আনারসের আটটি গুণ!
রসালো, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফলের নাম জানতে চাইলে প্রথমেই বলতে হবে- আনারস।
ভিটামিন, এনজাইম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর জনপ্রিয় এই ফলের স্বাস্থ্যগুণের কথা খুব একটা পরিচিত নয় অনেকের কাছেই। স্বাদে মিষ্টি হলেও, খুবই কম ক্যালোরির এই ফল ডায়েটেও খাওয়া যায় স্বাচ্ছন্দ্যে।
ইতিমধ্যেই ফলের বাজার ভরে গেছে কাঁচা-পাকা আনারসের মিষ্টি গন্ধে। এই মৌসুমে নিশ্চয় আনারস খাওয়া হয়েছে বহুবার। যদি না খাওয়া হয়ে থাকে তবে আজকের ফিচারটি থেকে জেনে নিন আনারসের চমৎকার আটটি গুণের কথা এবং আজকে থেকেই খাওয়া শুরু করুন স্বাস্থ্যকর এই ফলটি।
পরিপাকে সহায়ক
আনারসে আছে প্রচুর পরিমানে খাদ্য আঁশ। যা খাদ্য দ্রুত পরিপাকে ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
এই ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ ও প্রচুর পরিমানে থাকা উপকারি ভিটামিন-সি’র উপস্থিতি শরীরে ক্যান্সার তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে।
আরো পড়ুন: প্রিয় আমের চমকপ্রদ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আগের পয়েন্টেই বলে দেওয়া হয়েছে যে আনারসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি আছে। যা শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধেই সহায়ক নয়, নানান ধরণের ছোট-বড় অসুস্থতা প্রতিরোধেও দারুন সাহায্য করে।
কাশি প্রতিকার করে
ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা দেখা দিলেই গুরুজনেরা ভালো আনারস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আনারস ঠান্ডার সমস্যা, বিশেষ করে কাশি উপশমে সহায়ক। আসলেও কি তাই? অন্যান্য সকল ফলের ভেতর আনারসে আছে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান। যা শরীরের ইনফেকশন ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ায় করে। যে কারণে খুশখুশে খাশি কিংবা ঠান্ডার সমস্যায় আনারস ওষুধের মতোই চমৎকার কার্যকরি।
মুখের স্বাস্থ্য রাখে সুরক্ষিত
দাঁতের মাড়ি ও ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধে আনারসে উপস্থিত কিছু বিশেষ উপাদান কাজ করে থাকে।
আরো পড়ুন: শসা খেতে হবে খোসাসহ!
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে
ভিটামিন-সি কিংবা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো আনারসে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ কপার। যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে কাজ করে। এই লোহিত রক্তকণিকা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও বিভিন্ন প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে থাকে।
কোষ সুস্থ রাখে
শরীরের কোন অংশে কেটে-ছড়ে গেলে কোলাজেন উৎপন্ন করে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আনারস।
আর্থ্রাইটিস ও উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা কমায়
নিয়মিত পরিমিত পরিমানে আনারস গ্রহণে আর্থ্রাইটিস ও উচ্চরক্ত চাপের মতো জেদি সমস্যাও স্তিমিত হয়ে আসে অনেকটাই।
পছন্দের ফল আনারস খেতে বাধা না থাকলেও কোন ফলই একবারে খুব বেশি পরিমানে খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত মনে রাখা প্রয়োজন, খালি পেটে যেকোন ধরণের ফলই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে। তাই নিয়ম মেনে নিশ্চিন্তে আনারস খেতে পারবেন যে কেউ।