দীর্ঘায়ু পাওয়া যাবে মাত্র দশ মিনিটেই
টাইটেলটি পড়েই অনেকে দ্বিধায় পড়ে যাবেন।
মাত্র দশ মিনিটের কোন কাজে কীভাবে দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব! স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রশ্ন মনে উঁকি দিবে। তবে সত্যিটা হচ্ছে, খুবই সাধারণ কয়েকটি ছোট কাজেই পাওয়া যাবে সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ুর নিশ্চয়তা।
মেডিটেশন করা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ইন্টারভেনশনাল অনকোলোজিস্ট রেডিওলোজিস্ট কিয়েন ভ্যু ব্যাখ্যা করে বলেন, দৈনিক মাত্র পাঁচ-দশ মিনিটের মেডিটেশনের মাধ্যমে সারাদিনের ক্লান্তি ও মানসিক চাপকে দূর করা সম্ভব। এমনকি মেডিটেশনের ফলে নিঃসৃত হওয়া টেলোমারস (Telomeres) ডিএনএকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে বলে শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
পানি পান করা
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার প্রধান মূলমন্ত্র হচ্ছে হাইড্রেটেড থাকা। কখনোই শরীরে পানিস্বল্পতা তৈরি করা যাবে না। স্পোর্টস মেডিসিন ফিজিশিয়ান এন্ড মেডিকেল ডিরেক্টর ড্যানিয়েল ক্যাভেলো জানান, পানি পানের মাধ্যমে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে পুষ্টিগুণ একস্থান থেকে অন্য স্থানে ভালোভাবে প্রবাহিত হতে পারে। এছাড়া পানি পানের ফলে হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি সুস্থ থাকে।
প্রাণ খুলে হাসা
হাসির চাইতে ভালো কোন ওষুধ নেই। এমনটাই জানাচ্ছে সেন্ট জর্জ ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ এন্ড প্রিভেনশন মেডিসিন এর স্বদেশ বিদাইস জানান, প্রাণ খুলে হাসার ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে, মানসিক চাপ কমে, হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
হাত পরিষ্কার করা
অবাক হবার কিছু নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (CDC) সুপারিশ করে, খাওয়াদাওয়া সহ অন্যান্য যেকোন কাজের আগে ও পরে অবশ্যই খুব ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে অনেক ক্ষতিকর ও ভয়াবহ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। CDC আরও জানায়, নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে ছোট-বড় ধরণের শারীরিক অসুস্থতাকে ৪৮ শতাংশ ক্ষেত্রে দূরে রাখা সম্ভব।
চা পান করা
চায়ে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা, কারণ সুঘ্রাণ ও রিফ্রেশিং চায়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কিয়েন ভ্যু জানান, চা পাতায় থাকা অ্যান্টি-ক্যান্সারাস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মতো উপকারী উপাদান থাকে। একই সঙ্গে চা মস্তিষ্ককে ফ্রি-রেডিক্যল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং হাড়কে সুস্থ রাখতে কাজ করে।
ঝাল খাবার খাওয়া
সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারে স্বাদ বাড়াতে, সুস্বাস্থ্যকে সঙ্গী করতে ও দীর্ঘায়ু পেতে ঝাল খাওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে। গবেষণা জানাচ্ছে- ৪৮৫,০০০ জন মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যারা তুলনামূলক ঝাল বেশি খান তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির হার কমে যায় অনেকটা। কাঁচামরিচ, ক্যাপসিকাম জাতীয় ক্যাপসাইসিন ঘরানার ঝাল উপাদান বেশি খাওয়া চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ছুটির মাঝেও থাকা চাই ফিট!