বদহজমের জন্য দায়ী যে খাবারটি
পেটের যে সমস্যাটি প্রায় সময়েই খুব জ্বালায়, সেটা হলো ফুডপয়জনিং তথা বদহজম।
একটুও এদিক সেদিক হলে বদহজমের সমস্যা এসে উপস্থিত হয় আচমকা। ক্ষেত্র বিশেষে দেখা যায় প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একবার এই সমস্যাটি দেখা দেয়।
এছাড়া গ্রীষ্মকালে আবহাওয়াজনিত কারণে সমস্যাটি যেন বেড়ে যায় আরও বেশ অনেকটা। বদহজমের সমস্যাটি যেকোন খাবার কিংবা পানীয় পানেই হতে পারে। তবে বিশেষ একটি খাবার এই সমস্যাটি তৈরির জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) বেশিরভাগ সময়ে বদহজম দেখা দেওয়ার পেছনে দায়ী থাকা খাবার শনাক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি খাবার গ্রহণ ও সেই সংক্রান্ত অসুস্থতা ও রোগের প্রাদুর্ভাবের তথ্য সমূহ সংগ্রহ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সালের প্রায় ৫৭৬০টি রিপোর্ট ও প্রায় ১০০,০০০ অসুস্থতার রিপোর্ট অনুসারে তারা বদহজম তৈরিকারী সমস্যাযুক্ত খাবারটি চিহ্নিত করেছে।
খাবারটি আর অন্য কিছুই নয়। আমাদের প্রতিদিনে খাওয়া পরিচিত মুরগির মাংস। পর্যাপ্ত প্রাণীজ প্রোটিন ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান সম্পন্ন মুরগির মাংস আমাদের দেখে প্রায় প্রতি বেলাতেই কোন না কোন খাবারের সাথে খাওয়া হয়ে থাকে। বদহজমের মতো সমস্যাটি যদি সেই খাবারটি থেকে বেশি দেখা দেয়, তবে বিষয়টি বেশ জটিল হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তথ্যউপাত্ত এমনটাই জানাচ্ছে।
মুরগির মাংস খাওয়ায় পেটের সমস্যা দেখা দেয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে মাংস পরিষ্কার ও রান্না না করার কারণে। কাঁচা মুরগির মাংসে থাকে পেটের অসুস্থতা ও সমস্যা তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া সমূহ। ফলে কিছুটা আন্ডারকুকড (সঠিকভাবে সিদ্ধ / রান্না না হওয়া) মুরগির মাংস যেকোনভাবে খাওয়া হলেই পেটের সমস্যা দেখা দিবে।
এমনকি কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে অন্যান্য খাবার থাকলে, সেটা থেকেও ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পরে এবং পেটে প্রবেশের মাধ্যমে বদহজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই মুরগির মাংস কেনা, পরিষ্কার করা ও রান্না করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা আবশ্যিক।
১. কাঁচা মুরগির মাংসের আশেপাশে অন্য যেকোন খাবার রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. কাঁচা মুরগির মাংস ধরার পর হাত কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
৩. মুরগির মাংস রাঁধার আগে খুব ভালোভাবে পানিতে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৪. মুরগির মাংস কাটাবাছার জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন বটি, ছুরি ও কাটিং বোর্ড ব্যবহার করতে হবে।
৫. রান্না করা বেঁচে যাওয়া মুরগির মাংস দুই ঘন্টার মাঝে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: যা হতে পারে অতিরিক্ত অ্যাপল সাইডার ভিনেগার পানে
আরও পড়ুন: বার্গার খাওয়ার পর কী ঘটে শরীরে?