সঙ্গে রয়েছে নতুন বছরের আমেজও। ছুটির সময় মানেই হলো ইচ্ছামতো আনন্দময় সময় পার করা। ইতোমধ্যে দেশে ও দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করে ফেলছেন অনেকেই। যারা কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন না, তারাও নিজ বাসাতে স্বপরিবারে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে গেটটুগেদার করে ছুটির সময়গুলো কাটানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন নিশ্চয়।
কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক কিংবা বাসাতেই থাকা হোক না কেন, অন্যান্য সময়ের নিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থা থেকে কিছুটা অবসর পাওয়া গেলেও, নিয়মের হেরফের হয়ে যায় খুব বেশি। নিজেকে ফিট ও সুস্থ রাখার জন্য সুনিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। দুই দিন কিংবা কয়েকদিনের জন্যেও যদি নিয়মের ব্যত্যয় হয় তবে তার প্রভাব শরীরে থেকে যায় বেশ অনেকদিন।
সামনের ছুটির দিনগুলো আনন্দ ও হইহুল্লোড়ের সঙ্গে কাটানোর পাশপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে।
ছুটির সময় বলে সকালে দেরী করে ওঠা যাবে না। এতে করে ‘বডি ক্লক’ এর সময়ে ওলটপালট হয়ে যাবে। দুই দিনের ছুটিতে দেরী করে ঘুম থেকে ওঠার ফলে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সকালে ঘুম থেকে উঠতে বেগ পেতে হবে। তাই ছুটির সময়েও সকালে একই সময়ে উঠে যেতে হবে। বাড়তি ঘুমের প্রয়োজন হলে রাতে দ্রুত ঘুমাতে হবে অথবা বিকালে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে।
উপলক্ষ্য আয়োজনে গরুর কালা ভুনা কিংবা খাসির রেজালা না হলে হয় নাকি! পছন্দের খাবার খাওয়ার মোক্ষম সময় ও সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না কেউই। কিন্তু রেড মিট তথা গরু ও খাসির মাংস খাওয়ার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মাঝারি আকৃতির দুই টুকরো মাংসের বেশি খাওয়া একেবারেই উচিৎ হবে না।
ভ্রমণে থাকলে কিংবা বাসায় কোন আয়োজন থাকলে পানি পানের কথা মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য পরবর্তি সময়ে শারীরিক অসুস্থতার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেক বেশি। তাই দিনের মাঝে অন্তত আট গ্লাস পানি পানের বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই।
ছুটির বিকালে কিংবা রাতের খাবারে বেশি পনির ও ক্রিম দেওয়া পাস্তা হতে পারে পারফেক্ট খাবার। একইসাথে মনে রাখতে হবে, এই খাবার খুব দ্রুত রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।, কিছুক্ষেত্রে রক্তে চিনির মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। ক্রিম চিজ পাস্তার বদলে বেজিটেবল পাস্তা কিংবা রেড সস পাস্তা তৈরি করা যেতে পারে। এতে ক্যালোরি ইনটেকও হবে সীমিত।
ডুবোতেলে ভাজা খাবার সত্যিকার অর্থেই ভীষণ মুখরোচক হয়। কিন্তু এই খাবারগুলো খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে দেয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফোলা সহ নানান ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়। এতে করে ছুটির সময়টাই নষ্ট হয়ে যাবে একদম। তাই তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে স্টিমড খাবারের দিকে নজর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
চা কিংবা কফির কাপে সময়ে সময়ে আড্ডা হবে অবসর সময় জুড়ে। পছন্দসই চা পানের মাঝে গ্রিন টির কথাও মাথায় রাখতে হবে। যতই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করা হোক না কেন, হাবিজাবি খাবার খাওয়া হয়ে যাবেই। তার টক্সিসিটি কিছুটা প্রশমিত করার জন্য গ্রিন টিকে রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে।
এতো আয়োজন ও ঘোরাঘুরি মাঝে হয়তো আলাদাভাবে সময় পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে যখনই কিছুটা অবসর সময় মিলবে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিতে হবে মিনিট দশেকের জন্য। এতে শরীর ফিট থাকবে খুব ভালোভাবেই।
আরো পড়ুন: ভ্রমণে কী রাখবেন সাথে?
আরো পড়ুন: ওজন কমবে ডায়েট ছাড়াই!