এতে করে ঘরে রেখে কয়েকদিন ধরে কলা খাওয়া যায়। এছাড়া পাকা কলা কিনলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বলে পাকা কলা কেনার ক্ষেত্রে সকলে এড়িয়ে যায়। কিন্তু কদাচিৎ এমন কিছু কাঁচা কলা পাওয়া হয়, যা সহজে পাকতে চায় না। দুই-তিনদিন সময় কেটে গেলেও কলার খাওয়ার উপযোগী হয় না। সেক্ষেত্রে একদম সাধারণ চারটি নিয়মের যেকোন একটি নিয়ম মেনে কাজ করলে সহজেই কলা খাওয়ার মতো পেকে যাবে।
সাধারণত যে সকল স্থানে ফল রাখা হয়, তার চাইতে কিছুটা উষ্ণ স্থানে কলা রাখা হলে ২৪-৪০ ঘন্টার মাঝেই সুন্দরভাবে পেকে যাবে। উষ্ণতা ফলের ভেতরে থাকা চিনিকে বের করে আনে, যা ফলকে পাকতে সাহায্যে করে। তবে এর জন্য রান্নাঘরে বা চুলার আশেপাশে রাখা যাবে না কলাকে। এতে করে কলা পাকার বদলে নষ্ট হয়ে যাবে অতিরিক্ত তাপমাত্রার দরুন।
ভালো মানের কাগজের ব্যাগে কলা সংরক্ষণে মাধ্যমে বেশ দ্রুত কলাকে পাকানো যায়। কাগজের ব্যাগে কলা রেখে ব্যগের মুখ বন্ধ করে রাখলে কলা থেকে নির্গত ইথিলিন (Ethylene) ব্যাগের ভেতরেই বদ্ধ থাকবে, যা কলাকে দ্রুত পাকতে সাহায্য করবে। এই পদ্ধতিতে ১২-২৪ ঘন্টার মাঝেই কলা ভালোভাবে পেকে যাবে।
শুধু কলা থেকেই নয়, অন্যান্য সকল ফল থেকেই ইথিলিন নির্গত হয়। তাই ঘরে যদি কাগজের ব্যাগ বা প্যাকেট না থাকে তবে অন্য ফলের সাথে মিলিয়ে রেখে দিতে হবে কলাকে। এতে ১২-৩০ ঘন্টার মাঝেই কলা খাওয়ার মতো পেকে যাবে।
ঘরে যদি কাগজের ব্যাগ ও অন্য কোন ফলও না থাকে তবে শেষ পদ্ধতি হিসেবে চালের ভেতর রেখে দিতে হবে কলাকে। চালের ভেতর বদ্ধ আবহাওয়া ও কলা থেকে নির্গত ইথিলিন মিলে কলাকে খুব ভালোভাবে পাকিয়ে ফেলতে পারবে। এর জন্য ১৮-২৪ ঘন্টাই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ ছাড়াও রান্না হবে সুস্বাদু ও মজাদার
আরও পড়ুন: সকল অলিভ অয়েলই কি এক?