবত চিকিৎসাধীন থাকতে হচ্ছে সেই সময়ের উপর। তাই খরচ নিয়ে মনে শঙ্কা থাকলে আগেই দন্ত চিকিৎসকের সঙ্গে ভালোভাবে এই ব্যাপারে আলোচনা করে নেওয়া ভালো।
৫. ব্যথাদায়ক: সত্যি বলতে দাঁতের চিকিৎসায় যেকোনো পদ্ধতিই অস্বস্তিকর। তবে ইনভিসালাইন ব্যথাদায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি এই ধারণা একেবারেই ভুল। বরং ব্রেসেস পদ্ধতির ব্যথা কমানোর উদ্দেশ্যেই ইনভিসালাইন পদ্ধতি আনা হয়। অ্যালাইনার এমনভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে যেন তা মাড়ি বা গালে কোনো আঘাত সৃষ্টি করতে না পারে। প্রথম প্রথম বেশ কিছুটা অস্বস্তি অনূভূত হয়। তবে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মতামত দেন ২-১ দিন পরই এই অসুবিধা কেটে যায়।