কেন সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন?
ঈদের ছুটিতে কর্মব্যস্ত সময়কে বিদায় জানানোর পর ওলটপালট হয়ে যায় ঘুমের সময়। রুটিনে বাধা সময়ে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমানো সম্ভব হয় না বলেই, ছুটির সময়টাতে ইচ্ছামতো ঘুমিয়ে নেওয়া যায়।
তবে ছুটি শেষে ফিরে এসেছে সেই একই রুটিন। শুরু হয়েছে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই অফিস কিংবা ক্লাসের জন্য দৌড়ানো। আরামের ঘুমের সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া সত্যিই কষ্টের!
তবে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা কষ্টকর হলেও, তার উপকারিতা অনেক। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্যে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ক্ষেত্র বিশেষে আবশ্যিক।
আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার দারুন কিছু উপকারিতা, যা জানাবে কেন এই সুঅভ্যাসটি গড়ে তোলা প্রয়োজন।
সঠিক সময়ে ক্ষুধাভাব দেখা দেয়
সারারাত ঘুমিয়ে সকালে ওঠার পর স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়া ভীষণ প্রয়োজন। কারণ ৬-৮ ঘণ্টা অভুক্ত থাকার পর শরীরে পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময় ঘুমিয়ে অনেক দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর আর খাদ্য গ্রহণ করতে চায় না। ফলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
তবে বিপরীত সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রে। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখা দেয় তীব্র ক্ষুধাভাব। যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। ক্ষুধামন্দা অথবা অতিরিক্ত ক্ষুধাভাব, উভয় সমস্যাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠে, পুষ্টিকর খাদ্য সঠিক পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মানসিক বিষণ্ণতা কমায়
যারা সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাদের মাঝে মানসিক বিষণ্ণতা তুলনামূলক অনেক কম থাকে। ঘুম ও জাগরণের রুটিনে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলে মন ও শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরে। মেডিকেল গবেষণা থেকে জানা যায়, দেরিতে ঘুমানোর সাথে বিষণ্ণতার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কারণ ঘুমের সময়ে ব্যাঘাত ঘটলে হরমোন নিঃসরণে সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে মানসিক বিষণ্ণতা ও অবসাদবোধ দেখা দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে
যারা সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করেন, তাদের সারাদিনের খাওয়ার নিয়ম একটি সুনির্দিষ্ট রুটিনের আওতায় চলে আসে। প্রতিবেলায় সময়মতো খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পাবার সম্ভবনা কমে যায় অনেকটা। ফলে ওজনকে নিয়ন্ত্রনে রাখা সহজ হয় যায় যে কারোর জন্যেই।
শরীরচর্চার জন্য সময় পাওয়া যায়
সবচেয়ে দারুন ব্যাপার হলো, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর হাতে বেশ অনেকটা সময় পাওয়া যায়। দিনের শুরুতেই ঘন্টাখানেক সময়ের জন্য শরীরচর্চা করার অভ্যাসটি সারাদিনের কাজের এনার্জি এনে দেয়, সাথে ফিট রাখে শরীরকেও।