প্রাকৃতিক তেলে পায়ের যত্ন

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম যত্ন নেওয়া হয় পায়ের।

যার দরুন খুব দ্রুততম সময়ের মাঝেই পায়ের উপর অযত্নের ছাপ পড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের চামড়া পুরু হওয়ার ফলে এবং বাইরের ধুলাবালির সংস্পর্শে সবচেয়ে বেশি আসার ফলে পায়ের ত্বকের উপরিভাগ রুক্ষ ও অমসৃণ হয়ে ওঠে।

এছাড়া পায়ে তেলগ্রন্থি একেবারেই কম থাকার ফলে অল্প সময়ের মাঝেই পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। পায়ের এই সমস্যাটি মূলত সারা বছরই বজায় থাকে, তবে শীতকালে এই শুষ্কভাব বেড়ে যায় বেশ অনেকখানি।

বিজ্ঞাপন

যে কারণে পায়ের পরিচর্যায় যেকোন ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি উপকারে আসবে। গোসলের পর কিংবা ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতায় উপকারী তেলের ব্যবহার পায়ের ত্বককে সুস্থ ও আর্দ্রতাপূর্ণ রাখতে কাজ করবে।

তবে যেকোন ধরনের তেলেই উপকারিতা পাওয়া যাবে না। পায়ের জন্য ব্যবহার করতে হবে বিশেষ কয়েকটি উপকারী তেল।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/01/1554114316156.jpg

অলিভ অয়েল

চুল ও ত্বকের জন্য তো বটেই পায়ের জন্যেও সমানভাবে উপকারী অলিভ অয়েল। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অলিভ অয়েলের ব্যবহারে পায়ের শুষ্কভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি পায়ের আর্দ্রতাভাব ধরে রাখতেও কাজ করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পয়া ভালোভাবে পরিষ্কার করে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল দুই পায়ে ম্যাসাজ করে নিতে হবে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল

দ্বিতীয় যে প্রাকৃতিক তেলটি সৌন্দর্যচর্চার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে সেটা হলো ল্যাভেন্ডার অয়েল। পায়ে ব্যবহারের জন্য এক কাপ দুধের সঙ্গে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে দুই পায়ের পাতায় ১০ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ শেষে ব্রাশের সাহায্যে পা আলতোভাবে ব্রাশ করে নিতে হবে। এতে করে পায়ের পাতার মরা কোষ উঠে যাবে এবং পায়ে কোমলভাব চলে আসবে।

আমন্ড অয়েল

আমন্ড অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য যেকোন এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে এসেনশিয়াল অয়েল হিসেবে ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া কয়েকটি কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে বেঁটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পায়ের পাতায় ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে পায়ের ত্বক কোমল হবার পাশাপাশি পায়ের কালচে ভাবও দূর হবে।

পিপারমেন্ট অয়েল

অন্যান্য যেকোন ধরণের তেলের মাঝে পিপারমেন্ট অয়েলটি পায়ের যত্নে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষত পায়ের ফাংগাল ইনফেকশনজনিত সমস্যা দূর করার জন্য এই তেলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমন্ড অয়েলের সাথে পিপারমেন্ট অয়েলের মিশ্রণ পায়ের পাতায় ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: বছর জুড়ে ত্বকের যত্নে গোলাপজল

আরও পড়ুন: পিঠেও যখন ব্রণের উপদ্রব