শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের ভেতরে অনেক বেশি পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই, শীতে আমাদের খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা উচিৎ। শারীরিক কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত করা ছাড়াও- সর্দি, কাশির মতো মৌসুমী স্বাস্থ্যসমস্যাগুলো থেকে নিজেদের রক্ষা করা প্রয়োজন।
ভারতীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. দীক্ষা ভাস্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় সবসময়ই স্বাস্থ্য সচেতনতায় করণীয় বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেন। এবার তিনি ভিডিওতে জানালেন, তিনি নিজে প্রতিদিন আমলকি খান। সাথে জানালেন প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার উপকারিতা। তিনি পরামর্শ দেন ত্বক- চোখ, চুল এবং অনাক্রম্যতা উন্নত করতে প্রতিদিন; বিশেষ করে শীতকালে আমলকি খেতে।
ডা. দীক্ষা জানান, “এটি আমাকে আমার থাইরয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে। অসময়ে চুলে পাক ধরা রোধ করতেও আমলকি বেশ কার্যকরী।” তিনি আরও যোগ করেন,“ এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও হতে পারে যা বিনামূল্যে জার্ডিকেলস দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে৷ এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং তাই সমস্ত চর্মরোগের জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী। উচ্চমাত্রার চিনি এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং, এটি হৃদয়ের জন্য ভাল। এসব কারণেই আমি আমলকি অনেক বেশি ভালোবাসি”
সম্মত প্রকাশ করেছেন, পুষ্টিবিদ নূপুর পাটিলও।। “ঠান্ডা ও শুষ্ক শীতের বাতাস ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে ত্বক শুষ্ক এবং নিস্তেজ হয়ে যায়। আমলকি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে এবং এর স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল বর্ণকে উন্নীত করতে পারে,” ডা. পাটিল বলেছেন। আমলার উপকারিতা বলতে গিয়ে ডা.পাটিল বর্ণনা করেছেন,“এটি অ্যাসিডিটি, ফুলে যাওয়া বা অন্য কোনো গ্যাস্ট্রিক সমস্যায়ও সাহায্য করে। এটি একটি ভাল-কার্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখতে সহায়তা করে। আমলা তার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত- যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।কাশি এবং গলা ব্যথার মতো অবস্থার উপশম করতে সাহায্য করে।”
ডা. দীক্ষা আরও জানান, “আমলায় সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এতে ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো। ভিটামিন সি মেজাজ উন্নত করে, চাপ এবং উদ্বেগের লক্ষণ কমায়। তবে, আমলা টক- তাই জয়েন্টের ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও এটি এড়ানো উচিত। কারণ, টক খাবার খেলে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।”
তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস