গুরুত্বর রোগের ক্ষেত্রেও, সাধারণ ও সুপরিচিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খুব চমৎকার কার্যকরী। শিকড় বিশিষ্ট এই উপাদানটি কাঁচা, অন্য কোন কিছুর সাথে রান্না, পেস্ট, চা প্রভৃতি উপায়ে খাওয়া সম্ভব।
বিভিন্ন ধরণের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত এই উপাদানটির উপকারিতা এতো বেশি যে নিয়মিত আদা গ্রহণের প্রতি সকলের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন নিজের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থেই।
জেনে নিন আদার চমৎকার কয়েকটি শারীরিক উপকারিতা।
বেশীরভাগ মানুষ ধুলাবালি, রেণু, ময়লা ও দূষিত বাতাসে অ্যালার্জির সমস্যার মুখোমুখি হন। এই ধরণের অ্যালার্জিকে সাধারণত ডাস্ট অ্যালার্জি বলা হয়ে থাকে। একবার এই অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বেশ লম্বা সময় ধরে ভুক্তভোগীকে অসুস্থ থাকতে হয়। আদা এক্ষেত্রে দারুণ উপকারী খাদ্য উপাদান হিসেবে কাজ করে। কাঁচা আদা চিবিয়ে, চায়ের সাথে অথবা আদার শরবত তৈরি করে পান করলে অ্যালার্জির সমস্যা অনেকটা কমে। আদাতে থাকা অ্যান্টি-হিস্টামিন উপাদান অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব তাৎক্ষনিকভাবে কমিয়ে আনে।
আরো পড়ুন: পরিচিত জিরাপানির অপরিচিত স্বাস্থ্যগুণ
মজাদার খাবার রান্নায় আদা বাটা কিংবা আদা কুঁচি আবশ্যি একটি মশলা। খাদ্য পরিপাকের জন্য ভীষণ উপকারী এই উপাদানটি হরহামেশাই ব্যবহার করা হয় না জেনেই। আদার রস খাদ্য গল ব্লাডার হতে বাইল রস (Bile juice) নিঃসরণ করে। যা খাদ্য দ্রুত ও সহজে পরিপাক হতে কাজ করে।
মিশিগান ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বেশ কিছু গবেষণা ও পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে, আদার পাউডার ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তারা বিশেষভাবে সুপারিশ করে, ওষুধ হিসেবে আদা গ্রহণ করলে ফুসফুস, প্রোস্টেট, ওভারিয়ান ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া সম্ভব।
অসুস্থতাজনিত কারণে অনেক ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘোরানোর সমস্যাসহ বমিভাব দেখা দেয়। সাধারণত গর্ভবতী নারীদের এই সমস্যাটি প্রকট আকারে দেখা দেয়। এই ধরণের সমস্যায় অন্য কোন খাবারের পরিবর্তে আদা খেলে উপকার পাওয়া যাবে। আদাতে থাকা ভিটামিন-বি৬ বমিভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা, আলস্য, মাথা ঘোরানো সহ অন্যান্য সমস্যাও দূর করে।
আরো পড়ুন: আনারসের আটটি গুণ!
শরীরের যেকোন ধরণের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে ব্যবহার করতে হবে আদা। আদা হলো অন্যতম উপকারী প্রদাহ-বিরোধী প্রাকৃতিক উপাদান। শরীরে কোন প্রদাহ দেখা দিলে, ফোলাভাব তৈরি হলে কিংবা ব্যথাভাব দেখা দিলে আদা গ্রহণে তাৎক্ষনিক উপশম পাওয়া সম্ভব হয়। সমস্যার ধরণ বুঝে আদা খেতে হবে অথবা আদা তেল তৈরি করে ম্যাসাজ করতে হবে।
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তলপেটে প্রচন্ড ব্যথাভাব দেখা দেওয়া খুবই সাধারণ একটি লক্ষণ। বিরক্তিকর ও কষ্টদায়ক এই ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে আদা চা পান উপকারী।