জীবাণু দ্বারা প্রভাবিত হয় আমাদের আবেগ ও আচরণ!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
জীবাণু।

জীবাণু।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোন ধারনা আছে কি, আপনার শরীরে কতগুলো জীবাণুর বসবাস? একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে ১০ হাজার ভিন্ন প্রজাতির ১০০ ট্রিলিয়নের অধিক জীবাণু (মাইক্রোব) থাকে। উত্তরটা কিন্তু আঁতকে ওঠার মতোই।

মানবদেহে বসবাসকারী জীবাণুদের মোট ওজন ২-৬ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মগজের ওজনের দ্বিগুণ। যে কারণে বলা হয়ে থাকে, মানুষের শরীরের ৯০ শতাংশই হচ্ছে জীবাণু, বাকি ১০ শতাংশ মানবদেহ!

এতক্ষণ ধরে শরীরে বসবাসকারী জীবাণুদের সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। মূল বিষয়টা জানানো হবে এখন। শরীরের বিভিন্ন অংশে বসবাসকারী এই সকল জীবাণুই কিন্তু মানুষের আবেগ ও আচরণের উপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করে।

গবেষণা থেকে দেখা গেছে ডিপ্রেসেন্ট প্রভাব তৈরি হয় ল্যাকটোব্যাসিলাস (Lactobacillus) ও বিফিডোব্যাকটেরিয়াম (Bifidobacterium) নামক দুইটি পাকস্থলিস্থ ব্যাকটেরিয়ার সাহয্যে। উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও হতাশার মতো আচরণগুলো তৈরির জন্যেও দায়ী থাকে ভিন্ন ধরণের জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া।

ব্যাপারটা কেমন যেন পুতুলখেলার মতো মনে হচ্ছে, তাই না? যেন জীবাণুগুলো আমাদের আচরণ ও আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করছে নিজেদের মতো করে। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তেমন নয়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি বিভাগের গবেষক ক্যাটেরিনা জনসন জানান, মাইক্রোব সমূহ আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রন করে না। বরং স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী তারা পাকস্থলীতে জন্ম নেয় ও বৃদ্ধি পায় এবং প্রাকৃতিকভাবে আমাদের আচরণের উপর তাদের প্রভাব বিস্তার করে।

এবার জেনে নেওয়া যাক দারুণ একটি গবেষণা সম্পর্কে। এই গবেষণাটি বুঝতে সাহায্য করবে আসলেও জীবাণু আমাদের আবেগ ও আচরণের উপরে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

২০১১ সালে ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক দুইটি ইঁদুরের উপর গবেষণা চালায়। প্রথম ইঁদুরটি ছিল ভয়ার্ত ও চুপচাপ (ইনট্রোভার্ট)। যেখানে দ্বিতীয় ইঁদুরটি ছিল খুবই চঞ্চল ও সামাজিক (এক্সট্রোভার্ট)।

গবেষকেরা ইঁদুর দুইটিকে একটি উঁচু স্থানে ছেড়ে দেন। তারা দেখতে চেয়েছিলেন, ইঁদুর দুইটি উঁচু স্থান থেকে নিচে নামতে কতক্ষণ সময় নেয়। সময় হিসেব করে দেখা গেলো, ইন্ট্রোভার্ট ইঁদুরটি উঁচু স্থানে বেশ অনেকক্ষণ এদিকে-সেদিক ঘোরাফেরা করে প্রায় সাড়ে চার মিনিট পর খুব ধীরে ও ভয়ের সাথে নিচে নেমে আসে। ওদিকে এক্সট্রোভার্ট ইঁদুরটিকে উঁচু স্থানে রাখার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লাফ দিয়ে নিচে নেমে যায়।

এই পরীক্ষাটির পর গবেষকেরা ইঁদুর দুইটির মাইক্রোবায়োটা একে-অন্যের শরীরে প্রবেশ করায়। এরপর পুনরায় একই পরীক্ষা চালায়। ফলাফলে দেখা গেলো, ইন্ট্রোভার্ট ইঁদুরটি আগের চাইতে এক মিনিট আগে নিচে নেমে আসে, অর্থাৎ সাড়ে তিন মিনিটের মাথায় ইঁদুরটি উঁচু স্থান থেকে নামে। ওদিকে এক্সট্রোভার্ট ইঁদুরটি এক মিনিট সময় পর নিচে নামে, যেখানে আগের পরীক্ষায় ইঁদুরটি কয়েক সেকেন্ডের মাথায় নিচে নেমে এসেছিল!

একইভাবে একজন মানুষের আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করে তার শরীরে বসবাসরত মাইক্রোব সমূহ। বিশেষত পাকস্থলিস্থ ব্যাকটেরিয়া শুধুই যে আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করে তাই নয়, ব্রেইন ক্যামিস্ট্রিতেও তারতম্য আনে, তৈরি করে সেরোটোনিন। সেরোটোনিন তৈরিকারী মাইক্রোব সমূহ হলো- ক্যান্ডিডা, স্ট্রেপটোকোক্কাস, ইশেরিকিয়া ও এন্ট্রোকোক্কাস। আনন্দ বোধ ত্বরান্বিত করার জন্য সেরোটোনিন বিশেষভাবে পরিচিত।

পাকস্থলীতে থাকা এই জীবাণু কিংবা ব্যাকটেরিয়া কীভাবে অনুভূতিগুলো আমাদের মগজে পৌছায়- খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রশ্ন মাথায় উঁকি দিবে। সেক্ষেত্রে জেনে রাখুন, আমাদের পাকস্থলী ও অন্ত্র থেকে সরাসরি মগজে এই অনুভূতিগুলো পৌছাতে সাহায্য করে ‘ভেগাস’ নামক নার্ভ। এই নার্ভ অন্ত্র থেকে একদম মগজ পর্যন্ত বিস্তৃত। যা অনুভুতিগুলোকে পৌছে দিতে সাহায্য করে। শুধু এই পদ্ধতিই নয়, এছাড়াও আরো বেশ কিছু পদ্ধতির সাহায্যে অনুভূতি মগজ পর্যন্ত পৌছে থাকে।

কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো, কেন জীবাণু আমাদের আবেগ ও আচরণের উপর এই প্রভাব বিস্তার করে? উত্তরটাও খুব সহজ, নিজেদের বংশ বিস্তার ও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। এই ব্যাপারটি সহজভাবে বোঝানোর জন্য একটি মজার চক্র তুলে ধরা হলো।

এই চক্রটি আবর্তিত হয় বিড়াল থেকে ইঁদুরের মধ্যে। বিড়ালদের জন্য বিশেষ ধরণের একটি জীবাণু আছে, যার নাম টোক্সোপ্লাজমা গন্ডি। এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত বিড়াল খোলা স্থানে জীবাণুর ডিমসহ মল ত্যাগ করার মাধ্যমে চক্রটি শুরু হয়। আমরা সকলেই জানি ইঁদুর সবকিছু খায়। যার ফলে টোক্সোপ্লাজমার প্রভাবে ইঁদুর গর্ত থেকে বের হয়ে বিড়ালের মল খেতে উদ্যত হয়। এই সুযোগে বিড়াল ইঁদুরকে সহজেই শিকার করে খেতে পারে। টোক্সোপ্লাজমা শুধু বিড়ালের পাকস্থলিতেই পুনরায় বংশবিস্তার করতে পারে। যে কারণে এই চক্রের মাধ্যমে টোক্সো তার বংশ বিস্তার করতে পারে।

ঠিক একই ঘটনা ঘটে থাকে মানুষের সাথেও। তাদের বিভিন্ন ধরণের আবেগ ও আচরণের প্রকাশের মাধ্যমে ত্বরান্বিত হয় জীবাণুদের বংশবিস্তার। কিছু জীবাণু আমাদের সামাজিক হতে সাহায্য করে ও আমাদের মন ভালো রাখে। যার ফলে আমরা বাইরে ঘুরতে বের হই, পরিচিতদের সাথে সাক্ষাৎ করি। এই সকল ক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সন্তর্পনে জীবাণু তাদের বংশ বিস্তার করে থাকে।

তাইতো যে অনুভূতিকে আমরা মন খারাপ কিংবা মন ভালো থাকা বলছি, সেটা অনেকটাই আমাদের শরীরে বীরদর্পে বাস করা জীবাণুদের ষড়যন্ত্র!

 

   

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, মধ্যবয়সী-যুবক প্রচন্ড গরমের সকলের নাজেহাল অবস্থা। তার উপর নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাও। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও কয়েক ডিগ্রি তাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

সরকারপক্ষ থেকে রাজধানীতে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ কৃত্রিম ভাবে পানি দিয়ে শহর ভিজিয়ে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রশান্তি দেওয়া বা ছাউনি তৈরি করা৷ এছাড়া গাছ লাগানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে জোরদমে৷ তবুও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকের সংখ্যা কমছে না। সাধারণ কিছু গরম জনিত সমস্যা ছাড়াও হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ৷

গরমে সাধারণত দুইটা সমস্যার বেশি আধিপত্য দেখা যাচ্ছে৷ হিট এক্সহসশন বা তাপক্লান্তি এবং হিটস্ট্রোক৷ হিটস্ট্রোক খুবই গুরুতর একটি সমস্যা, যা মৃত্যু ঘটাতেও সক্ষম৷ হিট এক্সহসশনকে বলা যায় হিটস্ট্রোকের আগের অবস্থা। তবে অনেকেই এই সমস্যা দু'টোকে একই মনে করেন৷ তবে এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে৷  জেনে নেওয়া যাক সেসব পার্থক্য-

হিট এক্সহসশন বা ক্লান্তি: সাধারণত শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই হয়। গরমের মধ্যে বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হতে থাকে৷ 

তাপমাত্রা এখন দিন দিন আরও বাড়ার কারণে ঘামও তুলনামূলক বেশি হয়৷ এই কারণে শরীর থেকে পানি আর লবণ বের হয়ে যায়৷ ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। একেই হিট এক্সহসশন বলে৷

হিট এক্সহসশনের উপসর্গ হলো হিট ক্র‍্যাম্পস বা পেশিতে ব্যথা হওয়া।

পানিশূন্যতাও এর একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৮.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই হিটএক্সহসশনের সমস্যা দেখা যায়৷

এছাড়া অনেকের বমি হয়৷ বা বমি বমি ভাব হয়৷ হিট এক্সহসশনের সময় হৃদকার্য দুর্বল হয়ে যায়। তবে হার্টবিট দ্রুত হতে থাকে৷

তাপক্লান্তি হলে করণীয়: তাপক্লান্তিতে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে৷ অথবা ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে৷ যেন শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়৷

দ্রুত হালকা ঠান্ডা পানি খাওয়াতে হবে৷। বা জলদি শক্তি আনার জন্য এনার্জি ড্রিংক (খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহৃত) খাওয়াতে হবে।

রোগীকে ঠান্ডা স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে। তাকে রিলাক্স করতে টান করে শুয়িয়ে রাখতে হবে৷

বমির সমস্যা গুরুতর প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বমিরোধী ঔষধ সেবন করাতে হবে।

হিটস্ট্রোক: যখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে৷ সংকুচিত হওয়ার কারণে লোমকূপ ঘাম বের হতে পারেনা৷ এতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হয়৷

সে কারণে তাপ শরীরের ভেতরেই থেকে যায় আর শরীর শীতল হতে না পেরে স্ট্রোক হয়৷

সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি বেড়ে যায়৷ হৃদপিণ্ড খুব দ্রুত এবং শক্তিশালীভাবে কম্পিত হতে থাকে৷

হিটস্ট্রোক হলে মানুষ সাধারণত অজ্ঞান হয়ে যায়৷ অথবা সজ্ঞান হারিয়ে অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। তাদের চোখ, ত্বক পরিবর্তন হয়ে যায়।

ত্বকে লালচে এবং শুষ্ক হয়ে যায়৷ অনেকের ক্ষেত্রে খিচুনি উঠতে দেখা যায়। শ্বাস প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায়। রোগীর প্রশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হতে দেখা যায়৷

হিটস্ট্রোক হলে করণীয়: রোগীকে দ্রুত ঠান্ডা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে৷

রোগীর গায়ের অতিরিক্ত কাপড় এবং জুতা খুলে দিতে হবে৷ যেন বাতাসের সংস্পর্শে আসতে পারে।

শরীর এবং মাথায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ঢালতে হবে। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়াতেও হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা পানি খাওয়াবেন না। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপ আরও বেগতিক হবে৷

শরীরে ঠান্ডা বাতাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ অতি দ্রুত জরুরি চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ জরুরি প্রয়োজন ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে।

;

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;