শ্যাম্পু ব্যবহারে মানতে হবে এই নিয়মগুলো



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
শ্যাম্পু করার সময় কিছু সাধারণ নিয়ম মানা প্রয়োজন।

শ্যাম্পু করার সময় কিছু সাধারণ নিয়ম মানা প্রয়োজন।

  • Font increase
  • Font Decrease

চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করার মতো এমন দৈনন্দিন কাজকে হেলাফেলা করার জন্যই কিন্তু বেশিরভাগ সময় চুলের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক নিয়মে চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হয়।

চুলের আগা ফেটে যাওয়া, বেশি চুল পড়া, চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলোর পেছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল নিয়মে শ্যাম্পু ব্যবহার দায়ী। সহজ কিছু নিয়ম মেনে সঠিকভাবে চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের বেশিরভাগ সমস্যাই সমাধান করা সম্ভব হয়।

আজকে জানানো হলো চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ ও উপযুক্ত কিছু নিয়ম।

শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে চুলে গরম ভাপ দেওয়া

তেল ও ময়লার কারণে মাথার ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে থাকে। শুধু শ্যাম্পু ব্যবহারে এই ময়লা সহজে দূর হতে চায় না। তাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হলো, প্রতিবার শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে মাথায় গরম ভাপ নেওয়া। এর জন্য একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিতে হবে। ভেজা তোয়ালে গরম থাকা অবস্থাতেই পুরো চুলে ভালোভাবে জড়িয়ে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর চুলে শ্যাম্পু করতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রতিরোধ করুন চুলের আগা ফেটে যাওয়া

ভাপ নেওয়া চুলে ম্যাসাজ করা

ভাপ নেওয়ার পর চুলের গোড়ায় আঙ্গুলের সাহায্যে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যাবে। এর ফলে মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল ভালোভাবে হয় ও দুর্বল চুল ম্যাসাজের সময় গোড়া থেকে উঠে চলে আসে। এতে শ্যাম্পু করার সময় ঝামেলা কম হয়।

ঠাণ্ডা অথবা কুসুম গরম পানিতে চুল ধোয়া

চুল ও মাথার ত্বকের জন্য গরম পানি খুবই ক্ষতিকর। শ্যাম্পু করার সময় কিংবা সাধারণ গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার করা থেকে একেবারেই বিরত থাকতে হবে। গোসলে গরম পানি ব্যবহারে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের পরিমাণ একেবারেই কমে যায় ও কিউটিক্যালস একদম খুলে যায়। ফলে মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও নষ্ট হয়। অন্যদিকে ঠাণ্ডা অথবা কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু করলে অথবা গোসল করলে চুল ও মাথার ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না এবং ত্বকের তেলের পরিমাণ সঠিক থাকে।

প্যারাবিন ও সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করা

শ্যাম্পু কেনার আগে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে শ্যাম্পুতে প্যারাবিন ও সালফেট যেন না থাকে। শ্যাম্পুতে সালফেট অ্যাড করা হয় প্রিজার্ভেটিভ হিসেবে ও প্যারাবিন ব্যবহৃত হয় ঘন ফেনা তৈরির জন্য। এই দুইটি কেমিক্যাল উপাদান ত্বকের নানান ধরণের সমস্যা ও অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব তৈরির জন্য দায়ী। সম্প্রতি গবেষণা থেকে আরও জানা গেছে, শিশুদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্যেও এই উপাদান দুইটি ক্ষতিকারক। তাই হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।

আরও পড়ুন: চুল পড়া কমাবে রসুন!

চুলের গোড়ায় ভালোভাবে শ্যাম্পু ম্যাসাজ করা

সাধারণত চুলের গোড়ায় ময়লা বেশি আটকে থাকে। সাথে মাথার ত্বকের মরা চামড়া তো থাকেই। তাই শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় মাথার ত্বকে ভালোভাবে শ্যাম্প্যু ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর পুরো চুলে শ্যাম্পু ম্যাসাজ করতে হবে।

প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা

হার্বাল শ্যাম্পুতেও সহনীয় মাত্রায় কেমিক্যাল থাকে। তাই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক কিংবা দুই দিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করা সবচেয়ে উপকারি। এতে চুল পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি চুল কোমল থাকবে। প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।

খুব বেশি সময় নিয়ে শ্যাম্পু না করা

লম্বা সময় নিয়ে শ্যাম্পু করার ফলে চুলের ঘনত্ব কমে যায় অনেকখানি। চুল হয়ে যায় ভঙ্গুর ও পাতলা। ফলে খুব সহজেই চুলের আগা ফেটে যায় অথবা চুল মাঝ বরাবর ভেঙ্গে যায়। তাই চুলে শ্যাম্পু করার জন্য ১০-১৫ মিনিট সময়ের বেশি নেওয়া একেবারেই উচিৎ নয়।

   

তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-

সূর্যের তাপ:

ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। 

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার:

রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া:

‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:

ঘর ঠান্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠান্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠান্ডা পানির বোতল রাখলে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন:

ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা:

ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দা টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠান্ডা হয়ে আসে।

চুলা বন্ধ রাখা:

চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এই সময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় ও ঠান্ডা হয়ে আসে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

;

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;