রীতিমতো নজরকাড়া পোশাক ও দারুণ কোরিওগ্রাফি আবার চমৎকার সঙ্গীতায়োজনে আলোকসজ্জিত রানওয়েতে উদীয়মান এই মডেলদের উপস্থিতি, হাঁটা ও চূড়ান্তপর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হান্ট ফেস অব বাংলাদেশ এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠান। এ আয়োজনে আর্কা ফ্যাশন উইকের প্রথম দিনে আলোচিত মডেল হান্ট ফেস অব বাংলাদেশ এর খেতাব জিতলেন জারিফ শাবাব, দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় ফেস অব এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা।
আলোচিত মডেল হান্ট 'ফেস অব বাংলাদেশ'-এর খেতাব জিতলেন জারিফ, দিল আফরোজ ও আকলিমা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানী গুলশানে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আর্কা ফ্যাশন উইকের অংশ হিসেবে আলোচিত মডেল হান্ট ফেস অব বাংলাদেশ এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় ফেস অব এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এখানকার বিজয়ীরা। ফেস অফ বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে সম্মানিত বিচারকেরা বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করেন পুরুষদের মধ্যে জারিফ শাবাবকে। আর নারীদের মধ্যে দুজন যুগ্মভাবে অর্জন করেন বিজয়ীর খেতাব। তারা হলেন দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা।
এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল আসলে তিনদিনের একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এখানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ফেস অব এশিয়া। এখানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের মডেলরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন। এই ইভেন্ট প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতি উৎসব এশিয়ার পপ সংস্কৃতি, শিল্প ও এশিয়ার মডেল, ফ্যাশন আর বিউটি ইন্ডাস্ট্রিকে এশিয়াব্যাপী প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এশিয়ার মডেল ও শিল্পীদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়। ফেস অব বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যালের ফেস অব এশিয়ার আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
এই ফেস অব বাংলাদেশ আসলে এমন একটি মডেল হান্ট, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন তরণ তরুণীদেরকে খুঁজে বের করা যায়। এর লক্ষ্য বাংলাদেশি মডেলদের বৈচিত্র্য ও প্রতিভা প্রদর্শন করা এবং তাদের মডেলিং ও বিনোদন শিল্পে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া।
এই বছর ফেস অব বাংলাদেশ-এর জন্য আমাদের দেশের ৭ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য,পুরো মডেল হান্ট কার্যক্রমটি আর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় রানওয়ে ডিরেক্টর ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদের প্রতিষ্ঠান আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প অর্থাৎ এএমটিসি এর তত্ত্বাধানে। নির্বাচিত প্রতিযোগীদেরকে মডেলিংয়ের সর্বক্ষেত্রে নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটিও এএমটিসিই করেছে।
এই প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ছয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যারা ফ্যাশন অঙ্গনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য।
তুমুল বর্ষণের পরেও লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে ফ্যাশন রানওয়ের তাবু। সন্ধ্যা ৭টায় উপস্থিত সকলের হর্ষধ্বনি ও করতালির মাঝে শুরু হয় প্রতিযোগিতার পর্বগুলো। প্রথমেই ছিল ফিটনেস ও হেলথ রাউন্ড।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ৭ জন নারী মডেল। তারা হলেন মাহবুবা রহমান লাবণ্য, জান্নাতুল ইমরোজ, মারিয়া আক্তার মৃদুলা, নিশাত তাসনিম ও রেহনুমা তাবাসসুম এশা, দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা। সুন্দর হাসির জন্য বেস্ট স্মাইলের খেতাব পেয়েছেন মারিয়া আক্তার মৃদুলা। বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে ফেস অব বাংলাদেশের খেতাব জেতেন দিল আফরোজ হাসান ও আকলিমা আতিকা।
ফেস অব বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পুরুষ মডেলরা হলেন দীপংকর চন্দ্র মন্ডল, জারিফ শাবাব, শায়ের আহমেদ, শামসুল আলম, প্লাবন সিনহা, আব্দুল্লাহ নুমের, ওহিন ইরান ও আয়মান শরীফ। চমৎকার হেয়ারস্টাইলের জন্য বেস্ট হেয়ার খেতাব পান আব্দুল্লাহ নুমের আর বেস্ট স্কিন খেতাব দেওয়া হয় প্লাবন সিনহাকে। পুরুষদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ী হন জারিফ শাবাব। উপস্থিত সকলের উচ্ছ্বসিত করতালির মাঝে ঘোষণা আসে, পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডও তিনিই জিতেছেন। প্রতিযোগিতার প্রথমে ছিল হেলথ ও ফিটনেস রাউন্ড। দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রতিযোগীরা ফিউশনওয়্যার পরে হেঁটেছেন। দেশের সুপরিচিত ডিজাইনার লেবেল বাটারফ্লাই বাই সাগুফতার পোশাক পরেছেন মেয়েরা এখানে। আর ছেলেদের পোশাক নেওয়া হয়েছে ও টু থেকে। এরপরেই আসে চূড়ান্ত রাউন্ড যেখানে ফরমাল পোশাক পরেছেন সকলে। মেয়েদের আউটফিটগুলো দেশের বিলাসবহুল ডিজাইনার লেবেল সানায়া কতুরের। আর ছেলেদের পোশাক এসেছে ফিট এলিগেন্স থেকে।