একটানা কাজ করতে করতে একঘেয়েমি কাটাতে কফির বিকল্প নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। যার ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়াও কফি অনেক সময়েই উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। ‘কর্টিজল’-এর মতো হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়।
কফি খেলে ত্বকের আর কী কী ক্ষতি হতে পারে?
১. কফিতে থাকা অ্যাসিডের প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা ত্বকের সেবাম উৎপাদনেও হেরফের ঘটায়।
২. দুধ এবং চিনি দেওয়া ফিল্টার কফি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসের ফলে কিন্তু ত্বক ব্রণতে ভরে যেতে পারে।
৩. তৈলাক্ত ত্বকেও নাক এবং মুখের নির্দিষ্ট কিছু অংশ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৪. ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ত্বকে প্রদাহও দেখা দিতে পারে।
৫. অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুমের যে স্বাভাবিক চক্র, তাতেও প্রভাব পড়ে। ঘুম কম হলে ত্বকও জেল্লাহীন হয়ে পড়বে।
ত্বকের ক্ষতি এড়াতে দিনে কতটা কফি খাওয়া যেতে পারে?
পুষ্টিবিদদের মতে, কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় থেকে কোনও রকম ক্ষতি এড়াতে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি গুঁড়ো ব্যবহার করা উচিত নয়। পানীয় হিসাবে বলতে গেলে সারা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত কফি খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ত্বকচর্চা করারও পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা।