ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। উপকূল অঞ্চলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি আর উত্তাল ঢেউয়ের প্রকোপ। কিছু অঞ্চলে পানি ও বাড়তে শুরু করেছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার পরও অনেকে নির্বিকার। ঘূর্ণিঝড়ের এমন সংকটময় মুহূর্তে সাবধান হতে হবে সকলকে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে কি করতে হবে জেনে নিন-
১. মোবাইল, টিভি সহ অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে নিজ এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। বিদ্যুৎ সংকট হলে রেডিও থেকে খবর নিন। অথবা এলাকায় প্রচার করা সতর্ক বাণী মনেযোগ দিয়ে শুনুন।
২. নিজের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সতর্কতা সম্পর্কিত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন। ঘূর্ণিঝড়ের জরুরি অবস্থার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকুন। বৈদ্যুতিক জিনিসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখুন।
৩. বিপদে বিচলিত হওয়া যাবে না। অন্যদের কাছে নিজ অবস্থানের তথ্য পাঠান। গুজব উপেক্ষা করুন এবং এধরনের খবর রটানো এড়িয়ে চলুন। এতে বিপদের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত আতঙ্ক সৃষ্টি এড়ানো যাবে।
৪. শুধুমাত্র অফিসিয়াল তথ্য বিশ্বাস করুন। আপনার এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা চালু থাকলে স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যান। পাশাপাশি রেডিওসহ অন্যান্য মাধ্যমে সতর্কবাণী প্রচারে খেয়াল রাখুন। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আনুমানিক বিপদ পরিস্থিতি জেনে নিন।
৫. উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মহাবিপদ সংকেত দিয়ে সতর্কতা দেওয়ায় নিচু সৈকত বা উপকূল থেকে দূরে সরে যান। উঁচু জমিতে বা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন।
৬. উপকূল এবয় বন্দর অঞ্চলে যাদের বাড়ি নিরাপদে উঁচু জমিতে তারা বাড়িতেই অবস্থান করুন। যদি বাড়ি খালি করতে বলা হয় তবে অতিসত্তর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দ্বিধা করবেন না।
৭. সেসব অঞ্চলে যাদের বাড়িতে কাঁচের জানালা ও দরজা আছে তারা বোর্ড দিয়ে আগলে বা শাটার লাগিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে আড়াল করার শক্তিশালী বিকল্প মাধ্যম থাকলে তাও ব্যবহার করতে পারেন। নয়তো ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে কাচের জানালা ভেঙে আরও বড় বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
৮. ঢেকে রাখা যায় এমন পাত্রে যথাসম্ভব অতিরিক্ত খাবার এবং পানীয় জল সংরক্ষণ করুন। প্রয়োজনে যেন বহন করা যায় সে ব্যবস্থা করে রাখুন।
৯. হারিকেন, লণ্ঠন, টর্চ মোম বা অন্যান্য জরুরী বাতি ধরনের জিনিস হাতের কাছে রাখুন। প্রয়োজনীয় জিনিস বহনযোগ্য শক্তিশালী পানিপ্রতিরোধক ব্যাগে প্যাক করুন। ওষুধ, শিশু বা বয়স্কদের জন্য বিশেষ খাবার, শুকনো খাবার, ব্যাটারি, চার্জার সহ অন্যান্য জিনিস সংগ্রহ করে রাখুন।
১০. বন্যা বাড়ি ছাড়তে হলে মূল্যবান জিনিস বাড়ির উপরের তলায় নিয়ে যান। ছোট এবং আলগা জিনিস, যা প্রবল বাতাসে উড়তে পারে, ঘরে নিরাপদে সংরক্ষণ করা উচিত।
১১. ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে না যাওয়া অবধি বাতাস শান্ত হয়ে গেলেও বাইরে বেরোবেন না। বিরূপ পরিস্থিতিতে আগে জীবন বাঁচানোর চিন্তা করুন। সহায়-সম্পত্তি নিয়ে হাহাকার করা বোকামি। আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা যতক্ষণ না আপনাকে চলে যাওয়ার জন্য জানানো হয় ততক্ষণ আশ্রয়কেন্দ্রেই অবস্থান করুন।
তথ্যসূত্র: এনডিএমএ