ক্যারিয়ারে সাফল্য আনতে চান?
ক্যারিয়ার জীবনে সফল হতে চাইলে যে কাজগুলোর প্রতি এখন থেকেই নজর দেওয়া জরুরি, সে কাজগুলো সম্পর্কে অনেকেই খুব একটা সচেতন নয়।
নিয়মিত অফিস যাওয়া, অফিসের কাজ করার মধ্য দিয়ে যদি ক্যারিয়ারে সাফল্য আনতে চান, তবে আপনি ভুল। অফিসের কাজের পাশাপাশি নিজেকে অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িত রাখতে হবে, বাড়াতে হবে দক্ষতা। এমনকি মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করাটাও এমন একটি দক্ষতা যা সবার মাঝে থাকে না।
জেনে রাখুন এমন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে যা আপনাকে ক্যারিয়ারে সফল হতে সাহায্য করবে অনেকখানি।
স্বেচ্ছাসেবী কাজের সঙ্গে যুক্ত হোন
নিজেকে বিভিন্ন ধরণের স্বেচ্ছাসেবী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। সেটা হতে পারে খুব ছোট কোন কাজ, কিন্তু সেটা থেকে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে তা অমূল্য। এতে বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পর্কে ধারণা জন্মে, পারসোনাল স্কিল বৃদ্ধি পায়, চিন্তাশক্তি উন্নত হয়। স্বেচ্ছাসেবী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতাটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোন না কোনভাবে কাজে আসে।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
ইদানিংকালের মানুষের মাঝে বই পড়ার অভ্যাসটি নেই বললেই চলে। কিন্তু বই পড়ার অভ্যাসকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না কোন অবস্থাতেই। তথ্যবহুল বইয়ের পাশাপাশি ফিকশন ঘরানার বই থেকেও জানা যায় অনেক অজানাকে। এছাড়া বই একজন মানুষের চিন্তা-চেতনাকে উন্নত করতে সাহায্য করে, দূরদর্শিতা বৃদ্ধি করে, ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে কাজ করে। মোট কথা, নিজের জন্য ভালো কোন কাজ করতে চাইলে চমৎকার একটি বই পড়া শুরু করুন এখন থেকেই।
নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করুন
এখানে অবাক হবার কিছু নেই। শুধুমাত্র জনপ্রিয় ও পরিচিত মানুষদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এই ডিজিটাল যুগে সবকিছুই ইন্টারনেট ভিত্তিক ও তথ্য নির্ভর। নিজস্ব ওয়েব সাইটটিতে তাই নিজের সম্পর্কেই তুলে ধরুন, নিজেকে জানান। আলাদা ও বিশেষ কোন দক্ষতা নেই? চিন্তার কারণ নেই। প্রতিদিনের জীবনযাপনের ইতিবাচক কিছু দিককে তুলে ধরুন ওয়েবসাইটে। এতে আপনার সম্পর্কে মানুষের মাঝে ইতিবাচ মনোভাব গড়ে উঠবে।
নতুন কোন কাজ শিখুন
ব্যস্ততার জন্য একেবারেই সময় পাচ্ছেন না? কোন কাজেই আগ্রহ কাজ করে না? নিজের পরিচিত গণ্ডির বাইরে একেবারেই ভিন্ন ধরণের কোন কাজ শেখার পরিকল্পনা হাতে নিন। গানের প্রতি আগ্রহ থাকলে গিটার কিংবা উকুলেলে বাজানো শেখা শুরু করে দিন। এতে করে শুধু যে নিজস্ব দক্ষতা বাড়বে তা নয়, মন-মেজাজও ভালো থাকবে।
মেন্টরের সঙ্গে গড়ে তুলুন সুসম্পর্ক
এই মেন্টর মানে আগেকার সময়ের তথাকথিত ছাত্র-শিক্ষক এর সম্পর্ক নয়। বর্তমান সময়ে মেন্টরের সঙ্গে সম্পর্ক হয় ভীষণ বন্ধুসুলভ। এছাড়া মেন্টর হতে পারেন যে কেউ। পরিচিত কোন সিনিয়র, কর্মক্ষেত্রের বস, এমনকি নিজের বাবা-মাও! মেন্টরের সঙ্গে সময় কাটানো, কথা বলা, নিজের চিন্তা শেয়ার করা, অভিমত জানতে চাওয়া, নিজের মতামত জানানোর মাধ্যমে জানা যায় অনেক অজানা। অন্যের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সমৃদ্ধ করা যায় নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি।
আরও পড়ুন: কর্মোদ্দীপ্ত থাকতে সাহায্য করবে এই নিয়মগুলো!
আরও পড়ুন: পছন্দের চাকরিটি ছেড়ে দিচ্ছেন?