ডাবের পানি পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রাকৃতিক এক বিস্ময়কর উপাদান ডাব। সতেজতা এবং পুষ্টি বেশ প্রয়োজনীয় দু’টি উপাদানে পরিপূর্ণ এই ফল। কচি, সবুজ ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবেই অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু। তাছাড়া ডাব থেকে পাওয়া শাঁসও একটি উত্তম খাবার। শুধু তাই নয়, ডাব বা নারকেলের পানি নানারকম খনিজ উপাদানের একটি ভালো উৎস। ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট দিয়ে পরিপূর্ণ এই ফলের পানি। এই পানিতে কম ক্যালোরি থাকে এবং ক্ষতিকর চর্বিমুক্ত হওয়ার গুণাবলির কারণে পানিশূন্যতা রোধে বেশ কার্যকরী একটি পানীয় এটি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, গরমে নারকেলের পানি পান করা খুবই উপকারী। এটি ডিহাইড্রেশন এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করার জন্যও বেশ কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এই কারণেই সকালের হাঁটা শেষ করার পর অনেকে তাজা ডাবের পানি পান করেন। পরিশ্রমের পর ডাবের পানির প্রতিটি চুমুক থেকে আরাম পাওয়া যায়। ফলে মন ও শরীরকে সচল রাখতে এবং শক্তিপ্রদান করতে পারে। তবে ডাবের পানি খাওয়ার কি কোনো নির্দিষ্ট সময় আছে? থাকলে, কোন সময় খাওয়া উচিত?
ভারতের এক সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান কামিনী সিনহা বলেছেন, ‘ডাবের পানি খুব স্বাস্থ্যকর। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো। শরীরকে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা থেকেও রক্ষা করে। পানিশূন্যতা দূর করে শরীরকে সতেজ রাখার উপকরণ হিসেবে শীর্ষস্থানীয় একটি পানীয় হতে পারে এটি। ডাবের পানি পান করার কোনো সঠিক সময় নেই। যেকোনো সময় পান করাই সমান উপকারী। তবে সকালে খালি পেটে, দুপুরের খাবারের পরে বা রাতের খাবারের পরে পান করতে পারেন। তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পানির কেবল উপকারিতাই রয়েছে এবং কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মর্নিং ওয়াক বা জিম ওয়ার্কআউটের পর ডাবের পানি পান করা মানুষকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করে। খাবারের পর ডাব বা নারকেল পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। রাতের খাবারের আগে বা পরে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দেয়।’
তবে কিডনির সমস্যা বা অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তাররা নারকেল আর ডাবের পানি খেতে নিষেধ করেন। কচি ডাবের পানিতে ছত্রাক থাকতে পারে। এতে সরাসরি ডাব থেকে ছত্রাক শরীরে প্রবেশ করে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮