মাত্র দুইটি উপাদানে ‘রেস্টুরেস্ট স্টাইল’ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
পছন্দসই মায়ো ও কেচাপের সঙ্গে মচমচে গরম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই যেন এক স্বর্গীয় খাবার।
কিন্তু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের কথা আসলেই রেস্টুরেন্টের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের কথা ভাবি আমরা। কারণ বাসায় তৈরি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কোনভাবেই রেস্টুরেন্টের মতো হয় না। সেটা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের বদলে হয়ে যায় আলুভাজা।
অথচ মাত্র দুইটি উপাদান ব্যবহারেই সম্পূর্ণ রেস্টুরেন্টের মতো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করা যায় ঘরে বসেই। তবে তার জন্য সময় দিতে হবে একটু বেশি। ভালো কিছু তৈরি করতে চাইলে বাড়তি কিছুটা সময় ব্যয় করতেই হবে। তবে তার ফলাফলটাও হবে দারুণ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরিতে যা লাগবে
১. আধা কেজি আলু।
২. ভাজার জন্য এক লিটার ভেজিটেবল অয়েল।
বিজ্ঞাপন
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই যেভাবে তৈরি করতে হবে
১. আলু ধুয়ে শুকিয়ে ছিলে নিতে হবে। প্রতিটি আলু ফ্রেন্স ফ্রাইয়ের আকৃতিতে চিকন ও লম্বা করে কেটে নিতে হবে।
২. আলু কাটা হয়ে গেলে ছাকনিতে নিয়ে কলের পানির নিচে রেখে ভালোভাবে ধুতে হবে। এতে করে আলুর শর্করা ধুয়ে যাবে।
৩. বড় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে আলুগুলো দিয়ে মিনিট পাঁচেক চুলার উপর রাখতে হবে। পানিতে এক-দুইটা বলক আসলে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
৪. আলুগুলো শুকিয়ে গেলে বাটিতে রেখে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে ৩০ মিনিটের জন্য।
৫. কড়াইতে পর্যাপ্ত তেল ঢেলে চুলার বসিয়ে তেল গরম করে নিতে হবে। তেল মাঝারি তাপে গরম হলে ফ্রিজ থেকে আলু বের করে ৪-৫ মিনিট তেলে ভেজে নিতে হবে। এইটুকু সময়ের মাঝে আলুর উপরে ‘ক্রাস্ট’ এর স্তর তৈরি হলেও আলুর রঙ বদলাবে না। তেল থেকে আলুগুলো তুলে তেল ঝরিয়ে পুনরায় ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ৩০ মিনিটের জন্য।
৬. পুনরায় তেল উচ্চতাপে গরম করে ফ্রিজে রাখা আলুগুলো তেলে দিয়ে দিতে হবে। ৩-৪ মিনিট ভাজার সময় প্রয়োজনে চুলার তাপমাত্রা কমিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়বার ভাজার সময় আলুর উপরের ক্রাস্ট আরও মুচমুচে হবে এবং ক্রাস্ট সোনালী-বাদামি বর্ণ ধারণ করবে।
৭. ভাজা শেষে তেল থেকে তুলে শুকনো পাত্রে কিচেন টিস্যুর উপর রাখতে হবে। কিচেন টিস্যু বাড়তি তেল শোষণ করে নিবে।
তেল শুকিয়ে গেলে ভিন্ন পাত্রে পরিবেশন করতে হবে গরম মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। পরিবেশনের আগে লবণ ও কালো গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টের স্বাদে কুড়মুড়ে অনিয়ন রিংস
আরও পড়ুন: পনের মিনিটেই পনীর কাবাব