কিশোরীদের জোর করে অবৈধ কাজে বাধ্য, চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা) | 2024-05-23 16:05:40

চাকরি দেয়ার কথা বলে নারীদের ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয় এমনকি পাচার করে দেয়া হয় পতিতালয়েও। সাভারে এমন এক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এই চক্রটি প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ নারীকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করেছে। শুধু নারী নয় শিশু-কিশোরীও বাদ যায়না এই চক্রের হাত থেকে। এমনই এক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ৩ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে গ্রেফতারকৃতদের সাভার মডেল থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (২২ মে) রাতে সাভারের ভরারী নতুন পাড়া এলাকার পোড়া বাবুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মাদারীপুর থানার শিবচর থানার গুয়াতলা এলাকার খলিল ব্যাপারী (৪২), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৩৫), টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার নজরুল ইসলাম (৩৯), তার স্ত্রী মিথিলা (২০) ও তাদের আরেক সহযোগী বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার তানজিলা আক্তার ফাতেমা (২৫)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খলিল, তার স্ত্রী লাইলী ও তাদের সহযোগী ফাতেমাকে ভরারী এলাকার পোড়া বাবুলের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ঝিনাইদহ এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী জোরপুল বটতলা এলাকায় জনৈক জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিথিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ঝিনাইদহ ও ফরিদপুর এলাকার দুই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, চাকরির কথা বলে ও বিভিন্ন কৌশলে শিশু-কিশোরীসহ নারীদের ডেকে নিয়ে আটকে রেখে তাদের দিয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তি করায় এই চক্রের সদস্যরা। পরে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের পতিতালয়ে বিক্রি করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তারা স্বীকার করেছেন যে, আনুমানিক ১০০ থেকে ১৫০ জন নারীকে এই উপায়ে বিভিন্ন পতিতাপল্লীতে বিক্রি করেছে তারা। নারীপ্রতি দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা আদায় করেছে চক্রটি।

সাভার মডেল থানার আমিনবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগীদের আদালতের মাধ্যেম তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পতিতাপল্লী, সীমান্তবর্তী এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভুক্তভোগীদের বিক্রি করে দিত চক্রটি। চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য পলাতক আছে তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর