পছন্দের চাকরিটি ছেড়ে দিচ্ছেন?
নানান কারণেই পছন্দ ও ভালো লাগার চাকরিটি ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
সেটা হতে পারে আর্থিক কিংবা ব্যক্তিগত কারণ। অনেক সময় বাসস্থান থেকে চাকরিক্ষেত্র দূরে হওয়ার ফলেও পছন্দের চাকরিটি থেকে অব্যাহতি নিতে হয়।
পুরনো চাকরিক্ষেত্রকে বিদায় জানানো, নতুন চাকরিক্ষেত্রকে স্বাগত জানানো স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু সমস্যাটি দেখা দেয়, বর্তমান চাকরিটি ভীষণ প্রিয় ও পছন্দের হওয়া সত্ত্বেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে।
এমন সময়ে মাথায় নানান ধরণের চিন্তাভাবনা ঘোরাঘুরি করে। মনের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে, অস্বস্তি কাজ করে। এ সময়ে যে চিন্তাগুলো মাথায় কাজ করে, তার কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
আমি কি ভুল করছি?
বর্তমান কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে খুব দারুণ সম্পর্ক, বস আপনার কাজ খুব পছন্দ করেন, নিজের কাজের বিষয়ে আপনি দারুণ আত্মবিশ্বাসী- তবে কি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তটি ভুল! প্রতিটি মানুষ তার কম্ফোর্ট জোনের ভেতরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং সেই গণ্ডির মাঝেই থাকতে চায়। কিন্তু এই পরিসীমার বাইরে নিজেকে নিয়ে যেতে পারলেই পরিণত করা সম্ভব হবে নিজেকে। নতুন পরিবেশ, নতুন দায়িত্ব, নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন কাজের ধরণ- এই সব কিছুই আপনাকে অভিজ্ঞ হতে সাহায্য করবে।
পছন্দের চাকরিটি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আবেগ কাজ করবেই। কিন্তু সেটাকে পাত্তা দেওয়া যাবে না খুব একটা।
প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে আর কখনো কি দেখা হবে?
ব্যস্ততা সবাইকেই গ্রাস। নিজস্ব কাজে সকলেই দারুণ ব্যস্ত। অপ্রিয় কর্মক্ষেত্র ছাড়ার সময় সহকর্মীদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করার বিষয়ে কোন মাথাব্যথা কিংবা খারাপ লাগা কাজ করে না। কিন্তু প্রিয় কর্মক্ষেত্রে প্রিয় সহকর্মীদের ছেড়ে আসার সময় দারুণ মনঃকষ্ট দেখা দেওয়া শুরু করে।
যদিও সকলেই ব্যস্ত থাকবে নিজস্ব কাজের সঙ্গে, কিন্তু পরিকল্পনা করে দেখা করা খুব একটা কঠিন কোন বিষয় নয় মোটেও। ছুটির দিনগুলোতে কিংবা অফিস শেষে বিকাল-সন্ধ্যায় সকলে মিলে গেটটুগেদারের আয়োজন করলেও চমৎকার সময় কাটানো যাবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে যোগাযোগ রক্ষা করা এখন এমন কঠিন কিছুই নয়।
আমার কাজগুলো তারা সামলে নিতে পারবে তো?
চাকরি ছাড়ার ক্ষেত্রে এই চিন্তাটা মূলত সবার আগেই কাজ করে। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বেশ আগে থেকেই একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সে সময়েই চাকরিক্ষেত্র থেকে নতুন কাউকে খোঁজ করা শুরু করা হয়। যিনি আপনার দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে বুঝে নিতে পারবে এবং পালন করতে পারবে। একটি সম্পূর্ণ চাকরিক্ষেত্র কখনোই একজনের উপর নির্ভরশীল নয়।
এমন ভাবনাটা মূলত কাজ করে অপরাধবোধ থেকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটি প্রতিটি কর্মক্ষেত্রই অহরহ ঘটছে। এটা নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই।
আরও পড়ুন: ‘প্রমোশন’ হবে নতুন বছরে!
আরও পড়ুন: ২০১৯ হোক ক্যারিয়ারের বছর