দেশব্যাপী পালিত হবে পুষ্টি সেবা সপ্তাহ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার সহকর্মীরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার সহকর্মীরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা: মানুষের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে দেশব্যপী পুষ্টি সেবা সপ্তাহ পালন করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে পুষ্টি সেবা সপ্তাহ পালন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

পুষ্টি সেবা সপ্তাহে পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা হবে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ২৩ এপ্রিল সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে পুষ্টি মেলা ও সকাল ৮টায় হোটেল সাকুরার সামনের সড়কে র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কর্মসূচির কথা জানান। এসময় পাশে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, জাতীয় পুষ্টি পরিষদ মহাপরিচালক ডা. মো. শাহ নেওয়াজসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয়ভাবে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার স্টল থাকবে পুষ্টি মেলায়। হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের বলরুমে আয়োজিত ওই পুষ্টি মেলায় থাকবে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, আলোচনা সভা এবং মাতৃপুষ্টি বিষয়ে যারা সেলিব্রেটি; সব গণমাধ্যমে তাদের বক্তব্য প্রচার। মাতৃপুষ্টি ও ব্রেস্ট ফিডিং বিষয়ে সেমিনার, কৃষকদের নিয়ে মৌসুম অনুযায়ী ফলমূল ও শাকসবজি উৎপাদন নিয়ে আলোচনা এবং এ সংক্রান্ত প্রতিযোগিতাও থাকবে মেলায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার ৮-১০ শতাংশ। আর দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে ১৫-১৮ শতাংশ জনগণ। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যেই পুষ্টিহীনতার প্রবণতা বেশি। দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর হলে পুষ্টিহীনতাও দূর হবে। তাছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারলে অপুষ্ট শিশুর হার কমে যাবে।

জাতীয় পুষ্টি সেবা সপ্তাহের প্রথমদিনে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে মেলা ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে। দ্বিতীয়দিনে মাতৃপুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, ব্রেস্ট ফিডিং বিষয়ে সেমিনার, তৃতীয়দিনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে সেমিনার, চতুর্থদিনে পুষ্টি মেলাতে পুষ্টি শিক্ষা, কাউন্সেলিং সেশন, পঞ্চমদিনে নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস পালন, ষষ্ঠদিনে বৃদ্ধদের পুষ্টি, বহুপাক্ষিক অবহিতকরণ ও সমন্বয়, স্যানিটেশন ও হাইজিন নিশ্চিতকরণ এবং সমাপনী দিনে পুষ্টি বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।